##এঞ্জেল##
##সপ্তম পর্ব ##
©ত্রিভুবনজিৎ
মুখার্জী
মনিকাদের বাড়ি থেকে ধ্রুব আর মনিকা দুজনেই
ফেরে l রাস্তায় ধ্রুব কিছু আনাজ আর ডিম কিনে নেয় l কিন্তু মুস্কিলে হচ্ছে ওর কোয়ার্টারে
ত রান্নার জন্য কোন ইউটেনসিলস নেই l ও এই দু বছর দুধ পাউঁরুটি খেয়ে দিন কাটিয়েছে l
কেউ দেখার ও নেই বোঝার ও নেই l ও রান্না করতে জানেনা l মনিকা যদি বলে রান্না করবে তাহলে
কি করে করবে l একটা বড় ব্রেড কিনে নেয় সঙ্গে বাটার আর জ্যাম l
মনিকা বলে, এগুলো কি হবে?
- কেন আমরা খাবো l
- সে দেখা যাবে l আগে যে কাজের জন্য এসেছি
সেটার কি হয় দেখি l
- ধ্রুব বলে, তুমি ওরকম করে কাঁদলে কেন?
- আমার খারাপ লাগলো তাই l মা আমাকে কোনোদিন
মনে দুঃখ দিয়ে কোন কথা বলেন নি কিন্তু আজ তোমার সামনে আমাকে বকলেন l তাই আমার কান্না
পেলো l
- এই সামান্য কথায় কান্না পেলো?
- হ্যাঁ l আমি অপমানিত বোধ করেছি l আমায় আলাদা
করে বলতে পারতেন l আমি কিছু মনে করতাম না l
- কিন্তু তুমি এমন কিছু কথা বলেছ যা বলা উচিৎ
নয় l
- আমাকে কেউ আঘাত করলে আমি সামলে উঠতে পারি
না l
- মা জানেন আমি কোন পরিস্থিতিতে হসপিটালে
কাজ করছি l আমার পেছনে এক বিবাহিত ডাক্তার অনেক দিন ধরে আমাকে নাস্তা নাবুদ করছে l
সে আমাকে একরকম সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট করছে l ওর কাছ থেকে বাঁচতে আমাকে খুব তাড়া তাড়ি
বিয়ে করতে হবে l আমি তোমাকেই আমার ঠিক লাইফ পার্টনার হিসেবে মনে করি ধ্রুব l তোমার
মধ্যে আদর্শ পুরুষের ছবি দেখেছি এবং সব চেয়ে বড় কথা তুমি মহিলাদের সম্মান দাও l এই
গুণটা সব পুরুষের মধ্যে থাকে না l তাই আমি তোমাকে আমার সর্বস্ব দিয়ে বস করেছি l আমি
জানি আমি অন্যায় করেছি কিন্তু আমি আবেগের বসে করে ফেলেছি l তুমি আমাকে সেজন্য ভুল বুঝো
না l আমি তোমাকে ছাড়া আর কারুর সঙ্গে কোন রকম অনৈতিক সম্পর্ক রাখিনি l ট্রাস্ট মি ধ্রুব
l আই লাভ ইউ l আবার কাঁদতে শুরু করে l
- নো নো কন্ট্রোল ইয়োর সেলফ l মহিলা কাঁদলে
আমি সহ্য করতে পারিনা l আমার মা কাঁদলে আমি খুব দুঃখ পেতাম তাই আমার মা আমার সামনে
কখনো কাঁদতেন না l
- জানা রইলো l ভবিষ্যতে কাজে লাগবে চোখ পুঁছতে
পুঁছতে বলল l মানে কেঁদে তোমাকে ব্ল্যাক মেল করবো l সিম্পল l
- ওরে ব্যাস এতো সাংঘাতিক মহিলা l
- ডোন্ট ওরি l নাথিং উইল হ্যাপেন মাই ডিয়ার
l মজা করার জন্য বললাম l
ধ্রুবর কোয়ার্টার এসে গেলো l ওরা দুজনেই নেমে
এগুলো l দরজার চাবি খুলে দুজনে পাখা খুলে সোফায় বসলো l কোম্পানির দেওয়া সোফা l ঘরটা
বেশ বড় কিন্তু অগোছালো l
মনিকা কিচেনে গিয়ে চা চিনি খুঁজতে লাগলো
l একটা দার্জিলিং চায়ের প্যাকেট খোলা হয়নি l নেসকেফ র কফি আছে দেখলো l ফ্রিজে দুধের
প্যাকেট একটা আছে l মনিকা খুব ভালো করে চা বানালো l টি পট আছে দেখলো l দুটো কাপ ডিস
আছে l ব্যাস আর কি চাই l চায়ের কাপ দুটো ট্রে তে নিয়ে ড্রইং রুমে ঢুকল l
- এই নাও চা l
- দাও l কোন অসুবিধে হয় নিতো l -অসুবিধে আবার
কি?
