অণু গল্প “মরীচিকা”
ত্রিভুবন জিৎ মুখার্জী / ২৭.১২.২০১৪ / বেলা ১.৩০ টা
রাত দশটা । রাতের ডিনার শেষ । আজ শনিবার তাই কাল ঘুম থেকে দেরিতে উঠলেও কিছু যায় আশে না । এক কাপ কফি বানালে মন্দ হত না । কফি মেকারটা আমার পি.সি. র পাশেই থাকে । প্লাগ অন করে দুধ এক কাপ সঙ্গে একটু জল ঢ়েলে , এফ বিতে চ্যাটে বসলাম । আজ বেশ শীত আছে । রাতে ১৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস ।
‘দীপান্বিতা’ আমার ক্লাস মেট । গার্ল ফ্রেন্ড বললেও অত্যুক্তি হবে না ! এক ই সঙ্গে এম.টেক করেছি আমরা । এই শনিবারটা মনের কথা বলে থাকি ।
আমি:- কিরে ঘুমিয়ে পড়লি ?
দীপান্বিতা:- দূর এখন কি শোব ! তুই কি করছিস ?
ভেরান্ডা ভাজছি !
ইয়ার্কি করিস না সত্যি বল !
তোর কথা ভাবছি । দাঁড়া কফিটা .......
বাজে কথা বলিসনা । আমি কি তোর বৌ যে আমার কথা ভাববি !
বৌ হলেই বুঝি সুধু ভাবে ? কেন তোর কথা কি আমি ভাবতে পারিনা ?
ওরে আমার কেষ্ট !
এক কাপ কফি খেয়ে নি তারপর না হয় শুনবি !
Chat discontinued . See your net connection .
দীপান্বিতা:-কিরে কি হল ? কিছু বললি না যে !
আমি:- কফি টা ক্লাস বানিয়েছি বুঝলি । তোর বানানোর দরকার হবে না , আমি নিজেই বানিয়ে খেয়ে নেব
তাই করিস না হলে বৌ ...........
Chat discontinued . ……….
কাল ই একটা Wi Fi আনবো । খুব জ্বালাচ্ছে নেট টা ।
আমি:- নেট টা ভোগাচ্ছে বুঝলি । তুই স্কাই পি তে আয়না ?
দীপান্বিতা:- না আমার স্কাই পি একাউন্ট নেই । তা ছাড়া তোর সঙ্গে আমি স্কাই পি তে কেন কথা বলব রে ? তুই কি আমার .........
আমি:- কি ? আমি তোর কি ........ ?
দীপান্বিতা:- বাজে বকিস না । যা ঘুমবি যা । (একটু আস্কারা পেলে মাথায় চড়ে !!)
দীপান্বিতার নামের পাশে সবুজ আলোটা নিভে গেল সঙ্গে সঙ্গে । শনিবারটা ও মাঠে মারা গেল । ভেবেছিলাম কাল সাউথ সিটি মলে ওকে দেখা করব । ও একটু রিসার্ভ মেয়ে অন্যদের মত নয় । ওই একটু চ্যাট করে ব্যাস ! ওই অব্ধি !! তার চেয়ে বেশি না । আমার কিন্তু ওকে পছন্দ । মনে মনে ভাবি প্রপোজ করবো হয়ে ওঠে না । ওকে দেখলেই চুপসে যাই । কি যে হয় নিজেও জানিনা ! সেল ফোনে ফোন করলাম । বেজেই গেল । শুয়ে পড়লো নাকি ? কি জানি ? আমিও ঘুমতে গেলাম ।
******
পরের দিন উইন্ডোজ সেল ফোনের মেসেজ বক্সে দেখি:-“ কাল এত তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লি যে ?”
মনে মনে ভাবি ‘ফ্লির্ট’ কোথাকার ! কোন রিপ্লাই দিলাম না । গাড়ী নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম রবিবার বিকেলে ৩ টে নাগাদ ডায়মন্ড হারবার । ঘণ্টা খানেকের পথ বেহালা থেকে । রাস্তার যা অবস্থা কলকাতার , খুব বাজে রাস্তা । রাস্তায় ফোন বেজে উঠলো ? ব্লু টুত কানে গোঁজা । দীপান্বিতার ফোন দেখলাম স্ক্রিনে ।
আমি:- হ্যালো !
দীপান্বিতা: রাগ করেছিস ?
না !
তবে উত্তর দিলি না যে ?
না না রাগের কি আছে ?
কোথায় যাচ্ছিস একা একা ! জোরে চালাচ্ছিস মনে হচ্ছে !!
কি করবো এক একা ভাল লাগেনা । তাই ঘুরতে বেরলাম ।
কোথায় শুনি ? আমায় ডাকলি না কেন ? আমিও যেতাম !
যেখানে যাচ্ছি সেখানে তোকে নিয়ে যাওয়া যায়না । ক্রিমিনাল এরিয়া ।
তবে তুই যাচ্ছিস কেন ?
আমি পুরুষ মানুষ আমার কথা আলাদা । তুই বললেও তোকে নিয়ে যাবনা ।
এই আমায় বিয়ে করবি ?
কবে থেকে এত স্মার্ট হলি শুনি ?
তুই করবি কিনা বল ?
ভেবে দেখবো !
তবে আঙ্গুল চোষ । আমার বিয়ের ঠিক করেছেন বাবা । রাখি। বাই !!
