নজরুল - রোমান্টিক বিদ্রোহী
শ্রীপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়
আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়ায় জন্ম ও বেড়ে ওঠা। বাবা ফকির আহমেদ ছিলেন মসজিদের ইমাম। সেই সূত্রে মাদ্রাসায় পড়াশুনো। বাল্যে পিতৃবিয়োগের পর নিজেও ‘মুয়াজিন’ পদে নিযুক্ত হন। মাদ্রাসায় পড়াশুনোর পর শিখেছিলেন আরবির পাশাপাশি হিন্দী এবং সংস্কৃতও। আসানসোলের ‘ওয়াহিদ’ বেকারিতেও কিছুদিন কাজ করেন। ছোটবেলা থেকেই কাকা ফজল করিমের ভ্রাম্যমান নাটক দল যাকে ইংরিজিতে Leto বলা হয়ে থাকে, তাতে যোগ দিয়ে অভিনয়ের পাশাপাশি গান, কবিতা লিখেছেন। লিখেছেন একাধিক নাটিকা যেমন ‘শকুনি বধ’, ‘চাষার শং’, ‘রাজা যুধিষ্ঠিরের শং’, ‘আকবর বাদশা’, ‘কবি কালিদাস’, ‘বিদ্যায়ন হুতুম’, ‘রাজপুত্রের শং’ ইত্যাদি। তবে তাঁর সত্যিকারের গদ্য ও পদ্যস্ফূর্তি British Indian Army-তে যোগদানের পর 49th Bengal Regiment-এর অধীনে করাচি ক্যান্টনমেন্টে থাকা কালে। ‘বাউণ্ডুলের আত্মকাহিনী’ বই, ‘মুক্তি’ কবিতাটি সেই সময়কার -১৯১৯ সালের। নজরুলের সেনায় যোগদানের পেছনে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উচ্চাশার বদলে সম্ভবত অ্যাডভেঞ্চারের তাগিদ কাজ করেছিল। কারণ পরবর্তীকালে ব্রিটিশ সরকারের বিরাগভাজন হয়ে কারাবরণও করতে দেখা গেছে, তাঁর সম্পাদিত ‘ধূমকেতু’ পত্রিকায় ‘আনন্দময়ীর আগমণে’ কবিতাটি নিষিদ্ধও ঘোষিত হয়েছিল। একাধিক জ্বালাময়ী গান আর কবিতা বলতে গেলে স্বাধীনতা সংগ্রামের স্লোগানের তুল্য ছিল। তবে তাঁর সেনাবাহিণীতে যোগদানের ঘটনাটি ঘটেছিল কোনও পূর্বপরিকল্পনা ছাড়াই হঠাৎ করে ম্যাট্রিকুলেশনের প্রিটেস্ট না দিয়ে।
শ্রীপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়
অথচ মজার কথা করাচিতে গিয়ে যত না যুদ্ধ করেছেন তার চেয়ে বেশি সাহিত্য বিশেষ করে কাব্যচর্চা করেছেন। রবীন্দ্রনাথ, শরৎ চন্দ্রের পাশাপাশি জনৈক পাঞ্জাবী মৌলবির কাছে পার্সি শিখে কবি হাফিজ রুমি আর ওমর খৈয়ামের কাব্যরস পান করেছেন আকণ্ঠ্য। নজরুলেরই অনুবাদ করা ওমর খৈয়ামের কবিতার একটি সংকলন আমার কাছে আছে। খৈয়াম সাহেব কতটা সুরারসিক ছিলেন সেই পরিচয় পাওয়া ছাড়া ওগুলোর গুণমান নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। কিন্তু পার্সি ঘরানার আদলে বাংলা রোমান্টিক গানে গজল শৈলীর প্রবর্তনা কাজি নজরুলেরই অমর কীর্তি। বাংলা, হিন্দী, উর্দু, সংস্কৃত, আরবি ও পার্সি ভাষাচর্চার পাশাপাশি নিজের অনুরাগের জায়গা থেকে যে হিন্দুস্তানী ধ্রূপদী সঙ্গীত শিখেছিলেন, সেই শিক্ষারই সার্থক প্রতিফলন তাঁর রচিত ও সুরারোপিত গানে, আমাদের সুপরিচিত নজরুলগীতিতে। রবীন্দ্রসঙ্গীতের মতো গুরুগম্ভীর ভাবে নয়, হয়তো কিঞ্চিত চটুল ভঙ্গীতেই প্রকাশিত প্রেমের আবেগ। কিন্তু সেগুলোর সাঙ্গীতিক অবস্থান ও মূল্য সাতসুরের নীরিখে বাংলা গানে একেবারে স্বতন্ত্র। রবীন্দ্রসঙ্গীত, অতুলপ্রসাদী, রজনীকান্তের