Thursday, June 18, 2015

শ্রী জগন্নাথ মহাপ্রভুর নবকলেবর যাত্রা ২০১৫ (বঙ্গাব্দ ১৪২২ সাল)



    1.   নব-কলেবর কি? | সনাতন ধর্মতত্ত্ব
https://sanatandharmatattva.wordpress.com/.../নব-কল...
o     
সনাতন ধর্মতত্ত্ব. সচ্চিদানন্দরূপায় কৃষ্ণায়াক্লিষ্টকারণে। নমো বেদান্তবেদ্যায় গুরবে বুদ্ধিসাক্ষিণে।। Main menu. Skip to content ... বনযাগ যাত্রা কি ?ঃ- তিন ঠাকুরের নব-কলেবরের জন্য দারু সংগ্রহর জন্য যাত্রা কে 'বনযাগ যাত্রা' বলে । পুরীর গজপতি রাজার আজ্ঞা প্রাপ্তির পর একটি বিশেষ দল , দল-বধ্য হয়ে যাত্রা আরম্ভ করে। গজপতি রাজা ...

Tag Archives: নব-কলেবর কি?



শ্রী জগন্নাথ মহাপ্রভুর নবকলেবর যাত্রা ২০১৫ (বঙ্গাব্দ ১৪২২ সাল)




ত্রিভুবন জিৎ মুখার্জী / ৩১.০৩.২০১৫(বুধবার) / সন্ধ্যা ৭.৫০ ।   
পুরী কেবল মাত্র সমুদ্র,মন্দির,অন্যান্য সুন্দর সুন্দর দর্শনিও স্থান এর ক্ষেত্রই নয় বরং নানা উৎসব এবং যাত্রার মাধ্যমে পুরীর বৈচিত্র্য এক আলাদা তীর্থ স্থানের উপলব্ধি দেয় ।শ্রী জগন্নাথ মহাপ্রভুর  রথ যাত্রা বিশ্ব প্রসিদ্ধ । ভারত বর্ষের প্রায় প্রত্যেক সহরে এর অনুকরণে রথ যাত্রার আয়োজন মহা আড়ম্বরে হয় কিন্তু পুরীর রথ যাত্রার মহাত্ম আলাদা । পুরীকে শঙ্খ ক্ষেত্র , নীলাচল ক্ষেত্র , পুরুষোত্তম ক্ষেত্র  ইত্যাদি বহু নামে নামিত করা হয়েছে । যুগ যুগ ধরে কোটি কোটি ভক্তের সমাগম হয় শ্রী জগন্নাথ মহাপ্রভুর দর্শন অভিলাষে। শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু ,শিখ ধর্ম গুরু , গুরু নানক , এই শ্রী ক্ষেত্রে তাঁদের স্মৃতি ছেড়ে গিয়েছেন । পুরীর স্বর্গ দ্বারের কাছে এক চৌ মাথার মোড়ে , শ্রী চৈতন্য দেবের মূর্তি আছে। শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু গৌড় বাট সাহির রাস্তায় শ্রী মন্দিরে রোজ দর্শনে যেতেন , তাই ওই রাস্তার নাম গৌড় বাট (বাট= রাস্তা )।
ভারতবর্ষের চার ধাম (১) পশ্চিমে ,‘দ্বারকা ধাম’ গুজরাটের  দ্বারকায় , ‘দ্বারকাধিশ’  শ্রী কৃষ্ণর মন্দির বিদ্যমান। (২) উত্তরে  ‘কেদারনাথ ধাম’  কেদারনাথের মন্দির বিখ্যাত শিবের মন্দির ,হিমালয়ের গাড়োয়াল অঞ্চলে  উত্তরাখণ্ডের মন্দাকিনী নদীর ধারে অবস্থিত । (৩)  পূর্বে শ্রী জগন্নাথের , “পুরুষোত্তম ক্ষেত্র”   (৪) দক্ষিণে “রামেশ্বরম রামেশ্বরমের  মন্দির ভগবান শিবের মন্দির। হিন্দু মতে এই চার ধাম ই ভারতের সর্ব বৃহৎ তীর্থস্থান । চার ধামের দর্শনে মহা পুণ্য সাধন হয় । এর মধ্যে শ্রী ক্ষেত্র অন্যতম ।  
নব-কলেবর কি?ঃ- সাধারণ ভক্তের মনে নব-কলেবর কেন হয় এবং এর বিশেষত্ব কি এই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক । যে বছর জোড়া আষাঢ় পড়ে সেই বছরটি শ্রী জগন্নাথ , বলভদ্র ও মা সুভদ্রার নব-কলেবর হয়  নব-কলেবর অর্থাৎ প্রভু জগন্নাথ ,বলভদ্র , দেবী সুভদ্রা ও সুদর্শনের  নতুন বিগ্রহ প্রস্তুতির পরে   ব্রহ্ম পরিবর্তন , নবযৌবন দর্শন এবং রথ যাত্রা উৎসব ।
বিগ্রহর প্রস্তুতির জন্য দারু অন্বেষণ যা কাকটপুরের মা মঙ্গলার স্বপ্নাদেশে বনযাগ যাত্রা নামে বলা হয় । এই যাত্রা থেকে নব-কলেবরের প্রস্তুতি পর্ব আরম্ভ ।
নব-কলেবর সম্বন্ধে কিছু তথ্য:-
যে বছর জোড়া আষাঢ় পড়ে সেই বছরটি শ্রী জগন্নাথ , বলভদ্র ও মা সুভদ্রার নব-কলেবর হয় ।  সাধারণত জোড়া আষাঢ় ৮১২ ,১৬ কিম্বা ১৯ বছর পর পড়ে । এবারে ১৯ বছর পর তিন ঠাকুরের নব-কলেবর যাত্রা সম্পন্ন হবে। বিংশ শতাব্দীর নব-কলেবর যাত্রা প্রথমে ১৯১২ ,১৯৩১ ,১৯৫০ , ১৯৬৯ , ১৯৭৭ এবং ১৯৯৬ সালে হয়েছিল। এই বছর অর্থাৎ ২০১৫ সালে নব-কলেবর যাত্রা ১৯ বছর বাদে পড়েছে । নব-কলেবর

