মহালয়ার মহত্ব
ত্রিভুবন জিৎ মুখার্জী / ২০.০৯.২০১৪ রাত ৮.৫২ /
কৃতজ্ঞতা জানান আমাদের সংস্কৃতির এক মহান পরম্পরা । কেউ কোন উপকার
করলে আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞতা বোধ দেখিয়ে তাকে ধন্যবাদ জানাই । এই
কৃতজ্ঞতা ভাবটি আসে পূর্ব সংস্কার থেকে। ঠিক সেইরকম পিতৃ পুরুষকে
কৃতজ্ঞতা জানানোর পর্ব বা দিন হচ্ছে ‘মহালয়া’ । প্রতিবছর আশ্বিন মাসে
প্রতিপদ
তিথিতে অপরপক্ষ আরম্ভ হয়ে আমাবস্যা তিথিতে ‘মহালয়ার’ দিন শেষ হয় ।এই
পক্ষ কে ‘পিতৃপক্ষ’ বলা হয় । মহালয়া শ্রাধ্য দেওয়ার মহৎ উদ্দেশ্য – পিতা মাতা
এই সুন্দর পৃথিবীর আলো আমাদের দেখিয়েছেন । তাঁদের দুঃখ কষ্টের দিনে
আমাদের এতটুকু না বুঝতে দিয়ে আমাদের লালন পালন করেছেন । রাত কে
দিন করে আমাদের অসুখ বিসুখে আমাদের সেবা সুশ্রুসা করে আরোগ্য করেছেন।
আমাদের দিন কালে অত বড় ডাক্তার বদ্যি ছিলেন না । আমাদের মায়েরাই
টোটকা ওষুধ দিয়ে নানান আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পধ্যতির দ্বারা রোগের উপশম
করতেন। তখনকার দিনে ডাক্তার রা এত ওষুধ দিতেন না । ওষুধ তৈরি করে
দিতেন কম্পাউন্ডার রা । যাইহোক মা বাবা অনেক কষ্ট করতেন ছেলে মেয়ের
জন্য । তারমানে এই নয় যে এখনকার মা বাবারা কষ্ট করেন না । প্রসঙ্গে আসি ;
আমাদের বিশ্বাস আছে ‘শ্রধ্যা’ অর্পণ করার দ্বারা ‘শ্রাধ্য’ হয় , অর্থাৎ পিতা মাতাকে
শ্রধ্যা করেন যে ব্যক্তি , তিনি শ্রাধ্যর মাধ্যমে শ্রধ্যা অর্পণ করেন। এটাই মূল উদ্দেশ্য ।
No comments:
Post a Comment