ত্রিভুবন জিৎ মুখার্জী ২৬.০৭.২০১৭
ছোট্ট একটি গ্রাম । নাম ইতি-পুর । গ্রামটির ধার দিয়ে বয়ে গিয়েছে ছোট্ট একটি নদী । নাম ‘দয়া’ নদী । যারা “ধউলি শান্তি স্তূপ” দেখেছেন তারা নিশ্চয় এই দয়া নদীর ব্রিজের ওপর দিয়ে গিয়েছেন । দয়া নদীর ইতিহাস মর্ম স্পর্শী কারন এখানেই কলিঙ্গ যুদ্ধ হয় । হাজার হাজার কলিঙ্গ সেনার রক্তে ভাসে দয়া নদী । দয়া নদীর বর্ণ লাল হয় । সম্রাট অশোক এখানেই চণ্ডাশোক থেকে ধর্মাশোকে পরিণত হন । বৌদ্ধ ভিক্ষু উপ গুপ্ত তাঁকে বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষিত করেন । তাই জাপান থেকে এসে বুদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা এখানে শান্তি স্তূপ বানান । বিশিষ্ট প্রস্তর শিল্পী সুদর্শন পট্টনায়ক এই শান্তি স্তূপ বানান । এর পর থেকে এই শান্তি স্তূপ প্রধান আকর্ষণ হয় পর্যটকদের এবং পুরী ভুবনেশ্বর এলেই লোকে ধউলি শান্তি স্তূপ অবশ্যই দেখে যান । তবে আমি বলছি ইতিপুরের কথা । এই গ্রামটি দয়া নদীর ধারে অবস্থিত । নাম থেকেই সহজে অনুমেয় এটা শেষ গ্রাম তাই নাম ‘ইতি-পুর’ । এই গ্রামে অনেক দিন আগে এক দম্পতী বাস করতেন নদীর ধারে ঘর বানিয়ে । স্বামী কাজে যেতেন কিন্তু স্ত্রী সারাক্ষণ ঘরে মন মরা হয়ে বসে থাকতেন। ঘরে স্বামী ফিরলে বলতেন , “নদীর ওপার টা কত সুন্দর তুমি ওপারে কেন ঘর বানালে না । ওপারের রং কি সুন্দর সোনার মতন বালি , নীল রঙ্গের পাহাড় , আর সবুজ রঙ্গের গাছ পালা । মেঘ ঢাকা পাহাড় আর তাতে বিদ্যুতের ঝলকানি সব মিলিয়ে ছবির মতন লাগে । এপারটা দেখ কিছুই আকর্ষণ নেই যেন খাঁ খাঁ লাগে । আমার ভালো লাগে না । তুমি ওপারে ঘর কর । আমি ওপারে থাকবো । ”
স্বামী আশ্চর্য হয়ে বলতেন ঠিক আছে একদিন ওপারে নিয়ে যাবো তোমাকে । তারপর বলবে কোথায় ঘর করলে ভালো হবে । এক রবিবার স্বামী স্ত্রী তে ওপারে গেলেন । স্ত্রী ওখানে পৌঁছে বললেন এ কোথায় নিয়ে এলে তুমি ? এতো আমার সেই নদীর ওপার নয়। এখানে পাহাড় গর্তে ভরা । মরা গাছের ডালে ন্যাড়া পাহাড় অতি কদাকার লাগছে । এটা সে জায়গা নয় ।
স্বামী বোঝান স্ত্রীকে , তুমি ভুল করছ । এটাই সেই জায়গা , যা তুমি ওপার হতে দেখতে । এখন দেখ আমাদের ওপার কেমন দেখাচ্ছে ? কি সুন্দর দেখেছ ! সবুজ গাছ পালা , ধানের ক্ষেত , সরু বাঁকা নদী বয়ে গিয়েছে । সব মিলিয়ে চিত্রকরের হাতে তূলির টানে আঁকা চিত্রপট । দেখ আমি কত সুন্দর জায়গায় তোমাকে রেখেছি অথচ তুমি আমার তৈরি ঘরকে হতাদর করছ । এখন বল কোথায় তুমি থাকবে? এখানে না ওখানে ? এইখানেই ভগবানের সৃষ্টি দুটো চিত্রপট দেখলে !
ভগবান আমাদের দুটি জিনিষ দিয়েছেন ১. তৃষ্ণা ২. তৃপ্তি । তুমি , তৃষ্ণার বশবর্তী হয়ে ঈশ্বরের সৃষ্টিকে তুলনা করে মনে তৃপ্তি পাচ্ছিলেনা তাই অতৃপ্ত তোমার আকাঙ্ক্ষা । যা আছে তাতে তুমি তৃপ্ত হলে তোমার আকাঙ্ক্ষা হবেনা কিন্তু অতৃপ্ত হলে আকাঙ্ক্ষা বাড়বে । সেখানে তুমি যত যাই পাওনা কেন সর্বদা একে তাকে দুষবে , মনে কষ্ট পাবে । কিন্তু তোমার তৃষ্ণার সমাপ্তিতে তুমি পরম আরাধ্য পরম পিতা ভগবানের সন্নিকটে আত্ম তৃপ্তি পাবে। তাই আকাঙ্ক্ষাকে সীমিত রাখ ।
স্বামীর কথায় স্ত্রী হতবাক । স্ত্রী তাঁর ভুল বোঝেন ।
স্বামী বোঝান স্ত্রীকে , তুমি ভুল করছ । এটাই সেই জায়গা , যা তুমি ওপার হতে দেখতে । এখন দেখ আমাদের ওপার কেমন দেখাচ্ছে ? কি সুন্দর দেখেছ ! সবুজ গাছ পালা , ধানের ক্ষেত , সরু বাঁকা নদী বয়ে গিয়েছে । সব মিলিয়ে চিত্রকরের হাতে তূলির টানে আঁকা চিত্রপট । দেখ আমি কত সুন্দর জায়গায় তোমাকে রেখেছি অথচ তুমি আমার তৈরি ঘরকে হতাদর করছ । এখন বল কোথায় তুমি থাকবে? এখানে না ওখানে ? এইখানেই ভগবানের সৃষ্টি দুটো চিত্রপট দেখলে !
ভগবান আমাদের দুটি জিনিষ দিয়েছেন ১. তৃষ্ণা ২. তৃপ্তি । তুমি , তৃষ্ণার বশবর্তী হয়ে ঈশ্বরের সৃষ্টিকে তুলনা করে মনে তৃপ্তি পাচ্ছিলেনা তাই অতৃপ্ত তোমার আকাঙ্ক্ষা । যা আছে তাতে তুমি তৃপ্ত হলে তোমার আকাঙ্ক্ষা হবেনা কিন্তু অতৃপ্ত হলে আকাঙ্ক্ষা বাড়বে । সেখানে তুমি যত যাই পাওনা কেন সর্বদা একে তাকে দুষবে , মনে কষ্ট পাবে । কিন্তু তোমার তৃষ্ণার সমাপ্তিতে তুমি পরম আরাধ্য পরম পিতা ভগবানের সন্নিকটে আত্ম তৃপ্তি পাবে। তাই আকাঙ্ক্ষাকে সীমিত রাখ ।
স্বামীর কথায় স্ত্রী হতবাক । স্ত্রী তাঁর ভুল বোঝেন ।
No comments:
Post a Comment