ঘুমটা ভেঙ্গে গেল মায়ের গলার আওয়াজে , “শুভ উঠে পড় । বেলা হল । চা ঠাণ্ডা হয়েগেল”
ভোরের স্বপ্ন নাকি সত্যি হয় !!!!! **
‘দীপান্বিতা’ আমার ক্লাস মেট । গার্ল ফ্রেন্ড বললেও অত্যুক্তি হবে না ! এক ই সঙ্গে এম.টেক করেছি আমরা । এই শনিবারটা মনের কথা বলে থাকি ।
আমি:- কিরে ঘুমিয়ে পড়লি ?
দীপান্বিতা:- দূর এখন কি শোব ! তুই কি করছিস ?
ভেরান্ডা ভাজছি !
ইয়ার্কি করিস না সত্যি বল !
তোর কথা ভাবছি । দাঁড়া কফিটা .......
বাজে কথা বলিসনা । আমি কি তোর বৌ যে আমার কথা ভাববি !
বৌ হলেই বুঝি সুধু ভাবে ? কেন তোর কথা কি আমি ভাবতে পারিনা ?
ওরে আমার কেষ্ট !
এক কাপ কফি খেয়ে নি তারপর না হয় শুনবি !
Chat discontinued . See your net connection .
দীপান্বিতা:-কিরে কি হল ? কিছু বললি না যে !
আমি:- কফি টা ক্লাস বানিয়েছি বুঝলি । তোর বানানোর দরকার হবে না , আমি নিজেই বানিয়ে খেয়ে নেব
তাই করিস না হলে বৌ ...........
Chat discontinued . ……….
কাল ই একটা Wi Fi আনবো । খুব জ্বালাচ্ছে নেট টা ।
আমি:- নেট টা ভোগাচ্ছে বুঝলি । তুই স্কাই পি তে আয়না ?
দীপান্বিতা:- না আমার স্কাই পি একাউন্ট নেই । তা ছাড়া তোর সঙ্গে আমি স্কাই পি তে কেন কথা বলব রে ? তুই কি আমার .........
আমি:- কি ? আমি তোর কি ........ ?
দীপান্বিতা:- বাজে বকিস না । যা ঘুমবি যা । (একটু আস্কারা পেলে মাথায় চড়ে !!)
দীপান্বিতার নামের পাশে সবুজ আলোটা নিভে গেল সঙ্গে সঙ্গে । শনিবারটা ও মাঠে মারা গেল । ভেবেছিলাম কাল সাউথ সিটি মলে ওকে দেখা করব । ও একটু রিসার্ভ মেয়ে অন্যদের মত নয় । ওই একটু চ্যাট করে ব্যাস ! ওই অব্ধি !! তার চেয়ে বেশি না । আমার কিন্তু ওকে পছন্দ । মনে মনে ভাবি প্রপোজ করবো হয়ে ওঠে না । ওকে দেখলেই চুপসে যাই । কি যে হয় নিজেও জানিনা ! সেল ফোনে ফোন করলাম । বেজেই গেল । শুয়ে পড়লো নাকি ? কি জানি ? আমিও ঘুমতে গেলাম ।
******
পরের দিন উইন্ডোজ সেল ফোনের মেসেজ বক্সে দেখি:-“ কাল এত তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লি যে ?”
মনে মনে ভাবি ‘ফ্লির্ট’ কোথাকার ! কোন রিপ্লাই দিলাম না । গাড়ী নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম রবিবার বিকেলে ৩ টে নাগাদ ডায়মন্ড হারবার । ঘণ্টা খানেকের পথ বেহালা থেকে । রাস্তার যা অবস্থা কলকাতার , খুব বাজে রাস্তা । রাস্তায় ফোন বেজে উঠলো ? ব্লু টুত কানে গোঁজা । দীপান্বিতার ফোন দেখলাম স্ক্রিনে ।
আমি:- হ্যালো !
দীপান্বিতা: রাগ করেছিস ?
না !
তবে উত্তর দিলি না যে ?
না না রাগের কি আছে ?
কোথায় যাচ্ছিস একা একা ! জোরে চালাচ্ছিস মনে হচ্ছে !!
কি করবো এক একা ভাল লাগেনা । তাই ঘুরতে বেরলাম ।
কোথায় শুনি ? আমায় ডাকলি না কেন ? আমিও যেতাম !
যেখানে যাচ্ছি সেখানে তোকে নিয়ে যাওয়া যায়না । ক্রিমিনাল এরিয়া ।
তবে তুই যাচ্ছিস কেন ?
আমি পুরুষ মানুষ আমার কথা আলাদা । তুই বললেও তোকে নিয়ে যাবনা ।
এই আমায় বিয়ে করবি ?
কবে থেকে এত স্মার্ট হলি শুনি ?
তুই করবি কিনা বল ?
ভেবে দেখবো !
তবে আঙ্গুল চোষ । আমার বিয়ের ঠিক করেছেন বাবা । রাখি। বাই !!
ঘুমটা ভেঙ্গে গেল মায়ের গলার আওয়াজে , “শুভ উঠে পড় । বেলা হল । চা ঠাণ্ডা হয়েগেল”
ভোরের স্বপ্ন নাকি সত্যি হয় !!!!! **
No comments:
Post a Comment