ভক্তিগীতির পরিবেশনার মধ্যে কোথাও যেন স্বভাব-গাম্ভীর্যে একটা সাযুজ্য দেখি, যেন গান যে ফেলনা নয়, খুব পবিত্র কিছু সেটা বুঝিয়ে দেওয়ার সচেতন চেষ্টা; কিন্তু নজরুলের শ্যামসঙ্গীতও তাঁর নিজস্ব স্বতন্ত্র্য ঘরাণার সাক্ষ্য দেয়। এটা আমার নিজের অভিমত যদিও আমি সঙ্গীতবোদ্ধা নই। কবিতা ও গানে এই সাতন্ত্র্য হয়ত কিছুটা অতিরিক্ত আবরি, পার্সি শব্দ ব্যবহারের জন্যও। জানি না ইংরেজ সেনাধিকারিকরা সঙ্গীত রসিক ছিলেন কিনা, তবে সক্রিয় যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করেও কাজি কিন্তু কর্পোরাল থেকে হাবিলদার পদে উত্তির্ণ হন, নিজের ব্যাটালিয়নের-এর কোয়ার্টার মাস্টার হিসাবেও দায়িত্ব পান। বয়স তখন কতটুকু? কুড়ির প্রথম কোটায়। সেনা বাহিনী ত্যাগের পরও সঙ্গীত ও কাব্যই তাঁর ধ্যান জ্ঞান হয়ে থাকে। ভাগ্যক্রমে চাকরিও পান His Master’s Voice Gramophone কোম্পানিতে পদ রচয়িতা, সুরকার তথা মিউজিক ডায়রেক্টর হিসাবে। বেশ কিছুদিন Indian Broadcasting Company-র সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন, আকাশবাণী নামটা বোধহয় তখনও আসেনি।
বাংলা সাহিত্যের প্রখর সূর্য এবং বহু নক্ষত্রখচিত আকাশেও একটা আলাদা পরিচয় কাজি নজরুল ইসলাম। আমরা কবিতায় তীব্র বিদ্রোহ, শ্লেষ, প্রতিবাদ একজন অতি অল্প বয়সে প্রয়াত কবির রচনাতেও দেখেছি –সুকান্ত ভট্টাচার্য। কিন্তু বিদ্রোহী কবি বলতে নজরুল ইসলাম। কবিতাগুলো প্রকরণে হয়তো খুব আধুনিক নয়। কিছুটা সুকান্তের মতো সুকুমার আবেগে সিক্ত বা বলা যায় ক্ষোভে বাষ্পীভূত। কিন্তু নজরুলের চিন্তা ভাবনা শুধু যুগত্তীর্ণ নয়, এখনকার সময়ের চেয়েও এগিয়ে।
১৯৩০-৩১ নাগাদ ভারতের অনেক মুসলমান মাওলানা মোহাম্মদ আলী ও মাওলানা শওকত আলীর নেতৃত্বে তুরস্কের খিলাফত রক্ষার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তা দেখে গান্ধীজি অসহযোগ আন্দোলনে ভারতীয় মুসলিমদের অংশগ্রহণ টানতে অসহযোগের সঙ্গে খিলাফত আন্দোলনকে জুড়ে দিতে চান। আমরা পাঠ্যপুস্তকে এই ব্যাপারটা জাতির জনকের রাজনৈতিক বিচক্ষণতা হিসেবে পড়েছি। কিন্তু কাজী নজরুল ইসলাম খলিফাদের সাম্ততান্ত্রিক স্বার্থ ও ধর্মীয় শাসন রক্ষার জন্য লড়াই করার বদলে মুস্তাফা কামাল আতাতুর্ক পাশার নেতৃত্বে নতুন তুর্কি আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন,যারা তুরস্কের জগদ্দল ধর্মান্ধ সালতানাৎকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল। ১৯২১ সালের শেষ দিকে নজরুল তাঁর বিখ্যাত ‘কামাল পাশা’ কবিতাটি রচনা করেছিলেন। ভারতবর্ষে তোষণনীতির যে ঔপনিবেশিক ঐতিহ্য আজও বাহিত হচ্ছে, পরাধীন ভারতেই সেই স্রোতের বিপরীতে গিয়ে নজরুল ভারতীয় খিলাফত আন্দোলনের অসারত্ব এবং সমসাময়িক আন্তর্জাতিক ইতিহাস সম্পর্কে নিজের স্বচ্ছ ধারণা ব্যক্ত করেছিলেন। মোস্তাফা কামাল পাশার নেতৃত্বের প্রতি নজরুলের গভীর শ্রদ্ধা ছিল, যিনি