Wednesday, December 25, 2019

পিঞ্জরে অচিন পাখি
___________________
 অন্তরা ঘোষ ।
পর্ব - ১
আমার এই গল্পের ইমারত পুরোটাই কল্পনার ইট কাঠ পাথর দিয়ে তৈরি হয়নি। আমার এক প্রিয় মানুষের কাছে শোনা তার জীবনের একটা অধ্যায় নিয়ে এই গল্প। হয়তো আপাতদৃষ্টিতে খুব সাধারন গল্প.. তবুও যেন কোথাও অন্তর্নিহিত চাপা অনুভূতি গল্পটাকে অন্য মাত্রা দিয়েছে।
আমার গল্পের সময়কাল ১৯৭০ /৭১ সাল হবে।
চার বন্ধু দীপ্ত অনিরুদ্ধ সায়ন আর সন্তু আশুতোষ কলেজের ছাত্র। দীপ্ত অভিজাত পরিবারের ছেলে। লম্বা ফর্সা দোহারা চেহারা.. এক মাথা চুল.. মুখের মধ্যে চোখ দুটো খুব ইম্প্রেসিভ.. যেন কারো দিকে তাকালেই তার মনের ডাইরি পড়ে নিতে পারে। চেহারার মধ্যে একটা অদ্ভুত ব্যক্তিত্ব আছে। কলেজের অনেক মেয়েই দীপ্ত বলতে পাগল.. কিন্তু দীপ্তর ব্যক্তিত্বকে টপকে তার কাছে পৌছাবার সাহস করে না। দীপ্তরও যেন ওসব ব্যাপারে কোন ইন্টারেস্ট নেই ।
মোটামুটি ছাত্র রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকে দীপ্ত ।‌ বক্তৃতাটা‌ও বেশ ভালই দেয়‌ । কলেজে‌ তাই দীপ্তকে প্রায় সবাই এক ডাকে চেনে । ছাত্র-ছাত্রী থেকে প্রফেসর সবাই।
সাদামাটা চেহারার অনিরুদ্ধ খুব মিশুকে ছেলে। ইন্টার কলেজ ক্রিকেট কম্পিটিশনে অনিরুদ্ধ একেবারে অপরিহার্য খেলোয়াড় । বন্ধুমহলেও‌ খুব জনপ্রিয়। সায়ন সাংস্কৃতিক জগতের সাথে যুক্ত। খুব ভালো গান করে। বিভিন্ন গানের প্রোগ্রামে যায়। এছাড়াও কলেজ সোশ্যালেও অনিরুদ্ধের গান শোনার জন্য বন্ধুবান্ধবদের ভিড় লেগেই থাকে।‌
প্রায় ৬ ফুট হাইটের সন্তুর‌ ভালো নাম সন্তোষ আওয়াস্থি । সন্তু কিন্তু অবাঙালি। ছোট থেকেই কলকাতা মামার বাড়িতে থাকার জন্য বাংলাটা ভালোই জানে। সন্তু উত্তরপ্রদেশের গোঁড়া‌‌ ব্রাহ্মণ‌ পরিবারের ছেলে। উত্তর প্রদেশের উন্নাও জেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে সন্তু । গ্রামের নামটিও বেশ মিষ্টি -- 'আশাখেরা' ।
সন্তু কলেজে পড়াশোনা করা ছাড়াও মামার ডাবরের শোরুমে নিয়মিত বসে কলেজ থেকে ফিরে এসে। ডাবরের বিশাল শোরুমে বসার জন্য মামার কাছ থেকে বেশ মোটা অংকের একটা হাত খরচও পায়।‌ দীপ্তরাও মাঝে মাঝে কলেজ ফেরত অনেক রাত অবধি সেখানে গিয়ে আড্ডা মারে ‌।
