আবিষ্কারের নেশা ( শেষ পর্ব )
ত্রিভুবন জিৎ মুখার্জী /৯ .৯.২০১৪ / রাত ১০.৩০ /
বিয়ের মোটে সাত দিন বাকি । ওখানে নিশ্চই সকলে ব্যাস্ত। শালু এখানথেকেই ছুটির জন্য দরখাস্ত পাঠিয়ে দিয়েছে । ছুটি মঞ্জুর ও হয়ে গিয়েছে । তাই ওরা দুজনে সোজা কোলকাতা যাবে । অয়ন ফ্লাইটের টিকিট কেটে রেখেছে । ওরা তিন দিন আগে পৌঁচচ্ছে । অয়নের আজ সারাদিন কোন কাজ ছিলনা । আজ শনিবার এমনিতেই ওদের ছুটি । খোশ মেজাজে আছে সে । একটা নতুন গান শুনছিল এবারের পূজোর গান বোধ হয় । নতুন গানটা । ভালোই সুর হয়েছে । গানটা মন দিয়ে শুনছিল অয়ন । হঠাৎ শালুর ফোন এল ...।
তোমার সুরের ইন্দ্রজালে মুগ্ধ হলাম ,
তোমার সুরের ইন্দ্রজালে মুগ্ধ হলাম ,
সুরের আকাশে তোমায় যে দেখলাম ,
হেরিলে আমার মন উদাস হলাম ,
মেঘের পরশে যে শীতল হলাম ।.................. (১)
তোমাকে না দেখে উদাস হলাম ,
তবুও বোঝে না মন কেন যে আমার ,
কেন বসে আছি ...বল এক বার ,
যেওনা তুমি গো প্রিয়া শোন একবার ..............(২)
তোমা বিনা লাগে না যে ভালো আমার ,
বসে আছি পথ চেয়ে তোমার আসার ,
প্রহর গুনি সুধু তোমার আশায় ,
মন দেওয়া নেওয়া হবে সেই আশায় ,
মাতাল হব আমি তোমার ই নেশায়। ..............(৩)
তোমার সুরের ইন্দ্রজালে মুগ্ধ হলাম ,
সুরের আকাশে তোমায় যে দেখলাম ,
হেরিলে আমার মন উদাস হলাম ,
মেঘের পরশে যে শীতল হলাম ।..................... (১)
তোমাকে না দেখে উদাস হলাম ,
তবুও বোঝে না মন কেন যে আমার ,
কেন বসে আছি ...বল এক বার ,
যেওনা তুমি গো প্রিয়া শোন একবার .................(২)
তোমার সুরের ইন্দ্রজালে মুগ্ধ যে তাই ,
সুরের আকাশে তোমাকে দেখি যে তাই ,
আমি কত যে তোমাকে ভালোবাসি,
আকাশের চাঁদ তারা... তারাও খুসি,
মেঘের পরশে যে শীতল হলাম ,
এবার বলনা ... তোমার , দেখা কি পেলাম। .....................(৪)
ত্রিভুবন জিৎ মুখার্জী / ২৮.০৮.২০১৪ /
ত্রিভুবন জিৎ মুখার্জী /৯ .৯.২০১৪ / রাত ১০.৩০ /
বিয়ের মোটে সাত দিন বাকি । ওখানে নিশ্চই সকলে ব্যাস্ত। শালু এখানথেকেই ছুটির জন্য দরখাস্ত পাঠিয়ে দিয়েছে । ছুটি মঞ্জুর ও হয়ে গিয়েছে । তাই ওরা দুজনে সোজা কোলকাতা যাবে । অয়ন ফ্লাইটের টিকিট কেটে রেখেছে । ওরা তিন দিন আগে পৌঁচচ্ছে । অয়নের আজ সারাদিন কোন কাজ ছিলনা । আজ শনিবার এমনিতেই ওদের ছুটি । খোশ মেজাজে আছে সে । একটা নতুন গান শুনছিল এবারের পূজোর গান বোধ হয় । নতুন গানটা । ভালোই সুর হয়েছে । গানটা মন দিয়ে শুনছিল অয়ন । হঠাৎ শালুর ফোন এল ...।