- ওকে
চা খেতে খেতে ফোন বেজে উঠলো l দুজনেই আশ্চর্য
হয় l
ধ্রুব দৌড়ে গিয়ে ফোন ধরে l
- হ্যালো ধ্রুব জ্যোতি স্পিকিং এনি প্রব্লেম
l মে আই নো হু আর ইউ অন লাইন?
- তোর পিসি l বাবা কাজ ছাড়া কিছু বোঝে না
ছেলেটা !
- ও পিসি বলো l
- হ্যাঁরে কোন মেয়ের চক্করে পড়লি তুই? পিসিদের
ভুলে গেলি l আমরা বেঁচে আছি l
- এসব কি বলছ তোমরা?
- কেন আজ কোথায় গিয়েছিলি?
- আমার এক বান্ধবীর বাড়িতে l
- কি হোল তাতে l তোমরা আমাকে এরকম ভাবে জেরা
করছ কেন? কোই দু বছর হোল এক বার ও তো আমার কোন খোঁজ নাওনি l এখন আমি কোথায় যাচ্ছি কি
করছি সব খোঁজ নিচ্ছ l আমার নাম্বার কে দিল?
- তোর খোঁজ নিইনি ঠিক কারণ নাম্বার জানতাম
না l এখন বৌদি দিলো তাই ফোন করছি l
- আগে নাম্বার চেয়েছিলে মা কে l
- না চাইনি l
- তবে এখন কি এমন হল যে ঘরে ঢুকতে না ঢুকতেই
ফোন করছ l
কিছু মনে করোনা আমি খুব টায়ার্ড l একটু রেস্ট
নিয়ে তোমায় ফোন করবো l ওকে বাই l ফোন রেখে দেয় l
- কে? মনিকা জিজ্ঞাসা করে l
- আমার পিসি l সন্ধ্যা পিসি l বাবার খুড়তুতো
বোন l
আমাকে আর কিছু জিজ্ঞাসা করনা প্লিজ l আমি
খুব টায়ার্ড l একটু ঘুমব l
- চা টা খেয়ে নাও l
- হ্যাঁ চা খাচ্ছি l স্টর্ম ইন এ টি কাপ
l এখন বাড়িতে ঝড় উঠেছে আমাকে নিয়ে l এখন চায়ের কাপে প্রচণ্ড ঝড় উঠবে l আমি তৈরি তার
জন্য l আমার সিদ্ধান্ত কেউ পাল্টাতে পারবে না l আমি 21 বছর বয়েস থেকে বাড়ি ছাড়া l এই
সুদূর বিদেশে আছি l আমার যদি হঠাৎ শরীর খারাপ হয় আমাকে এখানে দেখার কেউ নেই l আমার
মা চোখের জল ফেলেন আমার জন্য কিন্তু তাঁর কিচ্ছু করার নেই l তিনি অসহায় এক মহিলা যার
চোখের জল ছাড়া আর কোন সম্বল নেই l
- সব মা' ই তার সন্তানকে ভালো বাসেন l এটা
তো নতুন কিছু নয় l
- সব মায়ের চেয়ে আমার মা আলাদা l সেটা তোমাকে
বোঝাতে পারবোনা l
- ওকে ফাইন l
- আমি এখন একটু রেস্ট নব l তুমিও রেস্ট নাও
l পরে কথা বলবো কেমন এই বলে ধ্রুব সোফায় একটু চোখ বুজে বসে থাকে l
মনিকা একটা বালিশ এনে ওর মাথার নিচে দেয়
l এটা ধ্রুবর খুব ভালো লাগে l ও ফিস ফিস করে বলে, ইউ আর টু মাচ কেয়ারিং l আই লাইক ইট
l
- ঠিক আছে তুমি রেস্ট নাও আমি কিচেনে যাচ্ছি
l এই বলে মনিকা কিচেনে চলে যায় l
©
ত্রিভুবন জিৎ মুখার্জী
মনিকা
রান্না ঘরে গিয়ে দেখে রান্না করার মতন কিছুই নেই l চাল, ডাল, তেল, নুন কিছুই নেই l
বড় অদ্ভুত লোক ধ্রুব l ওদের বাড়ি থেকে ওর মা যদি কখনো এসে পড়েন উনি তো কিছুই করতে পারবেন
না l না: আমাকেই এর ব্যবস্থা করতে হবে l
সারা
রান্না ঘর হাতড়ে একটা কড়া সেটাও ভালো করে মাজা হয়নি, একটা হাতা, খুন্তি আর সস প্যান
l চা কফি চিনি আছে সঙ্গে চামচ l কি করবে কিছুই ভেবে পেলো না l শেষে ব্রেড বাটার আর
বাটার দিয়ে ডিমের অমলেট বানায় l ও যে এতো আনাজ কিনে আনল সেগুলো রান্না হবে কি করে?