১। বনযাগ যাত্রা:-    পুরীর গজপতি রাজা শ্রী দিব্য-সিংহ দেব রাজগুরু কে পৈতে , বস্ত্র এবং সুপুরি প্রদান করে বঞ্জাগ যাত্রার জন্য আদেশ দেন   এই পরম্পরাকে গজপতি “রাজার আজ্ঞা” বলে বলা হয়। অর্থাৎ রাজা আদেশ দিলেন রাজগুরুকে , তিন ঠাকুরের জন্য দারু অন্বেষণে বনে যাওয়ার আয়োজন কর । সেইথেকে  বনযাগ যাত্রার শুভারম্ভ হল । যে বছর নব-কলেবর যাত্রা  থাকে তার পূর্ব বৎসরের চৈত্র মাসের শুক্ল দশমী থেকে সুরু হয় বনযাগ  যাত্রা । অর্থাৎ ১৪২১ চৈত্র মাসের শুক্লা দশমী তে আরম্ভ হল  ১৪২২ এর নব-কলেবর যাত্রার জন্য।

বনযাগ যাত্রা কি ?ঃ-  তিন ঠাকুরের নব-কলেবরের জন্য দারু সংগ্রহর জন্য যাত্রা কে বনযাগ যাত্রা’  বলে । পুরীর গজপতি রাজার আজ্ঞা প্রাপ্তির পর একটি বিশেষ  দল , দল-বধ্য হয়ে যাত্রা আরম্ভ করে। গজপতি রাজা দিব্য-সিংহ দেব ; পুরী রাজার রাজগুরু কে পৈতে , বস্ত্র এবং সুপুরি প্রদান  করে এই যাত্রার শুভারম্ভ করেন ।  এই পরম্পরাকে “গজপতি রাজার আজ্ঞা” বলে বলা হয়।  অর্থাৎ রাজা আদেশ দিলেন রাজগুরুকে , তিন ঠাকুরের এবং সুদর্শনের  জন্য দারু অন্বেষণে বনে যাওয়ার আয়োজন কর ।
সে-ইথেকে  বনযাগ যাত্রার শুভারম্ভ:-
রাজগুরু যিনি জগন্নাথ মন্দিরের মুখ্য সেবায়ত , তিনি এই সংকল্প সুপারি দইতাপতি(রথের সময় এরা তিন ঠাকুরের সেবায়ত) দলপতি শ্রী হলধর দাস-মহাপাত্র কে প্রদান করেন । এই পরম্পরাকে শ্রী ক্ষেত্রে “গুয়া টেকা” বলে। এই সমস্ত পদ্ধতি গত ২৯  মার্চ ২০১৫(রবিবার) চৈত্র শুক্ল দশমী তে সুসম্পন্ন হয়েছে । এর পর জগন্নাথ মন্দিরের সিংহ দ্বার থেকে বনযাগ যাত্রা সুরু হল। শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের তিন ঠাকুরের   মধ্যাহ্ন ভোগের পর  অপরাহ্ণ ৩ টের সময় দারু-গৃহ অনুকূলের পর এই যাত্রা সুরু হয় ।
এই যাত্রাতে বরিষ্ঠ দইতাপতি হলধর দাস মহাপাত্র র সঙ্গে দলপতি অধ্যাপক দুর্গা-প্রসাদ দাস মহাপাত্র , ৯৬ জন দইতাপতি , ১৪ জন ব্রাহ্মণ , ১০ জন বিশ্বকর্মা(কাষ্ঠ শিল্পী) , শ্রী মন্দিরের ২ জন  পুরোহিত , ২ জন রাজগুরু , ১ জন পতি-মহাপাত্র , ১ জন লেঙ্কা , ১জন দেউল করণ(কায়স্থ) , ১ জন তঢ়উ করণ ,  সর্ব মোট ১৩০ জন  , মন্দিরের পুলিশ , ডাক্তার , এবং দারু পরিবহনের জন্য তিনটি বিশেষ ভাবে সজ্জিত গরুর গাড়ী । এখানে উল্লেখ যোগ্য সকলে পদব্রজে এই যাত্রা পুরী থেকে কাকটপুর মঙ্গলা মন্দির অবধি পুরী- কোণার্ক মেরিন ড্রাইভের রাস্তায় যাত্রা করবেন ।  ২৯ শে মার্চ ২০১৫(রবিবার)  সকলে পুরীর জগন্নাথ বল্লভ মঠে রাত্রিযাপন করেছিলেন ।