তোমার সুরের ইন্দ্রজালে মুগ্ধ হলাম ,
তোমার সুরের ইন্দ্রজালে মুগ্ধ হলাম ,
সুরের আকাশে তোমায় যে দেখলাম ,
হেরিলে আমার মন উদাস হলাম ,
মেঘের পরশে যে শীতল হলাম ।.................. (১)
তোমাকে না দেখে উদাস হলাম ,
তবুও বোঝে না মন কেন যে আমার ,
কেন বসে আছি ...বল এক বার ,
যেওনা তুমি গো প্রিয়া শোন একবার ..............(২)
তোমা বিনা লাগে না যে ভালো আমার ,
বসে আছি পথ চেয়ে তোমার আসার ,
প্রহর গুনি সুধু তোমার আশায় ,
মন দেওয়া নেওয়া হবে সেই আশায় ,
মাতাল হব আমি তোমার ই নেশায়। ..............(৩)
তোমার সুরের ইন্দ্রজালে মুগ্ধ হলাম ,
সুরের আকাশে তোমায় যে দেখলাম ,
হেরিলে আমার মন উদাস হলাম ,
মেঘের পরশে যে শীতল হলাম ।..................... (১)
তোমাকে না দেখে উদাস হলাম ,
তবুও বোঝে না মন কেন যে আমার ,
কেন বসে আছি ...বল এক বার ,
যেওনা তুমি গো প্রিয়া শোন একবার .................(২)
তোমার সুরের ইন্দ্রজালে মুগ্ধ যে তাই ,
সুরের আকাশে তোমাকে দেখি যে তাই ,
আমি কত যে তোমাকে ভালোবাসি,
আকাশের চাঁদ তারা... তারাও খুসি,
মেঘের পরশে যে শীতল হলাম ,
এবার বলনা ... তোমার , দেখা কি পেলাম। .....................(৪)
ত্রিভুবন জিৎ মুখার্জী / ২৮.০৮.২০১৪ /
গানটা মোবাইলে আপলোড করে সেভ করে রাখলো পরে শুনবে ।
শালুঃ কি হল গান শুনছো যে , আমার ফোন বেজেই যাচ্ছে ...!
অয়নঃ বল তোমার কথাই ভাবছিলাম ।
টিকিট কেটেছ ?
সে আর বলতে ! তোমার বলার অপেক্ষা রাখি নাকি ! কাতা হয়ে গিয়েছে । তুমি তৈরি থেক আমি তোমায় পিক উপ করে নেব। কেমন ।
ঠিক আছে । আমার কিছু কেনা কাটার আছে সেগুল সেরে নিতে হবে ডিনারের আগে । (অয়নের সঙ্গে আজ দেখা হওয়ার কথা । রাতের ডিনার এক সঙ্গে খাবে ওরা ।)
ওকে । তুমি অন্যসব জিনিষ পত্র গুছিয়ে নিয়েছ ?
সব গোছান হয়ে গিয়েছে ‘চাঁদ’ । এসে দেখতে পার ।
শালুর গলায় হঠাৎ ‘চাঁদ’ কথাটা শুনে অয়নের আশ্চর্য লাগলো । পরে ভাবে ভালো মুডে আছে রাগিয়ে কাজ নেই ।
আজ ওদের দুজনের কোলকাতা ফেরার কথা । দুজনে এক সঙ্গে ফিরছে অনেক দিন পর । মনটা দুজেনেরি খুশী । বাড়ী ফিরে অনেক কাজ ।
শালুকে খুব শান্ত সুন্দর দেখাচ্ছিল । ফ্লাইটে দুজনে পাশা পাশি সিটে বসে গল্প করছিল।
প্লেনটা , রান ওয়েতে ল্যান্ড করার আগে সিট বেল্ট পোঁরে নিল । আঃ স্বস্তির নিঃশ্বাস নীল দুজনে । ঘর ছেড়ে থাকতে ভালো লাগে না । ওদের ই বা লাগবে কেন ?
