Thursday, May 13, 2021

##মুখাগ্নি##(প্রথম পর্ব) ©ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জী


 **এই গল্পটা সম্পূর্ণ কাল্পনিক। জীবিত কিম্বা মৃত কোন ব্যক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য থাকলে সেটা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত। মনোরঞ্জনের জন্য গল্পটি লেখা হয়েছে কিছু বার্তা প্রদান করে সেটাই এই গল্পের মূল উদ্দেশ্য **

###সম্পূর্ণ কাল্পনিক গল্প##

##মুখাগ্নি##

©ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জী

প্রথম পর্ব
এ.সি.পি. চক্রবর্তী তাঁর পাঁচ জনের টিমকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন চার জন শার্প সুটার খলিল, আসলাম, রোহিত ও জনকে ধরতে l খবর একদম পাকা ওরা সমাজ সেবক রহমন চাচা কে হত্যা করে গা ঢাকা দিয়েছে বনগাঁ র আসে পাশে কোন গ্রামে l পুলিশ তাদের খুঁজবে জানে তাই সঙ্গে অটোমেটিক ডিট্যাচেবেল ম্যাগাজিন যাতে 13 রাউন্ড গুলি থাকে l আত্মরক্ষার জন্য যথেষ্ট l দরকার হলে পুলিশ কে গুলি করতেও ছাড়বেনা এরা l বেগতিক দেখলে বাংলাদেশ এ বর্ডার পেরিয়ে ঢুকে পড়বে l সেইরকম ই নির্দেশ আসলামের চাচার l আসলাম ওদের দল পরিচালনার ভার নিয়েছে l
এই দলে রোহিতের মতন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ছেলে কি করে ঢুকল?
রোহিতের ব্যাপারে বলা প্রয়োজন l রোহিতের বাবা রঞ্জিত ব্যানার্জী এক নামি কোম্পানির জেনেরাল ম্যানেজার, মা সুনয়না ব্যানার্জী এক ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের প্রিন্সিপাল l ওনাদের মেয়ে রিঙ্কি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী l
ব্যাপারটা এই রকম রোহিত এক প্রাইভেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে বি টেক পড়ছিল l ছেলেটা মার আদুরে ছেলে l সেটাই ওর মাথা খায় l কম বয়েসে সেকেন্ড ইয়ারে পড়া এক সহপাঠিনীর প্রেমে পড়ে l মেয়েটি মুসলিম নাম তসলিমা বানু l দেখতে খুব সুন্দর মানে তাক লাগানোর মতন চেহারা l কিন্তু ও রোহিতকে পাত্তা দেয়না l রোহিত ও ছাড়ার পাত্র নয় l ও তসলিমার চার্চেরা ভাই আসলামের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে l আসলাম খিদিরপুরে এক জেরক্সের দোকান চালাত l নামেই জেরক্সের দোকান আসলে ড্রাগ, ব্রাউন সুগার, আফিম,গাঁজা এই সব চোরা কারবারের সঙ্গে জড়িত l চাচা স্মাগলিং করতেন কখনো সোনা তো কখনো হীরে, মারণাস্ত্র যেমন রিভলভার, কার্তুজ, হাওলার কারবার, বিদেশী টাকা যেমন $,€ র কারবার l খুব কম দিনে চাচা বিরাট সম্পত্তির মালিক হয়ে জান l আসলামের কাছে যাওয়া আসা করতে করতে তসলিমার সঙ্গে কখনো কখনো দেখা সাক্ষাৎ হোতো l তসলিমা মেয়েটা কিন্তু সাচ্চা ছিল ও রোহিতকে পাত্তা না দিলেও ওর খারাপ চাইতো না l রোহিতকে বারে বারে বলতো ওর ভাইয়ের সঙ্গে যেন না মেশে l কারণ গোপন রাখতো কিন্তু মনে প্রাণে চাইতোনা রোহিত ঐ ফাঁদে পা দিক l
একদিন কলেজে রোহিতকে ডেকে বলে তুমি আসলামের সঙ্গে মিশবেনা আমাকে কথা দাও l
রোহিত সর্ত রাখে, তাহলে তুমি আমার বান্ধবী হবে কথা দাও l আমি আর ওর সঙ্গে মিশবোনা তাহলে l
- ঠিক আছে
রোহিত যেন হাতে স্বর্গ পায় l কিন্তু ততদিনে ও ড্রাগের নেশা শুরু করে দিয়েছে l আসলামের কাছে তার হাতে খড়ি হয় l মায়ের কাছ থেকে কলেজের নানা বাহানা করে যে টাকা আনে সেই টাকায় ড্রাগ নেয় l
এই কথা মা বাবা কেউ জানতেন না l একদিন ওর বোন রিঙ্কি ওকে ওর রুমে ড্রাগ নিতে দেখে l তখন রিঙ্কি সি.বি.এস.সি পরীক্ষা দেবে l রিঙ্কি মাকে ঐ কথাটি বলে দেয় l রোহিতের মা রোহিতকে ড্রাগ নিতে দেখে রাগ সামলাতে পারেন না l তিনি রেগে মাথা ঠিক রাখতে না পেরে ছেলেকে ঘর থেকে বার করে দেন l
রোহিত অত্যন্ত জেদি ছেলে ছিল সে সেই যে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল আর ফেরেনি বাড়ি l
রোহিত সোজা আসলামের কাছে গেল l আসলাম ওকে ওদের ডেরায় যেখানে রিভলভার চালানো সেখান হয় সেই নিরিবিলি জায়গায় নিয়ে যায় l রোহিত এমন ই নেশাসক্ত ছিল যে ড্রাগের জন্য পাগল হয়ে যেত l এই সুযোগটাই আসলাম নেয় l