রাস্তায় বিভিন্ন যায়গায় বিশ্রাম এবং শ্রী মন্দির প্রশাসন থেকে খাদ্যের ব্যবস্থা আছে । সকলে মাটিতে শয়ন করবেন এবং সাত্ত্বিক মন্দিরের প্রসাদ সেবন করবেন । দিনের বেলায় ফল মূল ছাড়া অন্য কিছু আহার নিষিদ্ধ । রাত্রে বিশ্রাম এবং মহা-প্রসাদ সেবন।
এর পরদিন অর্থাৎ ৩০ শে মার্চ ২০১৫(সোমবার) শ্রী জগন্নাথ বল্লভ মঠ থেকে বিলম্বিত রাত্রিতে বেরিয়ে পুরীর সন্নিকটে নুআনই , বালিঘাই হয়ে রামচন্ডী মন্দিরে তে ৩১ শে মার্চ ২০১৫(মঙ্গলবার)  রাত্রিযাপন এবং বিশ্রাম ।    ১ লা এপ্রিল ২০১৫(বুধবার) পূর্বাহ্ণে যাত্রা সুরু এবং রাত্রে কুঢেই গ্রামের “শঙ্করে-শ্বর মন্দিরেরাত্রিযাপন ।
১ লা এপ্রিল ২০১৫(বুধবার) পূর্বাহ্ণে যাত্রা সুরু এবং রাত্রে কুঢেই গ্রামের “শঙ্করে-শ্বর মন্দিরে” রাত্রিযাপন ।
২রা এপ্রিল ২০১৫ তে কাকটপুর “মা মঙ্গলার মন্দিরে” পৌঁছবেন । মা মঙ্গলার মন্দিরের “দেউলি মঠে” ২ তারিখে সকলে পৌঁছে রাত্রিযাপন করবেন ।
৩রা এপ্রিল ২০১৫ থেকে মা মঙ্গলার পূজার্চনা সুরু হবে । এর পর মা মঙ্গলা প্রসন্ন হলে স্বপ্নাদেশ হবে দারুর অবস্থিতি সম্পর্কে সূচনা । এসব প্রক্রিয়া সুসম্পন্ন হওয়ার পর দারুর সন্ধানে বনযাগ যাত্রীরা যাত্রা করবেন নির্দিষ্ট স্থানে 
নব-কলেবর নিমিত্ত তিন ঠাকুরের জন্য যে বৃক্ষ চিহ্নিত করা হয় বা ব্যাবহার করা হয় তার লক্ষণ গুলি নিম্ন লিখিত অনুসারে নির্বাচন করা হয়:-
১. বৃক্ষ টি নিম বৃক্ষ হওয়া প্রয়োজন ।
২. বৃক্ষের অনতিদূরে ঊই ঢ়িপি , নদী , স্মশান কিম্বা পুষ্করিণী থাকা অনিবার্য । বৃক্ষের কাছে বেল গাছ ,তুলসী গাছ থাকা প্রয়োজন ।
৩. বৃক্ষে কোন পাখির বাসা থাকবে না , ঊই ঢ়িপির কাছে নাগ সাপ গাছটিকে পাহারা দিতে দেখা যাবে ।
৪. বৃক্ষের কোন অংশ কীট পতঙ্গ দ্বারা আক্রান্ত , কিম্বা বজ্র পাতের চিহ্ন থাকবে না । পূর্বে কোন ডাল কাটা না হওয়া প্রয়োজন । কোন রকম খুঁত থাকা চলবে না ।
৫. সেই বৃক্ষে শঙ্খ , চক্র , গদা ,পদ্ম চিহ্ন থাকা প্রয়োজন ।
৬. বৃক্ষটি অন্যূন ১২ ফুট  লম্বা সোজা এবং মোটা হওয়া প্রয়োজন যাতে অনায়াসে বিশ্বকর্মার দ্বারা  মূর্তি নির্মাণ কর্ম সুসম্পন্ন হবে ।
উপরোক্ত লক্ষ্মণ গুলি অনিবার্য এবং তারপর অন্বেষণকারী দল ঠিক করে পবিত্র দারু নির্বাচন করেন। এরপর দারু নির্বাচন কার্য সুসম্পন্ন হয় । বিশ্বকর্মা এরপর মাপজোপ করেন । এরপর যথাবিধি যজ্ঞশালা , যজ্ঞকুণ্ড , অঙ্কুরারোপণ গৃহ  নির্মিত হয়ে বনযাগ হোম আরম্ভ হয় । এরপর আচার্য অস্ত্র-পূজায় বসে সোনা , রুপো ও লৌহ কুড়ুলকে যথাক্রমে বিদ্যাপতি , বিশ্বাবসু ও বিশ্বকর্মা সেবকদের সহায়তায় বৃক্ষ ছেদন করা হয়