শালিনীর জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হতে যাচ্ছে ।
বাড়ী ফিরে শালু দ্যাখে বিয়ের পুরো ধুম ধাম আয়োজন । অদের আত্মীয় স্বজন সব এসে গিয়েছেন । দুই মামা মামি , মেস মাসি , এক কাকা উনি অবিবাহিত । মামাতো , মাসতুত ভাইরা সবাই এসেছে । দিদি জিজু টুকাই আছে । জিজুর মাথায় সব দায়িত্ব । ক্যাটারার যোগাড় , হলদিরামের ব্যাঙ্কে-ট হলে বিয়ের আয়োজন হয়েছে । সমস্ত কেনা কাটা ... দিদি জিজু মিলে করেছে । শালুকে, মা সব দেখাচ্ছিলেন ... শালুর মনটা অন্যমনস্ক দেখে বোঝেন ওর নিশ্চই বাবার কথা ভাবছে ।
কিরে কি হল মা ... অমন অন্য মনস্ক কেন তুই ?
কিছুনা ত ... ! কি আবার হবে ?
তবে গয়না গুল দেখছিস না কেন ? ডিজাইন টা দ্যাখ !!
(মুখ ফিরিয়ে নিয়ে) তুমিত যান আমার ও সব একদম ভালো লাগে না । এত টাকা খরচের কি ছিল ? তোমার ভবিষ্যৎ , তোমার শরীর অসুস্থ হলে কে দেখবে মা ? যদি ডাক্তার ওষুধের হঠাৎ প্রয়োজন হয় । তুমি ত সব শেষ করে দিয়েছ দেখছি ! টাকাগুলো এরকম ভাবে নষ্ট করলে ? আমরা কে কখন কোথায় থাকি !
মেয়ের কথা দ্যাখ ! ওরকম বলে না । নষ্ট আবার কি রে ? মেয়ের বিয়ে একবার ই হয় । আমার যা গয়না ছিল সেগুলো তোদের দুই বোন কে দিয়েছি । গড়ানোর মজুরি যা লেগেছে । ওরে তোরা সুখে থাকলেই আমার সুখ । আমার আবার কি হবে ? দিব্বি থাকবো । তখন ত আর তোর চিন্তা থাকবে না ! ঠাকুরের নাম নেব আর গুরুদেবের আশ্রমে যাব ।
এত টাকা নষ্ট করেছ তোমরা । সাধারণ ভাবে কি বিয়ে হয়না ? এ’ত এলাহি আয়োজন !!
জিজু দিদি ঘরে ঢ়কে । কিরে পছন্দ হয়েছে তোর ? দিদি বলে ।
তুইকি আমায় নতুন দেখছিস দিদি ? আমি এসব পরি কোন দিন ! সং সেজে যাত্রা করতে যাব ? সাধারণ ভাবে কি বিয়ে হয় না ।
না হয় না ... মা বলেন । কেন হবে ? আমার কি নেই কিছু ! হা ঘরের মত বিয়ে দিতে হবে কেন?
গায়ে হলুদঃ-
গায়ে হলুদের দিন বরের বাড়ী থেকে তত্ত্ব এল । সকলে হুমড়ি খেয়ে দেখছে কি এল বলে ।
শালু , কি সুন্দর তত্ত্ব পাঠিয়েছে । খুব সুন্দর হয়েছে ।
শালু বলে, “তোরা খুশি ত , তাহলেই হল।” আমি ওসবের কিছু বুঝি না ।
সমাজের সব রীতি সময় নির্ভরশীল । সমস্ত রীতির মধ্যে সময়ের ছাপ পড়ে তাই নাকি গয়না ছাড়া বিয়ে হয়না । তাই বাঙ্গালীদের বিবাহ উৎসবে শাড়ী গয়না এসবের আকর্ষণ এখন ও প্রচলিত । শালিনী যত বোঝালেও এদের মগজে ওই ব্যাপারটা থাকবেই কেউ ঘোচাতে পারবেনা
আজ শালিনীর বিবাহ উৎসবঃ-
এই দিনটার জন্য শালুর মা বসেছিলেন । আজ তিনি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবেন। তার প্রধান দায়িত্ব সুচারু রূপে পালন করতে পারলে দক্ষিণেশ্বরে মায়ের পুজো দেবেন । মেয়ে যে বিয়েতে রাজি হয়েছে এটাই তাঁর চোদ্দ পুরুষের ভাগ্য । অয়নের মতন জামাই তাদের মতন ঘর পাবেন বলে আশা করেন নি । তবে মেয়ে তাঁর ‘মা সরস্বতীর’ প্রতীক । তার সুপাত্র জুটেছে তার ই পছন্দ অনুসারে । সেটাই সব চাইতে বড় কথা । সারা পাড়া সানাইয়ের সুরে মুখরিত ।
শালুঃ কি হল গান শুনছো যে , আমার ফোন বেজেই যাচ্ছে ...!