সামনে গরমের ছুটি আসছে। চার বন্ধুর মধ্যে একটা কমন ভালো লাগার বিষয় ছিল চারজনেই খুব ঘুরতে ভালোবাসে। সায়ন বলল , অনেকদিন কোথাও যাওয়া হয়নি, চল , কোথাও ঘুরে আসি কয়েকটা দিন।
অনিরুদ্ধ ও সন্তু ঘোরার নামে উৎসাহিত হয়ে দিল্লি আগ্রা সিমলা মুসৌরি উটি ইত্যাদি অনেক জায়গার নাম বলে ফেলল‌ এক নিঃশ্বাসে।
সায়ন বলল, দীপ্ত তুই কোনো একটা জায়গার সাজেশন দে না ‌গুরু যেখানে কটা দিন ঘুরে আসা যায়।
দীপ্ত বলল, আমার মাথায় একটা জায়গায় যাওয়ার নাম ঘুরছে। তবে তোরা রাজি হবি কিনা জানিনা। কেননা তোরা দিল্লী বোম্বে গোয়া এসব অনেক বড় বড় জায়গার নাম বলছিস। এটা একটা অখ্যাত জায়গা। তবে আমার ধারণা আমরা খুব আনন্দ পাব সেখানে গেলে।
তিনজনই উদগ্রীব হয়ে দীপ্তর মুখের দিকে তাকিয়ে বলে উঠল , কোন জায়গায় যাওয়ার কথা বলছিস রে।
দীপ্ত বলল, সন্তুদের গ্রাম আশাখেরা।
আমি এমনিতেই গ্রাম দেখতে ভালোবাসি। তোরা না গেলে আমি হয়তো একাই চলে যেতাম কোন একদিন সন্তুর সাথে। আর সন্তুর মুখে মাঝেমাঝেই ওদের গ্রামের যা কথা শুনি তাতে আমি নিশ্চিত ওই গ্রামে গেলে খুব আনন্দে কাটাবো কয়েকটা দিন। এবার বল তোদের মতামত।
সায়ন নিরস কন্ঠে বলল ,শেষে কিনা গ্রামে.. !
সায়নকে থামিয়ে দিয়ে সন্তু আনন্দে বলে উঠল, তোরা যাবি আমাদের গ্রামে ?
খুব মজা হবে। আমি বাবুজিকে আজকেই খবর পাঠানোর ব্যবস্থা করব তাহলে। দীপ্ত হচ্ছে ওদের মধ্যে একটু বেশি ম্যাচিওর্ড । বন্ধুরাও‌ তাই মাঝেমধ্যে ওকে গুরু বলে।‌ গুরুর‌ ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাই কেউ আর বিশেষ কিছু কথা বলল না।বাকি দুজনও রাজি হয়ে গেল।
কয়েকদিনের মধ্যে সন্তুর বাড়িতে খবর পাঠানো ও ট্রেনের টিকিটও কাটা হয়ে গেল। মোটামুটি এক মাসের জন্য মানে পুরো গরমের ছুটিটা কাটাতে যাচ্ছে ওরা সন্তুর গ্রামের বাড়িতে।
নির্দিষ্ট দিনে সন্ধ্যেবেলায় চারজন একটা করে সাইড ব্যাগ কাঁধে নিয়ে হাওড়া থেকে উঠে‌ পড়ল কালকা মেলে ।