সত্যি লোকটা র মাথায় ছিট আছে l আমাকে কি বিপদে ফেললো বলুন তো l একটু আলু সিদ্ধ করি
l কিন্তু নুন নেই কি করে খাবে l ঘুম থেকে উঠেই তো বলবে খাবো l দুর ভালো লাগেনা l আমাকেই
সব সংসারের দায়িত্ব নিতে হবে l বাজার, রেশন, ঘর গুছানো সব সব l
এর
মধ্যে বাবু উঠে পড়েছেন l
মনিকা
জিজ্ঞাসা করে আপনার ঘুম হোল?
-
কেন না হওয়ার কি আছে?
-
নমস্কার করে বলে সত্যি আপনাকে কি বলবো? ঘরে তো কিছুই নেই কি দিয়ে রান্না করবো !
-
আমিতো ব্রেড বাটার, মিল্ক আর ডিম সিদ্ধ খাই l তাই না হয় খাবো l
-
ডিমটা কি চিনি দিয়ে খাবেন?
-
ওহো l মনেই নেই নুন নেই বলে l একটা প্যাকেট একটা বছর গেলো আর কতো যাবে?
ঠিক
আছে কাল সব নিয়ে আসবো l চিন্তা করনা l
-
কাল আমি সব নিয়ে আসবো l তোমায় কিচ্ছু করতে হবেনা l তুমি গুছিয়ে আনতে পারবে না l তা
ছাড়া তুমি এখানকার কিছুই চেনোনা কোথায় কি পাওয়া যায় l
-কিন্তু
তুমি আমার বাড়িতে সব কিনে আনবে কেন? ওটাতো আমার দায়িত্ব l
-
আহারে আমার দায়িত্ব বান পুরুষ l সত্যি তুমি মায়ের আঁচলে থাকার ছেলে l এখন আজকের মতন
এই খাও বলে ব্রেড, বাটার, জ্যাম আর একটা গেলাস গরম দুধ দেয় l
-
তুমিও কি এই খাবে? সত্যি আমার জন্য তোমার খাওয়াটা গেলো l আমি কি কিছু নিয়ে আসবো হোটেল
থেকে? কাছেই আছে l
-
এই রাত নটায় কে তোমাকে হোটেলে রান্না করে দেবে?
-
দাঁড়াও আমি এখুনি আসছি নিয়ে, বলে শার্ট টা গলিয়ে চলে যায় l
-
মনিকা বলে খেয়ে যাও কিছু l ওরকম হন হন করে যেতে হবেনা l
কে
কার কথা শোনে... প্রায় দৌড় দেয় ধ্রুব l
'পাগল'
মনিকার মুখ থেকে বেরিয়ে পড়ে কিন্তু মানুষটা ভালো l গোয়ার ছেলেগুলো এক নাম্বারের.....
হঠাৎ ফোন বাজে... কি হোল কে হতে পারেন মা কি ফোন করছেন l
-
হ্যালো l
-
ধ্রুব কোই? মায়ের গলা l
-
যাক বাঁচা গিয়েছে l ধ্রুব একটু বেরিয়েছে মা l আমায় বল?
-
তুমি কি আজ ওখানেই থাকবে?
-
হ্যাঁ ! কেন?
-
সেরকম তো কথা ছিল না l তুমি তো ফিরে আসার কথা !