অয়নঃ বল তোমার কথাই ভাবছিলাম ।
টিকিট কেটেছ ?
সে আর বলতে ! তোমার বলার অপেক্ষা রাখি নাকি ! কাতা হয়ে গিয়েছে । তুমি তৈরি থেক আমি তোমায় পিক উপ করে নেব। কেমন ।
ঠিক আছে । আমার কিছু কেনা কাটার আছে সেগুল সেরে নিতে হবে ডিনারের আগে । (অয়নের সঙ্গে আজ দেখা হওয়ার কথা । রাতের ডিনার এক সঙ্গে খাবে ওরা ।)
ওকে । তুমি অন্যসব জিনিষ পত্র গুছিয়ে নিয়েছ ?
সব গোছান হয়ে গিয়েছে ‘চাঁদ’ । এসে দেখতে পার ।
শালুর গলায় হঠাৎ ‘চাঁদ’ কথাটা শুনে অয়নের আশ্চর্য লাগলো । পরে ভাবে ভালো মুডে আছে রাগিয়ে কাজ নেই ।
আজ ওদের দুজনের কোলকাতা ফেরার কথা । দুজনে এক সঙ্গে ফিরছে অনেক দিন পর । মনটা দুজেনেরি খুশী । বাড়ী ফিরে অনেক কাজ ।
শালুকে খুব শান্ত সুন্দর দেখাচ্ছিল । ফ্লাইটে দুজনে পাশা পাশি সিটে বসে গল্প করছিল।
প্লেনটা , রান ওয়েতে ল্যান্ড করার আগে সিট বেল্ট পোঁরে নিল । আঃ স্বস্তির নিঃশ্বাস নীল দুজনে । ঘর ছেড়ে থাকতে ভালো লাগে না । ওদের ই বা লাগবে কেন ?
শালিনীর জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হতে যাচ্ছে ।
বাড়ী ফিরে শালু দ্যাখে বিয়ের পুরো ধুম ধাম আয়োজন । অদের আত্মীয় স্বজন সব এসে গিয়েছেন । দুই মামা মামি , মেস মাসি , এক কাকা উনি অবিবাহিত । মামাতো , মাসতুত ভাইরা সবাই এসেছে । দিদি জিজু টুকাই আছে । জিজুর মাথায় সব দায়িত্ব । ক্যাটারার যোগাড় , হলদিরামের ব্যাঙ্কে-ট হলে বিয়ের আয়োজন হয়েছে । সমস্ত কেনা কাটা ... দিদি জিজু মিলে করেছে । শালুকে, মা সব দেখাচ্ছিলেন ... শালুর মনটা অন্যমনস্ক দেখে বোঝেন ওর নিশ্চই বাবার কথা ভাবছে ।
কিরে কি হল মা ... অমন অন্য মনস্ক কেন তুই ?
কিছুনা ত ... ! কি আবার হবে ?
তবে গয়না গুল দেখছিস না কেন ? ডিজাইন টা দ্যাখ !!
(মুখ ফিরিয়ে নিয়ে) তুমিত যান আমার ও সব একদম ভালো লাগে না । এত টাকা খরচের কি ছিল ? তোমার ভবিষ্যৎ , তোমার শরীর অসুস্থ হলে কে দেখবে মা ? যদি ডাক্তার ওষুধের হঠাৎ প্রয়োজন হয় । তুমি ত সব শেষ করে দিয়েছ দেখছি ! টাকাগুলো এরকম ভাবে নষ্ট করলে ? আমরা কে কখন কোথায় থাকি !