18 Comments


 

মুখাগ্নি (দ্বিতীয় পর্ব) ত্রিভুবন জিৎ মুখার্জী


 

মুখাগ্নি

ত্রিভুবন জিৎ মুখার্জী

দ্বিতীয় পর্ব
এদিকে রোহিতের বাবা সমস্ত কথা স্ত্রীর মুখে শুনে ওনাকে বকা বকি করেন l থানায় ডাইরি করেন কিন্তু রোহিতের কোন পাত্তা পায়না পুলিশ l রঞ্জিত ব্যানার্জী এবং সুনয়না ব্যানার্জী যে যার পলিটিকাল চেনাশোনা দিয়ে রোহিতকে খোঁজার চেষ্টা চালালেন l কিন্তু কোন ফল হলনা l তসলিমা এই বিষয় কিছুই ফাঁশ করলোনা কারণ ওর ভয় আছে ওকে জানে মেরে ফেলবে ওর কাকা l ও জানে কাকা কতো সাংঘাতিক মানুষ l মুখে কুলুপ এঁটে তসলিমা নিজের পড়াশুনো নিয়ে ব্যস্ত থাকতো l ক্রমে রোহিতের কথা ভুলে গেল l
রোহিতের বাবা রঞ্জিত বাবু আর মা সুনয়নার মধ্যে প্রায় অশান্তি হত রোহিতকে নিয়ে l রঞ্জিত বাবু স্ত্রীকে দায়ী করতেন ছেলে অধঃপতনে যাওয়া নিয়ে l সুনয়না দেবী নিজেকে বড় অসহায় মনে করতেন l একমাত্র ছেলে তাঁর , সে বিপথে গেলো ! নিজেকে ক্ষমা করতে পারতেন না l উনি অত্যন্ত গম্ভীর স্বভাবের তাই প্রকাশ করতেন না মনের দুঃখ কাউকে কিন্তু মনে মনে গুমরতেন l
রোহিত ও আসলামের অন্য সাথীরা রহমণ চাচাকে হত্যা করে কারণ তিনি সংবাদ মাধ্যমে আসলাম চাচার কালো ব্যবসার সমস্ত তথ্য দিয়ে পর্দা ফাঁশ করতে চাইছিলেন যেটা আসলামের চাচা জানতে পারেন l চাচা রহমণ চাচা কে থ্রেট করেন l তাতেও যখন কাজ না হয় রহমণ চাচাকে মারার ফাঁদ তৈরি করেন l রমজান মাসে মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রত্যেকে ধর্ম করেন দান দক্ষিণা দেন, রোজা রাখেন l সেই পবিত্র রমজান মাসে রহমন চাচাকে গুলি করে মারে এই শার্প শুটারের দল যাতে রোহিত ও ছিল l যদিও রোহিতের গুলিতে রহমণ চাচা মরেন নি l উনি জনের গুলিতে মরেন l কারণ ওদের মধ্যে জন শার্প সুটার ছিল এবং ও কখনো লক্ষ্যভ্রষ্ট হতোনা l আসলামের চাচা তাই ওর ওপর বেশি নির্ভর করতেন l পুলিশ খবর পাওয়ার আগে লাস গায়েব করে দেন আসলামের চাচা l
পুলিশ খুঁজে এক ডোবা থেকে উদ্ধার করে l তার আগে আসলাম, রোহিত, জন এবং খলিল গা ঢাকা দেয় এক স্করপিও নিয়ে বনগাঁ র বর্ডারের কাছে পৌছয় l বর্ডার পার করানোর জন্য সমস্ত ব্যবস্থা হয়ে আছে l রাতে ওরা চারজন মেজেতে শুয়ে পড়ে l রাতে রুটি তড়কা খেয়েছে l পরের দিন সন্ধ্যে বেলায় বর্ডার পেরিয়ে বাংলাদেশে এরা চারজন চলে যাবে l সব ব্যবস্থা আসলামের চাচা করে রেখেছেন l যে ওদের নিতে আসবে তাকে একটা একশো টাকার ছেঁড়া নোট দেখাবে যেটা আসলামের কাছে আছে l সে সেটা