-
এখনো ধ্রুবর বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা হয়নি l ধ্রুব এসেই ঘুমিয়ে পড়ে l আমি ডাকিনি l টায়ার্ড
ছিল l এখুনি একটু কাজে বাইরে বেরিয়েছে l
-
ঠিক আছে, এলে বল আমি ফোন করেছিলাম বলে l
-
এলে বলে দেব l তোমার খাওয়া হয়েছে?
-
হ্যাঁ l তুমি খেয়ে আমাকে ফোন করবে কি কথা হোল? সেটা অবশ্য ধ্রুবর মুখ থেকেই শুনবো
l
-
ওকে l বাই l
-
বাই l
কিছুক্ষণের
মধ্যেই ধ্রুব হাতে দুটো প্যাকেট নিয়ে এলো একটা বড় পলিথিন প্যাকেটে l ঘরে ঢুকেই বলল
তন্দুরি রুটি, চিকেন, ডাল ফ্রাই আর সালাদ আনলাম l আজ এই দিয়ে চালিয়ে দাও - ঠিক আছে
তুমি হাত পা ধুয়ে বস ডাইনিং চেয়ারে l আমি সব সাজিয়ে আনছি l
ধ্রুব
বাথরুম এ গেলো l বেসিন এ হাত ধুয়ে ফিরে আসে তোয়ালে নিয়ে l হাত পুঁছতে পুঁছতে বলে কোন
ফোন এসেছিলো?
-
হ্যাঁ আমার মা ফোন করেছিলেন l এখন আমার মা আমায় বিশ্বাস করেন না l বললেন তুমি এলে তোমায়
বলতে তোমার মার সঙ্গে কি কথা হোল? খুব তাড়া তাড়ি মাকে পটিয়ে ফেলেছ l
-
স্বাভাবিক l এক গোয়ালের গরু l উনি আমাকে বিশ্বাস করবেন সেটাই স্বাভাবিক l
-
ওই যে গোয়াল l
-
তা উনি না হয় গরু, তুমিও কি তাই?
-
না আমি ওনার বাছুর l মানে ছেলে l
-
দেখাচ্ছি তোমায় l আমার মাকে আমার থেকে আলাদা করে বলে কিনা.. ছেলে !
-
খিদে পেয়েছে l এবার একটু ক্ষান্ত হও l
-
দিচ্ছি দিচ্ছি l দাঁড়াও ! খাবার গুলো নিয়ে রান্না ঘরে যায় l
-
প্লেট সাজিয়ে পরিষ্কার করে সব নিয়ে আসে l সঙ্গে ডিমের অমলেট আর ব্রেড বাটার ও l
ওরা
দুজনে ডাইনিং টেবিলে মুখো মুখি বসে খাওয়া শুরু করলো l
খাওয়া
শেষ করে মুখ হাত ধুয়ে ব্রাশ করে নেয় দুজনে l
এর
পর ধ্রুব মাকে ফোন করে l
রিং
হচ্ছিলো কিন্তু কেউ ওঠাচ্ছেন l কিছুক্ষণ রিং হওয়ার পর মায়ের আওয়াজ এলো l
-
হ্যালো ধ্রুব বাবা !
-
হ্যাঁ মা আমি বলছি l তুমি কেমন আছো মা?
-
ভালো l রাতে খেয়েছিস কিছু l হ্যাঁ আজ খুব খেয়েছি মা l সকালে মনিকাদের বাড়িতে ওর মা
রকমারি রান্না করে খাইয়েছেন l বিরিয়ানি, বাটার চিকেন, আনারস এর চাটনি, পমফ্রেট ফ্রাই
, ভেজিটেবল কোফতা, ফ্লুট সালাদ, গোবিন্দ ভোগ চালের পায়েস l আমি সব খাইনি l অতো আইটেম
কি খাবো? আমি খেয়েছি , চিকেন বিরিয়ানি, বাটার চিকেন, গোবিন্দ ভোগ চালের পায়েস, আনারসের
চাটনি, আর ফ্লুট সালাদ l মাছ আমি খাইনা তুমি তো জানো l পমফ্রেট মাছ খাইনা l আন্টি খুব
যত্ন করে খাইয়েছেন l উনি মধ্যম গ্রামের মেয়ে l ওনার আসল নাম সুকন্যা চক্রবর্তী l লেখা
পড়ায় ভালো ছিলেন l কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি থেকে সিনিয়র কেমব্রিজ পাস করে নার্সিং পড়েন
l তারপর এখানে সরকারি চাকরি করেন l
-
ভালো l তুমি ভালো আছো জেনে খুশি হলাম বাবা l ঈশ্বর তোমাকে সুবুদ্ধি দিন l
-
আজ দু বছর পর তোমার হাতের ছোঁয়া আন্টির রান্নায় পেলাম l তাই খাওয়ার পর একটু ঘুমিয়ে
পড়েছিলাম l ফোন করতে দেরি হয়ে গেলো l তুমি কিছু মনে করনিত মা?