মেয়ের কথা দ্যাখ ! ওরকম বলে না । নষ্ট আবার কি রে ? মেয়ের বিয়ে একবার ই হয় । আমার যা গয়না ছিল সেগুলো তোদের দুই বোন কে দিয়েছি । গড়ানোর মজুরি যা লেগেছে । ওরে তোরা সুখে থাকলেই আমার সুখ । আমার আবার কি হবে ? দিব্বি থাকবো । তখন ত আর তোর চিন্তা থাকবে না ! ঠাকুরের নাম নেব আর গুরুদেবের আশ্রমে যাব ।
এত টাকা নষ্ট করেছ তোমরা । সাধারণ ভাবে কি বিয়ে হয়না ? এ’ত এলাহি আয়োজন !!
জিজু দিদি ঘরে ঢ়কে । কিরে পছন্দ হয়েছে তোর ? দিদি বলে ।
তুইকি আমায় নতুন দেখছিস দিদি ? আমি এসব পরি কোন দিন ! সং সেজে যাত্রা করতে যাব ? সাধারণ ভাবে কি বিয়ে হয় না ।
না হয় না ... মা বলেন । কেন হবে ? আমার কি নেই কিছু ! হা ঘরের মত বিয়ে দিতে হবে কেন?
গায়ে হলুদঃ-
গায়ে হলুদের দিন বরের বাড়ী থেকে তত্ত্ব এল । সকলে হুমড়ি খেয়ে দেখছে কি এল বলে ।
শালু , কি সুন্দর তত্ত্ব পাঠিয়েছে । খুব সুন্দর হয়েছে ।
শালু বলে, “তোরা খুশি ত , তাহলেই হল।” আমি ওসবের কিছু বুঝি না ।
সমাজের সব রীতি সময় নির্ভরশীল । সমস্ত রীতির মধ্যে সময়ের ছাপ পড়ে তাই নাকি গয়না ছাড়া বিয়ে হয়না । তাই বাঙ্গালীদের বিবাহ উৎসবে শাড়ী গয়না এসবের আকর্ষণ এখন ও প্রচলিত । শালিনী যত বোঝালেও এদের মগজে ওই ব্যাপারটা থাকবেই কেউ ঘোচাতে পারবেনা
আজ শালিনীর বিবাহ উৎসবঃ-
এই দিনটার জন্য শালুর মা বসেছিলেন । আজ তিনি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবেন। তার প্রধান দায়িত্ব সুচারু রূপে পালন করতে পারলে দক্ষিণেশ্বরে মায়ের পুজো দেবেন । মেয়ে যে বিয়েতে রাজি হয়েছে এটাই তাঁর চোদ্দ পুরুষের ভাগ্য । অয়নের মতন জামাই তাদের মতন ঘর পাবেন বলে আশা করেন নি । তবে মেয়ে তাঁর ‘মা সরস্বতীর’ প্রতীক । তার সুপাত্র জুটেছে তার ই পছন্দ অনুসারে । সেটাই সব চাইতে বড় কথা । সারা পাড়া সানাইয়ের সুরে মুখরিত ।
সানাইয়ের সুর আমায় বলে
ছোট বেলাকে যাচ্ছ ফেলে ,
সুরু হবে নতুন জীবন ,
হিয়ার মাঝে থাকবে স্বজন ,
ফুল ফুটবে হৃদয় মাঝে ,
স্মৃতিটুকু থাক তার ই মাঝে ।
সব আত্মীয় স্বজন রা বিয়ের আয়োজন এবং খাওয়ার প্রশংসায় পঞ্চ মুখ । বর বধূকে আশীর্বাদ করে যে যার ঘরে ফিরে গেলেন । শালিনী তার নতুন জীবন আরম্ভ করবে শ্বশুর বাড়ীতে । শ্বশুর বাড়ীতে ওর সুখ্যাতিতে সব্বাই আনন্দে আত্মহারা । মোটা মুটি বিবাহ সুসম্পন্ন হল। বর বধূ বিদায় নিল কন্যা ঘর হইতে । সকলের চোখে জল । মা দিদি টুকাই সকলের কান্না কাটি দেখে শালিনী সামলাতে