মিলিয়ে বর্ডার পার করাবে l বাংলাদেশে আসলামের চাচা প্রায় যাতায়াত করেন কাজেই এদের থাকা খাওয়ার কোন অসুবিধে হবেনা l সমস্ত ব্যবস্থা আছে l এরা সকলে চট্টগ্রাম চলে যাবে l চট্টগ্রাম থেকে জাহাজ আসে খিদিরপুর ডকে মাল নিয়ে । যদি সেই সময় পরিস্থিতি ঠিক থাকে তবেই ওরা ফিরবে কোলকাতায় নতুবা নয় l ঐ প্ল্যান মাফিক কাজ হবে l
রোহিত নিজের পরিবার মা বাবার কথা ভাবছিল l কি থেকে কি হয়ে গেল নিজে ভেবে পাচ্ছেনা l আজ মাকে খুব মনে পড়ছে l আজকে মাদার্স ড়ে l মাকে উইশ করতো ওরা ভাই বোনে l চোখ থেকে অবিরাম অশ্রু ঝরে পড়ছে l ঘুমের ঘোরেই মায়ের সঙ্গে কথা বলে l আসলাম বলে কি ম্যা ম্যা করছিস? এই লাইনে মা বাবা ভাই বোন কেউ নয়! বস যা হুকুম দেবে সেটাই পালন করতে হবে l
- কিন্তু আমি তো কে বস দেখিনি এখনো!
- তোকে কি বস দেখা দেবে ভেবেছিস?
রোহিত ওপরে আকাশ পানে চায় l এ কি হল? নিজের জীবনটা ছারখার করেদিলো একটা মেয়ের জন্য l ছিঃ নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে l শেষে কিনা সুপারি কিলার হল । মনে মনে ভাবে পুলিশের কাছে............
এ. সি. পি. চক্রবর্তী এক উড়ো ফোন কল পান তাঁর অফিসে l এই খুনের তদন্তর নির্দেশ ওনাকেই দেওয়া হয়েছে l এরমধ্যে নিউজ রিপোর্টার রা ঘিরে ধরেছে এ. সি. পি.চক্রবর্তী
কে l সকলের এক প্রশ্ন রমজান মাসে সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের এক অত্যন্ত দায়িত্বশীল সমাজ সেবক বিরোধী দলের এক ক্যাড়ার,তাকে কে বা কারা খুন করলো? এই রহস্যর কবে উদ্ধাটন হবে? নিউজ রিপোর্টার প্রতিভা প্রশ্ন করেন এবং পুরো ঘটনার ভিডিও হয় l টি ভি তে প্রসারণের সময় এও সাম্বাদিকরা বলে পুলিশ সন্দেহ করছে এই খুনের পেছনে আসলামের চাচা খলিল চাচার হাত আছে l তবে খলিল চাচার লম্বা হাত, বিনা প্রমাণে ওনাকে ইন্টারোগেট করা পুলিশের পক্ষে অসম্ভব l
আসল কথায় আসি : এ. সি. পি. চক্রবর্তী যে ফোন টা পান সেটা ভগবান পাণ্ডের l ভগবান বলে সে খুনির ঠিকানা জানে তবে সর্ত রাখতে হবে কথাটা যেন গোপন থাকে...... এই বলে ফোন কেটে দেয় l
আচ্ছা মুশকিল! ভগবানকে খোঁজার জন্য ওর মোবাইল ট্র্যাক করে এক ধোপাকে পায় পুলিশ l সে বেচারা কিছুই জানেনা l সিম কার্ডের ডিটেলস কিন্তু ঐ ধোপার নামে l আবার রাতে আরেকটা ফোন আসে অন্য নাম্বার থেকে ঐ ভগবান পাণ্ডে l সে এবার বলে বনগাঁ গেলে খোঁজ পাবেন l এ.সি. পি বলেন ঠিক বলছ তো? হ্যাঁ স্যার ভগবান কখনো মিথ্যে বলেনা l গিয়ে দেখুন নিশ্চয়ই পাবেন l