দারু ঘোষনাঃ-   বর্তমানের প্রশাসনের নির্দেশানুযায়ী কোন টিভি চ্যানেল কিম্বা অন্য মিডিয়ার লোক গণমাধ্যমে পূর্ব সূচনা দিতে পারবেন না । দারুর ফটো চিত্র উত্তোলন কিম্বা ভিডিও রেকর্ডিং নিষেধ । কোন সেবায়তের সঙ্গে সাক্ষাৎকার নিষেধ আছে । প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকে এইসব   ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে । পবিত্র দারু সরকারি স্তরে ঘোষণা হবে এবং সেবায়ত ব্যতীত কোন জনসাধারণের স্পর্শ নিষেধ । দারু উত্তর দ্বার পথে শ্রী মন্দিরে প্রবেশ হবে।
প্রশাসনিক ব্যবস্থা সম্পর্কে সূচনা:-
একবিংশ শতাব্দীর এই প্রথম নব-কলেবর যাত্রার প্রারম্ভে প্রশাসনের গুরু দায়িত্ব যাত্রীদের সুরক্ষা,সুব্যবস্থা এবং সুচারু রূপে যাত্রা সুসম্পন্ন করা , যার প্রস্তুতি এবং ঘন ঘন মিটিং সুরু হয়েছে বৎসরের প্রারম্ভ থেকেই । এর জন্য পুরী টেম্পল এডমিনিস্ট্রেশনের মুখ্য প্রশাসক শ্রী সুরেশ চন্দ্র মহাপাত্র , আই।এ।এস ; পুরীর জেলা প্রশাসক (কালেক্টর) শ্রী অরবিন্দ অগরওয়ালআই।এ।এস , পুরীর  গজপতি রাজা , মহামান্য শ্রী শ্রী দিব্য-সিংহ দেব  (চলন্ত বিষ্ণু বলে বলাহয় তাঁকে) ,  পুরীর বিধায়ক শ্রী মহেশ্বর মাহান্তী এবং পুরীর সাংসদ শ্রী পিনাকী মিশ্র । তা ছাড়া  মন্দিরের মুখ্য পাণ্ডা , দইতাপতি ও সেবায়তদের নিয়ে দফায় দফায় মিটিং চালিয়ে যাচ্ছেন । এর থেকে সহজেই অনুমেয় প্রশাসনের ব্যগ্রতা শ্রী জগন্নাথ মহাপ্রভুর নব-কলেবর যাত্রা যাতে সুসম্পন্ন হয় নির্বিঘ্নে ।
২০১৫ সাল জগন্নাথ রথ যাত্রার এক বিশেষ উৎসবের দিক হল ‘নব-কলেবর’ এবং এর জন্য রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র সরকার উভয়েই প্রশাসনিক দিক থেকে তৎপর যাতে শ্রী জগন্নাথের নব-কলেবর যাত্রা সুচারু রূপে সম্পন্ন হয়। তাই কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী শ্রীযুক্ত ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং পর্যটন মন্ত্রী ডক্টর মহেশ শর্মা র নেতৃত্বে এ বছরের জগন্নাথের রথ যাত্রার বিশেষ নামকরণ করা হয়েছে যার নাম সরকারি স্তরে ধার্য হয়েছেনব-কলেবর রথ যাত্রা”  এজন্য কেন্দ্র সরকার-থেকে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ।  