দীপ্তর ফটো তোলার শখ খুব। তাই তার আগফা ক্যামেরাটা নিতে ভোলেনি। পরের গোটা দিন রাতটাও কাটল ট্রেনে।‌ পারপরের দিন সাড়ে এগারোটা বারোটা নাগাদ ওরা পৌঁছালো কানপুরে‌‌ । কানপুরে নেমে ওরা বাস ধরল সন্তুদের গ্রামে যাবার জন্য। হাইওয়ে ধরে ‌বাস চলল বেশ কিছুক্ষণ । তা প্রায় ঘন্টা দেড়েক এর পথ ।
গ্রামের বাসস্টপগুলো থেকে যত লোক নামে তার চেয়ে বেশি লোক ওঠে। বাসের মাথায়ও তিল ধারণের জায়গা নেই ! শুধু মানুষ নয় তাদের সঙ্গে রয়েছে মুরগির ঝুড়ি , সবজির বস্তা , বান্ডিল বান্ডিল খৈনির পাতা, এমনকি ছোট ছোট ছাগলছানা নিয়েও উঠে পড়েছে কয়েকজন।
শেষ পর্যন্ত বাস এসে দাঁড়ালো আশাখেরা গ্রামের স্টপেজে‌ । এবার কিছুটা রাস্তা হেটে গ্রামে ঢুকতে হবে। ছোট্ট বাস স্টপেজ। সামনে একটা টালি দর্মা দিয়ে ঘেরা একটা ছোট্ট চায়ের দোকান। চার বন্ধু ঠিক করল চা খাবে। সামনে খাটিয়া পাতা। চারজনে গিয়ে বসে চায়ের অর্ডার দিল। হঠাৎ সামনের খাটিয়াতে চোখ পড়তেই সন্তু ছাড়া বাকি তিনজনের চোখ গোল গোল হয়ে গেল। খাটিয়াতে একটা ইয়া মোটা বিশাল ভুঁড়িওয়ালা ধুতি ফতুয়া পরা লোক শুয়ে রীতিমত নাক ডাকছে। মুখ হাঁ করে নাক ডাকছে আবার মুখ বন্ধ করে ফুউউউস্ শব্দ করছে। লোকটার মুখে মাছি ভর্তি। নাক ডাকার সাথে সাথে ভুড়িটাও একবার চুপসে যাচ্ছে একবার ফুলে উঠছে। বেশ কিছু মাছি নিশ্বাস নেওয়ার সময় নাক মুখের ভেতরে ঢুকে‌‌ যাচ্ছে .. আবার প্রশ্বাসের সাথে সাথে বেরিয়ে আসছে। লোকটার কিন্তু কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। সন্তু এসব দেখতে অভ্যস্ত। বাকি তিনজন হা করে খানিকক্ষণ দেখে হেসে উঠল। দীপ্ত ক্যামেরা বার করে ফটো তুলতে‌ তুলতে বলল , ব্যাটা একেবারে কুম্ভকর্ণের বাচ্চা !
চা পর্ব শেষ । এবার আলপথ ধরে গ্রামে ঢোকার পালা।
আলপথ ধরে ওরা হাঁটতে লাগল। দু'ধারে ধানের ক্ষেত, কোথাও মাঠের পর মাঠ হলুদ শর্ষের ক্ষেত। কোথাও বা আখের ক্ষেত । ইট কাঠ কংক্রিটের শহরের মানুষ দীপ্তদের এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছিল। শহরের নাগরিক সভ্যতা আজ বেশ কিছুটা দূরে চলে এসেছে যেন ওরা।আধুনিক প্রযুক্তির সমস্ত সংযোগগুলি হঠাৎ করেই কেমন যেন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে !
হঠাৎ সায়ন চেঁচিয়ে উঠল, ওই দেখ ময়ূর। সকলে দেখল দূরের মাঠে বেশ কয়েকটা ময়ূর ঘুরে বেড়াচ্ছে । কী যেন খুঁটে খুঁটে ‌খাচ্ছে ক্ষেতের ধার থেকে । সন্তু বলল এখানে অনেক ময়ূর আছে। এখন প্রায়ই ওরা ময়ূর দেখতে পাবে। অনিরুদ্ধ বলল, না দীপ্ত তোর এখানে আসার আইডিয়াটা দেখছি ভালই ছিল। মনে হচ্ছে ছুটিটা জমে যাবে। কথা বলতে বলতে দশমিনিটের মধ্যেই ওরা সন্তুদের বাড়ি পৌঁছে গেল। সামনেটা মাটির বাড়ি, টালির চাল ,‌ সামনে বেশ বড় একটা উঠোন। উঠোন পেরিয়ে মাটির বাড়ি । ঠিক লাগোয়া পেছনেই কিন্তু দোতলা পাকা বাড়ি।
সন্তুর বাবা , ছোট ভাই মন্নো এসে ওদের ঘরের ভিতর নিয়ে গেল। মন্নোর বয়স বড়জোর বারো কি তেরো হবে ।সন্তুর মা এক গলা ঘোমটা দিয়ে , থালাতে বেশ কিছু বাড়িতে তৈরি ক্ষীরের মিষ্টি , নিমকি আর গজা ‌নিয়ে মন্নোর হাত দিয়ে পাঠিয়ে দিল। জম্পেশ খিদে পেয়েছিল দীপ্তদের। মিষ্টিগুলো সাঁটিয়ে দিতে চারজনের বেশিক্ষণ সময় লাগলো না। দীপ্তরা জল খেতে চাইলে সন্তু ওদের নিয়ে উঠোনের মাঝখানে কুয়ো তলাতে এল। সন্তুর ছোট ভাই মন্নো ঝপাং করে বালতি ডুবিয়ে পাতকুয়ো থেকে জল তুলল। দীপ্তরা দেখল বালতিতে দুটো ব্যাঙ লাফাচ্ছে !
সন্তুর ভাই ব্যাঙ দুটোকে ধরে আবার পাতকুয়োতে ফেলে দিল। তারপর কাঁসার গ্লাস ওই বালতিতে ডুবিয়ে ওদের জল দিল।
ইসস্ , এই জল কি খেতে হবে নাকি! সন্তুর দিকে তাকিয়ে মুখ বিকৃত করে দীপ্ত বলল।‌‌ সায়নেরও গা শির শির করে উঠল। সন্তু বলল, আবে শালা এ গন্দা পানি নেহি রে‌ ! মেহডকে্র (ব্যাঙ) এর ইউরিন নাকি জলকে সাংঘাতিক পরিশুদ্ধ করে।
দীপ্তরা এ ওর মুখ চাওয়া চাওয়ি করতে লাগল।‌ শেষে অনিরুদ্ধ বলল ,নাক চোখ বুজে খেয়ে নে দীপ্ত। এক মাস আমাদের এই জল খেয়েই কাটাতে হবে ! গা ঘিন ঘিন করা সত্বেও নাক চোখ বুজে ওরা ওই জলই খেলো।
দীপ্তর হঠাৎ চোখ পড়ল দোতলার একটা জানলার দিকে। দুটো বড় বড় গভীর কাজল কালো চোখ যেন ওদেরই দেখছে। সাদা শাড়ি পরা অল্প বয়সী একটা মেয়ে জানালায় দাঁড়িয়ে। দীপ্তর চোখে চোখ পড়তেই মেয়েটা জানালা থেকে সড়াৎ করে সরে গেল।
দীপ্ত সন্তুকে কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই সন্তুর বাবা এসে দীপ্তদের স্নান করার জন্য তাড়া দিলেন। পাতকুয়োর সামনেই একটা দর্মার বেড়া দিয়ে ঘেরা জায়গা। সন্তু জানালো কুয়ো তলাতেই স্নান করতে হবে। দীপ্তদের বাথরুমে চান করা অভ্যেস। কিন্তু এখানে ওইরকম বাথরুমের কোন ব্যবস্থাই নেই । অবশ্য মন্দ লাগছিল না ওদের এই পরিবেশে। রোজকার জীবন থেকে সবকিছুই একটু আলাদা । নাগরিক সভ্যতা থেকে যেন অনেক দূরের একটা নতুন জগৎ ! ‌এখানে সব হিসাব হয়তো মিলবে না ।
দীপ্তরা দোতলার একটা ঘরে গিয়ে নিজেদের ব্যাগপত্র রেখে গামছা নিয়ে পাতকুয়োতে এল স্নান করতে।‌‌ সায়ন যেই এক বালতি জল গায়ে ঢেলেছে অমনি লাফিয়ে চেঁচিয়ে উঠলো... 'বালতির মধ্যে ব্যাঙ' !