পারলোনা নিজেকে । তার ও চোখে জল ! বিদায় ত একদিন নিতেই হবে এটাই হিন্দু ধর্মের নিয়ম । কনকাঞ্জলি র সময় কন্যা পেছন থেকে এক মুঠো চাল ছুঁড়ে পিতৃ মাতৃ ঋণ শোধ করা হাস্যস্কর ব্যাপার । কি মনে করতো এই পুরন দিনের ব্রাহ্মণ সমাজ ? এটা যে বাবা মাকে কত অপমান করা তা তাদের ঘটে ছিলনা ! আজ এই সমাজে তাই মহিলাদের প্রত্যেক পদক্ষেপে ঘাৎ প্রতিঘাৎ সহ্য করে চলতে হয় । শিক্ষার প্রসার ঘটেছে কিন্তু কুসংস্কার এখন মানুষের মনে আছে । মানুষ শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের বিচার ধারা পাল্টান প্রয়োজন ।
বিবাহ বাসরঃ-
বিবাহ বাসরে অয়ন শালিনী র জুড়ী সকলের পছন্দ । অয়নের বন্ধুরা এই প্রথম শালিনীকে দ্যাখে । ওর বিষয় আগে শুনেছিল তবে চাক্ষুষ দেখেনি । খুব জাঁক যমকে ওদের বিয়ের রিসেপপ্সন এখানে হয় । বাপের বাড়ীর গয়না আবার শ্বশুর বাড়ীর গয়নার ভারে শালিনী খুব অস্বস্তি বোধ করছিল । এগুলো সত্যি বাড়া বাড়ি লোক দেখান বলে মনে হয় শালুর । মুখে কিছু না বললেও পরের দিন মনে মনে ভাবে শাশুড়ি মায়ের হাতে তুলে দেবে সে সব গয়না। কি হবে তার এগুলো ? মা বারে বারে বলে দিয়েছেন, ওখানে এমন কিছু না করতে যা তাদের সম্মান হানীর কারন হতে পারে । এ সব নিছক লোক দেখানি সেকেলে । এ সব সম্পূর্ণ বন্দ করা উচিৎ । যে দেশে এখন মানুষ দু মুঠো মুখে ভাত দিতে পারেনা অভাবের তাড়নায় সেখানে এগুলো তার মতে বিলাসিতা ।
মনে মনে ভাবছিল ওইসময় আরও গহনার প্রেসেন্টেসন আসে । অয়নের মাসি,পিসী,মামা মামি,কাকা সকলে যেন কম্পিটিশন করে গয়না দিতে লাগেন । অয়ন কে তার বিরক্তির কথা জানায় চুপি চুপি। ও বলে আজকের দিনটা চুপ থাকতে । পরে সব সমাধান হয়ে যাবে । অয়ন ওর মাকে ও বলে রেখেছে আগে থেকে ।
যাইহোক ক্রমে রাত অনেক হল । বর বধূ বাসর ঘরে গেল। সকলের হাঁসির ফোয়ারা ।
অয়ন , শালুর জন্য হীরের আংটি কিনে রেখেছে বাসরে দেওয়ার জন্য কিন্তু দেওয়ার সাহস নেই কারন ও জানে শালু খুব অসন্তুষ্ট হবে । ওটা ওর মতে টাকা নষ্ট করা । তবুও একবার দেখানোর ইচ্ছা ।
অয়নঃ- শালু , আমি তোমার জন্য একটা হীরের আংটি কিনেছি দেখবে ।
শালুঃ- ওই আংটি টাকি তোমার চেয়ে বেশি দামি ?
অয়নঃ- সত্যি বলছ !
শালুঃ- কেন মিথ্যের কি আছে শুনি !
অয়নঃ- তুমি সত্যি কি ধাতে গড়া ভগবান জানেন। মেয়েরা প্রেসেন্টেসেন দিলে খুশী হয় আর তুমি ?
শালুঃ- কে খুশী হয় আমার জানার ইচ্ছে নেই তবে আমি খুশী হইনা ।
অয়নঃ- তবে কিসে খুশী শুনি ?