আশা করা হচ্ছে এই বছর নব-কলেবরের সময় ২০ – ২৫  লক্ষ  ভক্তের সমাগম হবে । তাই প্রত্যেক ক্ষেত্রে প্রশাসনের যাত্রীদের  সুব্যবস্থার কথা মাথায় রেখে  কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার উভয় কিছু নতুন পদক্ষেপ নিয়েছেন। ভুবনেশ্বর থেকে পুরী যাওয়ার নতুন করে ৪ লেনের রাস্তা সম্পূর্ণ হয়ে-গিয়েছে তাই পুরী যেতে মাত্র ১ ঘণ্টা সময় লাগছে। রেল লাইন দোহরিকরন হয়েছে । বাস টার্মিনাল , কার পার্কিং ইত্যাদি নতুন করে মালতিপাটপুরের কাছে তৈরি হয়েছে। প্রায় প্রত্যেকটা ছোট ছোট যায়গা যেমন পিপিলিসাক্ষীগোপাল ,চন্দন-পুর বাইপাস করে রাস্তা তৈরি হয়েছে । ভুবনেশ্বর থেকে রেড লাইন নন স্টপ বাতানুকূল বাস চালু হয়েছে পুরী পর্যন্ত যাত্রীদের সুবিধের জন্য ।
২০১৫ নব-কলেবরের জন্য কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের বিশেষ বাজেট:- ১) শ্রী জীউ জগন্নাথ,বলভদ্রদেবী সুভদ্রা র নব-কলেবরের নীতির জন্য ২১ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা ব্যয় বরাদ্দ হয়েছে   ২) শ্রী মন্দিরের চতুষ্পার্শ্বের রাস্তা  মেরামত এবং সম্প্রসারন  যার  ব্যয় বরাদ্দ রাশি ২০ কোটি টাকা ,   ৩) জয়-বিজয় দ্বারের রুপোর ছাউনির জন্য ২ কোটি টাকা , ৪) প্রভুর দৈনন্দিন নীতি সম্পাদন এবং সেবা পূজার উদ্দেশ্যে ১৫ কোটি ৩২ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা ব্যয় বরাদ্দ হয়েছে , ৫) শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের কর্মচারীদের মাস মাহিনা  এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যয় বাবদ ২৫ কোটি ২৫ লক্ষ ৭৪ হাজার ৮৫০ টাকা ব্যয় বরাদ্দ , ৬) সেবায়তদের পুত্র সন্তানদের বৈদিক শিক্ষা বাবদ এক আদর্শ বিদ্যালয় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রতিষ্ঠা হবে । ৭) প্রশাসনিক ক্ষেত্রে ৩ কোটি ২৭ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা ব্যয় বরাদ্দ , 8) শ্রী গুন্ডিচা মন্দিরের সংগ্রহালয় নির্মাণের প্রস্তাব ,  আনন্দ বাজার পুনরুজ্জীবিত , আঠার নালার গরুড় মূর্তি প্রতিষ্ঠা , শ্রী গুন্ডিচা ভক্ত-নিবাস নির্মাণ ,
২০১৫ নব-কলেবরের কার্য্যসূচী ঃ-
১. ২৯ মার্চ ২০১৫ রবিবার , বনযাগ যাত্রা আরম্ভ ২০১৫ নব-কলেবর কার্য্যসূচী ঃ-