সন্তুর ভাইয়ের বেশ মজা লাগছিল দীপ্তদের ব্যাঙকে ভয় পেতে দেখে।
ফোকলা দাঁতে ফিক ফিক করে হাসতে লাগলো মন্নো‌।
স্নান করে জামা কাপড় পরে ওরা নীচর‌ ঘরে এলো। নিকোনো মাটির মেঝের উপর আসন পাতা। প্রত্যেকের আসনের সামনে একটা করে ডেস্ক এর মত রাখা। সন্তুর বাবা আর ভাইও এক সঙ্গেই খেতে বসেছে। সন্তুর মা এক গলা ঘোমটা দিয়ে পরিবেশন করছেন। আয়োজন খুব সামান্য। আন্তরিকতা কিন্তু অনেকটাই বেশি।
সন্তুরা নিরামিষাশী। ঝকঝকে পিতলের থালায় ভাত ডাল আলু ভাজা , একটা তেতোর তরকারি, একটা আলু বেগুন ওলকপির তরকারি আর আচার । সব শেষে টক দই ‌
সন্তুর বাবা মানুষটা কিন্তু বেশ মিশুকে। ছোটখাটো হাট্টাকাট্টা চেহারা। কাঁচাপাকা কদম ছাট চুল। পরনে ধুতি ফতুয়া , মাথার শেষ প্রান্তে একটা ছোট্ট টিকি। দীপ্তদের বললেন, গরীবখানা মে থোড়াসা তকলিফ তো জরুর হোগা বেটা ‌। আচ্ছে সে খাও তুম লোগ। শরমাও নেহি‌ । ইয়ে আপনাই ঘর সামঝো বেটা ।
"আরে ইয়ে‌ সন্তু কি মা ,। মেহমান লোগো কো আচ্ছে সে খাতিদারি করো। পুছো আউর‌ কেয়া‌ লাগেগা ‌‌ --- ইয়া নেহি --
বিরাট এক ডাক ছেড়ে সন্তুর মাকে কাছে ডেকে নিল চাচাজি।
বেচারী যেন কলের পুতুল !
বলা বাহুল্য সেই অবগুণ্ঠিত নারী কলের পুতুলের মত মাথা নাড়তে নাড়তে ইশারায় আমাদের কিছু জিজ্ঞাসা করছিল ।
হয়তো বা বলতে চাইছিল আমাদের আর কিছু লাগবে কিনা !
কিন্তু মুখে টু শব্দটি নেই ! সবকিছুই ইশারায় !
সুদূর উত্তরপ্রদেশের এই প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলাটি জীবনে হয়তো চাক্ষুষ কোনদিন এতগুলো শহরের ছেলেকে একসাথে কোনদিন ‌দেখেইনি !
রান্নাঘর থেকে সন্তুর মা কিছু আনতে গেলেন।
হঠাৎ দীপ্তর শ্বাসনালীতে কিভাবে যেন খাবার আটকে কাশি শুরু হল। সন্তুর বাবা উদ্বিগ্ন হয়ে ডাকতে লাগলেন সন্তুর মাকে। কাশির দমকে যখন দীপ্ত জেরবার হঠাৎ দেখল ওর সামনে জলের গ্লাস এগিয়ে দিচ্ছে একটা ফর্সা ধবধবে নিরাবরণ হাত। দীপ্ত মুখ তুলে তাকিয়ে দেখল -- সেই সাদা শাড়ি পরা কাজল নয়না রহস্যময়ী নারী !
অন্তরা ঘোষ ।
২১.১২.১৯.
( চলবে)
পর্ব ২ এর লিঙ্ক

No comments:

Post a Comment