22 Comments


মুখাগ্নি (তৃতীয় পর্ব) ত্রিভুবন জিৎ মুখার্জী


 

মুখাগ্নি

ত্রিভুবন জিৎ মুখার্জী

(তৃতীয় পর্ব)

ব্যাপারটা হচ্ছে ভগবানের মদের দোকানেই প্ল্যানটা হয়েছিল তবে সবাই কোড
ল্যাংগুয়েজে কথা বলছিল l ভগবান কিছুটা ঠাওর করতে পারে l
এ. সি. পি. চক্রবর্তী কাল বিলম্ব না করে দলবল নিয়ে বনগাঁ রওনা দিলেন l বনগাঁ পৌঁছোতে পৌঁছোতে রাত ১০ টা l
বনগাঁ র বেশ কিছু নিষিদ্ধ স্থান লোকাল পুলিশের সঙ্গে ছান বীণ শুরু করতে আরম্ভ করেন l হঠাৎ এক বন্দ গুদাম ঘর থেকে পুরুষ কণ্ঠে ক্ষীণ আওয়াজ শুনে এ. সি. পি. চক্রবর্তী থমকে দাঁড়ান ওনার সন্দেহ হয় এখানেই ওরা আছে l সকলে একদম পিন ড্রপ সাইলেন্ট l গোটা ঘরটা ঘিরে ধরল কিন্তু এ কি বাইরে ওদের লক্ষ করে গুলি কে ছুঁড়ল? একটা গুলি ইন্সপেক্টর শশাঙ্কর কানের পাস দিয়ে চলে গেল l সকলে পজিশন নিয়ে ছুটল হাতে পিস্তল সমেত যে দিক থেকে গুলি এসেছিলো সেইদিকে l ছেলেরা সম্ভবত এই গলির মধ্যে , পুলিশ তাদের পিছু নিয়ে ছুটতে লাগলো l এ. সি. পি. র নির্দেশ ছেলেদের আটকাতে পায়ে গুলি করতে পারো কিন্তু তার ওপরে নয় l ঠিক সেই সময় একটা গুলি এক কনস্টেবলের হাতে লাগে l কনস্টেবলটি যন্ত্রণায় মাটিতে পড়ে যায় l
এ. সি. পি চক্রবর্তী ধৈর্য হারালেন সামনে ছেলেটিকে ফায়ার করলেন l ঐ সময় অন্য ছেলেরা পুলিশকে গুলি চালায় l পুলিশ বাধ্য হয়ে ঐ ছেলেদের ওপর গুলি করে l চারিদিক থেকে পুলিশের আক্রমণে তিনটি ছেলেই গুলি বিদ্ধ হয়ে মাটিতে টলে পড়ে l
চারজনকে সঙ্গে সঙ্গে এম্বুলেন্স ডাকিয়ে বনগাঁ সরকারি হাঁসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কিন্তু ওখানে ডিউটিতে থাকা ডাক্তার ওদের চারজনকেই মৃত ঘোষণা করেন l