১. ২৯ মার্চ ২০১৫ রবিবার , বনযাগ যাত্রা আরম্ভ (সম্পূর্ণ যাত্রা পদব্রজে) ,  চৈত্র মাসের শুক্ল দশমী থেকে সুরু হয় বনযাগ  যাত্রা । জগন্নাথ বল্লভ মঠে রাত্রিযাপন ।
২. ৩০ মার্চ ২০১৫ সোমবার , মধ্য রাত্রিতে দইতাপতিরা জগন্নাথ বল্লভ মঠ ছেড়ে ‘নুয়ানোই’ নদীর কূল সংলগ্ন আশ্রমে রাত্রিযাপন
৩. ৩১ মার্চ ২০১৫ মঙ্গলবার , আশ্রম থেকে বেরিয়ে মেরিন ড্রাইভ রাস্তায় পদব্রজে রামচন্ডী মন্দিরে রাত্রি যাপন ।
৪. ১ লা এপ্রিল  ২০১৫ বুধবার  পূর্বাহ্ণে যাত্রা সুরু এবং রাত্রে ‘কুঢেই’ গ্রামের “শঙ্করে-শ্বর মন্দিরেরাত্রিযাপন ।
৫. ২রা এপ্রিল ২০১৫ বৃহস্পতিবার তে কাকটপুর “মা মঙ্গলার মন্দিরে” পৌঁছবেন । মা মঙ্গলার মন্দিরের “দেউলি মঠে” ২ তারিখে সকলে পৌঁছে রাত্রিযাপন করবেন ।
৬.  ৩রা এপ্রিল ২০১৫ শুক্রবার  থেকে মা মঙ্গলার পূজার্চনা সুরু হবে । এর পর মা মঙ্গলা প্রসন্ন হলে স্বপ্নাদেশ হবে দারুর অবস্থিতি সম্পর্কে সূচনা ।
৭. ৪ঠা এপ্রিল ২০১৫ শনিবার থেকে দারু অন্বেষণে ৬ টি দলে বিভক্ত হয়ে পবিত্র দারু সন্ধানে যাত্রা সুরু।
৮.প্রায়  এক সপ্তাহের মধ্যে দারু চিহ্নট ক্রিয়া সম্পন্ন । প্রশাসনের দ্বারা পবিত্র দারু সম্বন্ধে ঘোষণা ।
…………… *******…………..
৯. ২ জুন ২০১৫ মঙ্গলবার দেব-স্নান পূর্ণিমা  তিন ঠাকুরের জর হয় তাকে ‘অণসর ঘরে বাস’ বলে। এখানে ঠাকুরকে রাজবৈদ্য দ্বারা ঔষধাদির প্রলেপ এবং সেবা শুশ্রূষা করা হয় । এরপর ঠাকুরের জর ছাড়ে এবং ঠাকুর  সুস্থ হন ।
এরপর বিগ্রহ পরিবর্তন রুদ্ধ দ্বারে । সম্পূর্ণ রুদ্ধ দ্বারে নতুন বিগ্রহ  বিশ্বকর্মা র দ্বারা সুসম্পন্ন । সর্বসাধারণ এবং প্রশাসনের কাউকে অনুমতি দেওয়া হয়না এইসময় ।
১৫ ই জুন ২০১৫ সোমবার , বলরাম , মা সুভদ্রা ও  জগন্নাথ মহাপ্রভুর  ব্রহ্ম পরিবর্তন  বড় পাণ্ডা করেন ।
এর পর   পূরণ বিগ্রহ কৈলি বৈকুণ্ঠে স্থানান্তরিত এবং সমাধি । উত্তর দ্বারের সংলগ্ন কৈ্লি বৈকুণ্ঠ ।
১৭ ই জুলাই  ২০১৫ , শুক্রবার ঃ তিন ঠাকুরের  নব যৌবন দর্শন  এই দর্শন অত্যন্ত পুণ্য অর্জন করে তাই লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয় ।
১৮ ই জুলাই ২০১৫ শনিবার শ্রী গুন্ডিচা যাত্রা  বা  জগন্নাথের রথ যাত্রা ।
২৬ শে জুলাই ২০১৫ রবিবার  উল্টো রথ যাত্রা ।
২৭ শে জুলাই ২০১৫ সোমবার তিন ঠাকুরের সোনা বেশ 

প্রচার করুনঃ



No comments:

Post a Comment