তুরস্ককে একটি অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ আধুনিক প্রজাতন্ত্রে পরিণত করতে চেয়েছিলেন। পাশার নেতৃত্বে তুরস্কের সমাজ থেকে সামন্তবাদ অপসারণ এবং নারীদের আধুনিকতার পথে উত্তরণ দেখে নজরুল বিমোহিত হয়েছিলেন। যাঁর বাবা মসজিদের ইমাম এবং বাল্যে পিতৃবিয়োগের পর নিজেরও মসজিদে ‘মুয়েজিন’ পদে নিযুক্তি তাঁর মধ্যে ধর্মীয় সহিষ্ণুতা, উদারতা এবং লিঙ্গসাম্যের ভাবনা কীভাবে বিকশিত হয়েছিল সেটা সত্যিই বিস্ময়কর।
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মুজাফফর আহমেদের সঙ্গে কাজি সাহেবের ছিল নিবিড় বন্ধুত্ব। 'বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা'সম্পাদনা করতেন ভারতীয় রাজনীতিতে ‘কাকাবাবু’ নামে পরিচিত মুজাফফর আহমেদ। এই পত্রিকায় কাজ করতে গিয়ে নজরুল ও মুজাফফর আহমেদের প্রথম পরিচয়। ১৯১৮ সালে ‘বঙ্গীয় মুসলামান সাহিত্য পত্রিকা’য় প্রকাশের জন্য প্রথম লেখা পাঠান নজরুল। এর পর থেকে দুজনের মধ্যে পত্রালাপ শুরু হয়। প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল ১৯২০ সালে।
এরপর ‘শের-এ বাংলা’ এ কে ফজলুল হক কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ‘নবযুগ’ পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও রাজনীতিবিদ কমরেড মুজফ্ফর আহমেদ। ১৯২০ সালের ১২ জুলাই সান্ধ্য এটি পত্রিকা হিসেবে বেরোতে শুরু করে। এই সময় মুজাফফর আহমেদের প্রভাবেই নজরুল ইসলাম কমিউনিস্ট চিন্তাধারার দিকে আকৃষ্ট হন। তাঁর কবিতায় ফুটে ওঠে সাম্যবাদের বাণী, শ্রমজীবী মানুষের বঞ্চনা ক্ষোভ, অধিকারের দাবি ও বৈপ্লবিক বার্তা।
এর পর নজরুল সম্পাদিত ‘ধূমকেতু'ও ‘লাঙল'পত্রিকাতেও একসাথে কাজ করেন মুজাফ্ফর আহমেদ। কর্মজীবন পেরিয়ে ব্যক্তিজীবনেও তাঁদের গভীর সখ্য অটুট ছিল চিরকাল। নজরুল যখন দেওঘরে গিয়ে কপর্দকশূন্য হয়ে পড়েন তখন কলকাতায় ফিরতে পারেন মুজফ্ফরের জন্য। কুমিল্লায় বিয়ে করতে গিয়ে প্রতারিত হয়ে সর্বস্ব খোয়ানোর পরেও তাঁকে কলকাতায় ফেরান সেই মুজফ্ফর। আবার মুজাফফর আহমদ যখন জেলে তখন তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়াতে সন্দ্বীপ ছুটে যান নজরুল। কলকাতায় তালতলা লেনে তাঁদের একত্রবাসের সময়ই লেখা হয় কাজীর বিখ্যাত ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি। মুজাফফর আহমদ তাঁর ব্যাক্তিগত স্মৃতী কথায় লিখেছেন, “আসলে বিদ্রোহী কবিতা রচিত হয়েছিল ১৯২১ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষ সাপ্তাহে। সে কবিতাটি লিখেছিল রাত্রিতে। রাত্রির কোন প্রহরে তা আমি জানিনে। ওদিন রাত ১০ টার পর আমি ঘুমিয়ে পরেছিলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ ধুয়ে আমি বসেছি এমন সময় নজরুল বললো সে একটি কবিতা লিখেছে। পুরো কবিতাটি সে আমায় পড়ে শুনালো। বিদ্রোহী কবিতার আমিই প্রথম শ্রোতা।”