-
না না মনে আবার কি করবো l হতেই পারে l মানুষের সুবিধে অসুবিধে আছে ত l
-
আমি তোমাকে একটা কথা বলবো মা l
-
বলছি আমি মনিকাকে বিয়ে করতে চাই l তোমাদের মতা মত চাই l
-আমি
কে বাবা? তুমি তো তোমার বাবাকে চেন l উনি শুনেই খুব রাগ করেছেন l
-
কিন্তু এখানে ও ছাড়া আমায় কে দেখবে মা? তুমি বল l তুমি তো আস্তে পারবেনা l আমি আজ দু
বছর ব্রেড বাটার দুধ খেয়ে রাতে শুই l খিধে পেলেও কিছু করার নেই l সকালে উঠে ওই একটা
জিনিস খেয়ে দৌড়োই ফ্যাক্টরিতে l ওখানে লাঞ্চ খাই l কিন্তু ভালো লাগেনা l আমি প্রায়
নর্থ ইন্ডিয়ান ভেজিটেরিয়ান লাঞ্চ খাই l এখানে মাছের গন্ধে আমার বমি পায় l
-
সব জানি বাবা l আমার অদৃশ্য l তোমাদের বাবা ছেলের মাঝে আমি পিষে যাচ্ছি l না পারছি
গিলতে না পারছি ফেলতে l একমাত্র মরণ ই আমার এই জ্বালা থেকে রেহাই দেবে l
-
এ কি বলছ মা? আমি কি করলাম l তোমরা তো আমার জন্য একটা দিন ও চিন্তা করনি মানে বাবার
কথা বলছি ! উনি কি খবর নিয়েছেন আমি কেমন আছি?
-
আমি ত আমার মাস মাহিনার অর্ধেক তোমাদের পাঠিয়ে দি যাতে তোমরা ভালো থাকো l তবুও আমি
তোমাদের মন পেলাম না l আমি কি করবো বল?
-
আমাকে কিচ্ছু বল না l এখুনি গর্জন আরম্ভ হবে l আমি নাচার l আমি চাই তুমি শান্তিতে থাকো
l ব্যাস আর কিচ্ছু চাইনা l
-
তাহলে আমি কি বলবো মনিকার মাকে?
-
আমায় জিজ্ঞাসা করোনা না l
-
তোমার কি মত?
-
ওইতো বললাম তুমি যাতে সুখী থাকো সেটাই আমি চাই l
-
ঠিক আছে আমি এবারে রাখছি l বাবাকে প্রণাম জানিও l তুমি আমার প্রণাম নিও
-
আশীর্বাদ করি শান্তিতে থাকো বাবা l শরীর সুস্থ রেখো l খাওয়ার দাওয়া ঠিক করে করবে l
দূরে থেকে আর কি বা বলতে পারি l ঠাকুরকে সব সময় তোমার জন্য প্রার্থনা করি l তাঁর ইচ্ছা
l তিনি যা চাইবেন তাই হবে l
-
রাখি তাহলে মা l তুমি সাবধানে থেকো l আমার জন্য চিন্তা করবে না l আমি ভালোই আছি l
ফোন
রেখে মনিকার দিকে তাকায় l
-
মা কিছুই বললেন না l
-
শুনেছি l বুঝেছি l উনি আর কি করবেন l যা বলার ত তোমার বাবাই বলবেন l পুরুষতান্ত্রিক
সমাজে নারীরা স্বাধীনতা কোন দিন ই হবে না l তোমার মায়ের অবস্থা তাই l বাকি রইলো আমার
মা আর তুমি l আমার মা কি বলেন শুনবো কাল l আজ শুয়ে পড় l আমার সকালে ডিউটি আছে l গুডনাইট
l দুজনে একটা ই বিছানায় কিন্তু একে অপরের অন্য দিকে ঘুরে শুয়ে পড়লো l
No comments:
Post a Comment