শালুঃ- তোমার সান্নিধ্য । তোমার ভালোবাসা । ব্যাস আর কিছু চাই না ।
অয়ন:- ফ্যাল ফ্যাল করে দ্যাখে তার শালুকে । তার শালুর প্রতি গভীর শ্রধ্যা আসে । সত্যি আজকালকার মেয়েদের চেয়ে ও কত আলাদা । ওর মধ্যে লোভ নেই আছে আত্ম মর্যাদা , স্বাভিমান , সততা । অয়ন ধন্য শালুর মত স্ত্রী পেয়ে । সে নতুন ভাবে আবিষ্কার করলো শালুকে । সে শালুর ‘আবিষ্কারের নেশাকে’ মর্যাদা দেয় দেবে । এটাই তার প্রতিজ্ঞা ।
সমাপ্ত
বিবাহ বাসরঃ-
বিবাহ বাসরে অয়ন শালিনী র জুড়ী সকলের পছন্দ । অয়নের বন্ধুরা এই প্রথম শালিনীকে দ্যাখে । ওর বিষয় আগে শুনেছিল তবে চাক্ষুষ দেখেনি । খুব জাঁক যমকে ওদের বিয়ের রিসেপপ্সন এখানে হয় । বাপের বাড়ীর গয়না আবার শ্বশুর বাড়ীর গয়নার ভারে শালিনী খুব অস্বস্তি বোধ করছিল । এগুলো সত্যি বাড়া বাড়ি লোক দেখান বলে মনে হয় শালুর । মুখে কিছু না বললেও পরের দিন মনে মনে ভাবে শাশুড়ি মায়ের হাতে তুলে দেবে সে সব গয়না। কি হবে তার এগুলো ? মা বারে বারে বলে দিয়েছেন, ওখানে এমন কিছু না করতে যা তাদের সম্মান হানীর কারন হতে পারে । এ সব নিছক লোক দেখানি সেকেলে । এ সব সম্পূর্ণ বন্দ করা উচিৎ । যে দেশে এখন মানুষ দু মুঠো মুখে ভাত দিতে পারেনা অভাবের তাড়নায় সেখানে এগুলো তার মতে বিলাসিতা ।
মনে মনে ভাবছিল ওইসময় আরও গহনার প্রেসেন্টেসন আসে । অয়নের মাসি,পিসী,মামা মামি,কাকা সকলে যেন কম্পিটিশন করে গয়না দিতে লাগেন । অয়ন কে তার বিরক্তির কথা জানায় চুপি চুপি। ও বলে আজকের দিনটা চুপ থাকতে । পরে সব সমাধান হয়ে যাবে । অয়ন ওর মাকে ও বলে রেখেছে আগে থেকে ।
যাইহোক ক্রমে রাত অনেক হল । বর বধূ বাসর ঘরে গেল। সকলের হাঁসির ফোয়ারা ।
অয়ন , শালুর জন্য হীরের আংটি কিনে রেখেছে বাসরে দেওয়ার জন্য কিন্তু দেওয়ার সাহস নেই কারন ও জানে শালু খুব অসন্তুষ্ট হবে । ওটা ওর মতে টাকা নষ্ট করা । তবুও একবার দেখানোর ইচ্ছা ।
অয়নঃ- শালু , আমি তোমার জন্য একটা হীরের আংটি কিনেছি দেখবে ।
শালুঃ- ওই আংটি টাকি তোমার চেয়ে বেশি দামি ?
অয়নঃ- সত্যি বলছ !
শালুঃ- কেন মিথ্যের কি আছে শুনি !
অয়নঃ- তুমি সত্যি কি ধাতে গড়া ভগবান জানেন। মেয়েরা প্রেসেন্টেসেন দিলে খুশী হয় আর তুমি ?
শালুঃ- কে খুশী হয় আমার জানার ইচ্ছে নেই তবে আমি খুশী হইনা ।
অয়নঃ- তবে কিসে খুশী শুনি ?
শালুঃ- তোমার সান্নিধ্য । তোমার ভালোবাসা । ব্যাস আর কিছু চাই না ।
অয়ন:- ফ্যাল ফ্যাল করে দ্যাখে তার শালুকে । তার শালুর প্রতি গভীর শ্রধ্যা আসে । সত্যি আজকালকার মেয়েদের চেয়ে ও কত আলাদা । ওর মধ্যে লোভ নেই আছে আত্ম মর্যাদা , স্বাভিমান , সততা । অয়ন ধন্য শালুর মত স্ত্রী পেয়ে । সে নতুন ভাবে আবিষ্কার করলো শালুকে । সে শালুর ‘আবিষ্কারের নেশাকে’ মর্যাদা দেয় দেবে । এটাই তার প্রতিজ্ঞা ।
সমাপ্ত
No comments:
Post a Comment