সাংবাদিকরা খবর পেয়ে ছুটে আসে l এ. সি. পি. চক্রবর্তী নানা প্রশ্ন বানে জর্জরিত হয়ে বলেন পুলিশকে গুলি চালালে পুলিশ আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালাতে বাধ্য হয় l তাতে প্রতিপক্ষ মারা গেলে পুলিশ এনকাউন্টার করেছে বলে বলা হয় কেন ? সংবাদ মাধ্যম সেটাই প্রকারান্তরে মানুষকে বোঝাতে চায় l পুলিশ কতটা অসহায় হলে বাধ্য হয় গুলি চালাতে সেটা বোঝেনা l পুলিশ ও মানুষ, তাদেরও পুত্র সন্তান আছে তাই পরিস্থিতি বাধ্য না করলে কখনোই কোন পুলিশ অধিকারী গুলি চালান না l
ডেড বডিগুলো কি সনাক্ত করা হয়েছে? তাদের পরিচয় কি? সাম্বাদিকরা প্রশ্ন করেন l
এ. সি. পি বলেন আপনারা কি বলছেন পুলিশ চিত্রগুপ্তর খাতা খুলে বসে আছে? কে মারা গেলো সঙ্গে সঙ্গে তাদের নাম ঠিকানা বলে দেবেন! আশ্চর্য!!
-না না তা বলছিনা l
- তবে কি বলছেন?
-আমাদের কাজ করতে দিন l অহেতুক অবাস্তব প্রশ্ন করবেন না l বডি পোষ্ট মর্টম করতে পাঠাতে হবে l আমাদের কাজ করতে দিন প্লিজ l
-বুম নিয়ে টি ভি. র রিপোর্টাররা ঐ ছেলেদের এবং উপস্থিত পুলিশ অধিকারীদের ছবি তুলতে চাইলেন কিন্তু মুখ এবং বডি সম্পূর্ণ ঢাকা ছিল তাই কিছুই বোঝা যাচ্ছিলোনা ll
........
‌পরের দিন বডি পোষ্ট মর্টম হওয়ার পর কলকাতা নিয়ে এম্বুলেন্স যায় l বডি আইডেন্টিফাই করার জন্য ফরেনসিক এক্সপার্টদের ডাকা হয় l তারা ড়ি এন এ টেস্ট এর জন্য স্যাম্পল সংগ্রহ করে নির্ধারিত পদ্ধতি অবলম্বন করে l তিন জনের ঠিকানা অপরাধীদের তালিকা থেকে পাওয়া যায় l তারমধ্যে জন সুপারি কিলার বলে রেকর্ড আছে l খলিল আর আসলাম ছোট ছোট অপরাধ করে সাজা ভুগেছে l আসলাম মাদক চক্রে জড়িত খবর আছে পুলিশের কাছে কিন্তু উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে ওকে ধরা যাচ্ছিলোনা l চতুর্থ ছেলেটি ভদ্র ঘরের ছেলে বলে মনে হচ্ছে l কিন্তু তার আইডেন্টিটি পাওয়া যাচ্ছেনা l. এ.সি. পি. চক্রবর্তী কে ভাবিয়ে তুলছে l
ক্রমশ-


9 Comments