**এই গল্পটা সম্পূর্ণ কাল্পনিক। জীবিত কিম্বা মৃত কোন ব্যক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য থাকলে সেটা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত। মনোরঞ্জনের জন্য গল্পটি লেখা হয়েছে কিছু বার্তা প্রদান করে সেটাই এই গল্পের মূল উদ্দেশ্য **
###সম্পূর্ণ কাল্পনিক গল্প##
##মুখাগ্নি##
©ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জী
প্রথম পর্ব
এ.সি.পি. চক্রবর্তী তাঁর পাঁচ জনের টিমকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন চার জন শার্প সুটার খলিল, আসলাম, রোহিত ও জনকে ধরতে l খবর একদম পাকা ওরা সমাজ সেবক রহমন চাচা কে হত্যা করে গা ঢাকা দিয়েছে বনগাঁ র আসে পাশে কোন গ্রামে l পুলিশ তাদের খুঁজবে জানে তাই সঙ্গে অটোমেটিক ডিট্যাচেবেল ম্যাগাজিন যাতে 13 রাউন্ড গুলি থাকে l আত্মরক্ষার জন্য যথেষ্ট l দরকার হলে পুলিশ কে গুলি করতেও ছাড়বেনা এরা l বেগতিক দেখলে বাংলাদেশ এ বর্ডার পেরিয়ে ঢুকে পড়বে l সেইরকম ই নির্দেশ আসলামের চাচার l আসলাম ওদের দল পরিচালনার ভার নিয়েছে l
এই দলে রোহিতের মতন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ছেলে কি করে ঢুকল?
রোহিতের ব্যাপারে বলা প্রয়োজন l রোহিতের বাবা রঞ্জিত ব্যানার্জী এক নামি কোম্পানির জেনেরাল ম্যানেজার, মা সুনয়না ব্যানার্জী এক ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের প্রিন্সিপাল l ওনাদের মেয়ে রিঙ্কি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী l
ব্যাপারটা এই রকম রোহিত এক প্রাইভেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে বি টেক পড়ছিল l ছেলেটা মার আদুরে ছেলে l সেটাই ওর মাথা খায় l কম বয়েসে সেকেন্ড ইয়ারে পড়া এক সহপাঠিনীর প্রেমে পড়ে l মেয়েটি মুসলিম নাম তসলিমা বানু l দেখতে খুব সুন্দর মানে তাক লাগানোর মতন চেহারা l কিন্তু ও রোহিতকে পাত্তা দেয়না l রোহিত ও ছাড়ার পাত্র নয় l ও তসলিমার চার্চেরা ভাই আসলামের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে l আসলাম খিদিরপুরে এক জেরক্সের দোকান চালাত l নামেই জেরক্সের দোকান আসলে ড্রাগ, ব্রাউন সুগার, আফিম,গাঁজা এই সব চোরা কারবারের সঙ্গে জড়িত l চাচা স্মাগলিং করতেন কখনো সোনা তো কখনো হীরে, মারণাস্ত্র যেমন রিভলভার, কার্তুজ, হাওলার কারবার, বিদেশী টাকা যেমন $,€ র কারবার l খুব কম দিনে চাচা বিরাট সম্পত্তির মালিক হয়ে জান l আসলামের কাছে যাওয়া আসা করতে করতে তসলিমার সঙ্গে কখনো কখনো দেখা সাক্ষাৎ হোতো l তসলিমা মেয়েটা কিন্তু সাচ্চা ছিল ও রোহিতকে পাত্তা না দিলেও ওর খারাপ চাইতো না l রোহিতকে বারে বারে বলতো ওর ভাইয়ের সঙ্গে যেন না মেশে l কারণ গোপন রাখতো কিন্তু মনে প্রাণে চাইতোনা রোহিত ঐ ফাঁদে পা দিক l
একদিন কলেজে রোহিতকে ডেকে বলে তুমি আসলামের সঙ্গে মিশবেনা আমাকে কথা দাও l
রোহিত সর্ত রাখে, তাহলে তুমি আমার বান্ধবী হবে কথা দাও l আমি আর ওর সঙ্গে মিশবোনা তাহলে l
- ঠিক আছে
রোহিত যেন হাতে স্বর্গ পায় l কিন্তু ততদিনে ও ড্রাগের নেশা শুরু করে দিয়েছে l আসলামের কাছে তার হাতে খড়ি হয় l মায়ের কাছ থেকে কলেজের নানা বাহানা করে যে টাকা আনে সেই টাকায় ড্রাগ নেয় l
এই কথা মা বাবা কেউ জানতেন না l একদিন ওর বোন রিঙ্কি ওকে ওর রুমে ড্রাগ নিতে দেখে l তখন রিঙ্কি সি.বি.এস.সি পরীক্ষা দেবে l রিঙ্কি মাকে ঐ কথাটি বলে দেয় l রোহিতের মা রোহিতকে ড্রাগ নিতে দেখে রাগ সামলাতে পারেন না l তিনি রেগে মাথা ঠিক রাখতে না পেরে ছেলেকে ঘর থেকে বার করে দেন l
রোহিত অত্যন্ত জেদি ছেলে ছিল সে সেই যে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল আর ফেরেনি বাড়ি l
রোহিত সোজা আসলামের কাছে গেল l আসলাম ওকে ওদের ডেরায় যেখানে রিভলভার চালানো সেখান হয় সেই নিরিবিলি জায়গায় নিয়ে যায় l রোহিত এমন ই নেশাসক্ত ছিল যে ড্রাগের জন্য পাগল হয়ে যেত l এই সুযোগটাই আসলাম নেয় l