বাংলাদেশের জাতীয় কবির কবিতাতেই ফিরি। সংবেদনশীল মন সমাজের পিছিয়ে পড়া নিগৃহীত মানুষের হয়ে মুখর হবেন তাই তো স্বাভাবিক। সেই মুখরতা খুব কেতাবি নয়। নজরুলের বলার ভঙ্গীতে একজন নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক নয়, পাওয়া যায় নিপীড়িত সাধারণের প্রতিনিধিকে। বিদগ্ধ মননশীলতার মার্জিত বচন নয়, ফুটে ওঠে প্রতিবাদী চিৎকার। কবির ডাক নাম ছিল ‘দুখু মিঞা’। এই দুঃখ কবিকে তাড়িয়ে নিয়ে গেছে আবার এই দুঃখকে যেন তিনি যত্ন সহকারে লালনও করেছিলেন। মোটামুটি স্বচ্ছল পরিবারের সন্তান হলেও নিজেকে সর্বহারাদের একজন ভেবেই সৃষ্টির অনুপ্রেরণা পেতেন। -‘হে দারিদ্র, তুমি মোরে করেছ মহান/ তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রীস্টের সম্মান,/ কণ্টক মুকুট শোভা দিয়াছ তাপস/ আসঙ্কোচ প্রকাশের দুরন্ত সাহস!/ উদ্ধত উলঙ্গ দৃষ্টি, বাণী ক্ষুরধার/ বীণা মোর শাপে তব হল হল তরবার/দুঃসহ দহনে তব হে দর্পী তাপস,/ অম্লান স্বর্ণেরে মোর করিলে বিরস।/ অকালে শুকালে মোর রূপ রস প্রাণ!/ শীর্ণ করপুট ভরি সুন্দরের দান।/ যতবার নিতে যাই – হে বু্ভুক্ষু তুমি/ অগ্রে আসি কর পান! শূন্য মরূভূমি/ হেরি মম কল্পলোক! আমার নয়ন/ আমারি সুন্দরে করে অগ্নি বরিষণ! – কিন্তু এ তাঁর দুঃখ-বিলাসিতা নয়। দুঃখের এই বাস্তবতা তাঁকে গভীর ভাবেই ছুঁয়েছিল, যে কারণে লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধেও তাঁকে বিভিন্ন লেখায় সোচ্চার হতে দেখি।
অথচ যখন তিনি গীত রচয়িতা তখন যেন গানের সুরে রাগ জ্বালা কোথায় উড়ে যেত। বেজায় মজলিশি আর রোমান্টিক মেজাজে রচিত তাঁর গানগুলি। ৪০০০ গানের মধ্যে প্রেমের গানের সংখ্যাধিক্য উল্লেখযোগ্য। কিন্তু রোমান্স বা রোমান্টিকতা কোনওটাই কেবল সুখানুভূতি লাভের দিবাস্বপ্ন নয়। একটি রোমান্টিক মনকে প্রথমে সংবেদনশীল হতেই হয়। আর সংবেদনশীল হৃদয় প্রতিবাদী হতে বাধ্য। একটি সত্যিকারের রোমান্টিক হৃদয় প্রকৃতির সৌন্দর্যে যতটা মোহিত হয়, প্রেমাস্পদকে কাছে পেতে যতটা আগ্রহী হয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়াতেও ততটাই মরিয়া হয়ে ওঠে। আমার মনে হয় ‘রণক্লান্ত’ বিদ্রোহীর প্রেমিক সত্তার বিকাশ, কিংবা আশৈশব কাব্য-সঙ্গীত রসপ্রেমী কবির বিদ্রোহী হয়ে ওঠার মধ্যে তাই কোনও বিরোধ নেই; বরং দুটো সত্তার সহাবস্থানই তাঁর অন্তরের স্বচ্ছতা ব্যক্ত করে।
মাত্র ৪৩ বছর বয়সে দুরারোগ্য স্নায়ুরোগের কবলে বাক্ ও স্মৃতিশক্তি না হারালে আমরা আরও সমৃদ্ধ হতাম। শুধু সাহিত্যে নয়, এই দেশে এই উপনিবেশে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতির উন্নতিতেও। জাতির জনক যে ধর্মীয় গোঁড়ামিকে মান্যতা দিয়ে ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে কাজ হাসিল করতে চেয়েছিলেন, কলম হাতে এই সৈনিক তার চেয়ে অনেক বেশি দূরদৃষ্টির পরিচয় দেন। আমাদের দুর্ভাগ্য সেই দূরদৃষ্টিকে সুদূর প্রসারী হতে দেয়নি।
No comments:
Post a Comment