আজ ১০ই মে, তাঁর ১৫২তম জন্মদিন ।
শ্রী ফাল্গুণী মুখার্জী ।
বাংলা শিশুসাহিত্যের পিতৃপুরুষ উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী । ময়মনসিংহ জেলার মসুয়া গ্রামের বনেদি রায় পরিবারে জন্ম, পিতা কালীনাথ রায় । পিতৃদত্ত বাল্যনাম কামদা রঞ্জন । রায় পরিবারেরই আর এক শাখা জমিদার নিঃসন্তান হরকিশোর রায়চৌধুরী দত্তক নিয়েছিলেন কামদারঞ্জনকে – বদল হয়ে গেলো নামটিও । নাম হ’ল উপেন্দ্রকিশোর । ভাই সারদারঞ্জন বাংলায় ক্রিকেট খেলার জনক রূপে খ্যাত ।
জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকে প্রকাশিত ‘বালক’ ও শিবনাথ শাস্ত্রী সম্পাদিত ছোটদের পত্রিকা ‘মুকুল’ উপেন্দ্রকিশোরকে শিশুসাহিত্য রচনায় উদবুদ্ধ করেছিল । তাঁর চেয়ে দুবছরের বড় রবীন্দ্রনাথের সুহৃদ ছিলেন উপেন্দ্রকিশোর । উপেন্দ্রকিশোরের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ‘ছেলেদের রামায়ণ’এর পান্ডুলিপি ও প্রুফ সংশোধন করে দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ । উপেন্দ্রকিশোরের হাতে গড়ে উঠলো বাংলা শিশুসাহিত্যের নিজস্ব চরিত্র । তাঁর রচনায় এলো আমাদের পুরান কাহিনী, উপকথা, রূপকথা।, বিজ্ঞানের কথা , শিশুসাহিত্যের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হ’ল । ১৯১৩’র এপ্রিলে প্রকাশ করতে সুরু করলেন ছোটদের পত্রিকা ‘সন্দেশ’ – কল্পলোকের মায়াবী দরজা খুলে গেল ছোটদের সামনে । নিজে লিখে চললেন আর ‘সন্দেশ’ পত্রিকাকে ঘিরে তৈরী করলেন ছোটদের নূতন ধারার লেখকগোষ্ঠী । ঠাকুর পরিবারের মতই এক বিস্ময়কর পরিবার । পুত্র সুকুমার, সুবিনয়, সুবিমল , কন্যা সুখলতা, পূণ্যলতা, ভাই কুলদারঞ্জন, প্রমদারঞ্জন এবং পরবর্তী দুই প্রজন্ম সমৃদ্ধ করে গেছে বাংলা শিশুসাহিত্যের ভুবনকে । তাঁর ‘সন্দেশ’ এখনও প্রকাশিত হয়ে চলেছে । মাত্র ৫২ বছর বয়সে ডায়াবেটিস রোগে মৃত্যু হয় উপেন্দ্রকিশোরের ১৯১৫’র ২০শে ডিসেম্বর ।
জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকে প্রকাশিত ‘বালক’ ও শিবনাথ শাস্ত্রী সম্পাদিত ছোটদের পত্রিকা ‘মুকুল’ উপেন্দ্রকিশোরকে শিশুসাহিত্য রচনায় উদবুদ্ধ করেছিল । তাঁর চেয়ে দুবছরের বড় রবীন্দ্রনাথের সুহৃদ ছিলেন উপেন্দ্রকিশোর । উপেন্দ্রকিশোরের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ‘ছেলেদের রামায়ণ’এর পান্ডুলিপি ও প্রুফ সংশোধন করে দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ । উপেন্দ্রকিশোরের হাতে গড়ে উঠলো বাংলা শিশুসাহিত্যের নিজস্ব চরিত্র । তাঁর রচনায় এলো আমাদের পুরান কাহিনী, উপকথা, রূপকথা।, বিজ্ঞানের কথা , শিশুসাহিত্যের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হ’ল । ১৯১৩’র এপ্রিলে প্রকাশ করতে সুরু করলেন ছোটদের পত্রিকা ‘সন্দেশ’ – কল্পলোকের মায়াবী দরজা খুলে গেল ছোটদের সামনে । নিজে লিখে চললেন আর ‘সন্দেশ’ পত্রিকাকে ঘিরে তৈরী করলেন ছোটদের নূতন ধারার লেখকগোষ্ঠী । ঠাকুর পরিবারের মতই এক বিস্ময়কর পরিবার । পুত্র সুকুমার, সুবিনয়, সুবিমল , কন্যা সুখলতা, পূণ্যলতা, ভাই কুলদারঞ্জন, প্রমদারঞ্জন এবং পরবর্তী দুই প্রজন্ম সমৃদ্ধ করে গেছে বাংলা শিশুসাহিত্যের ভুবনকে । তাঁর ‘সন্দেশ’ এখনও প্রকাশিত হয়ে চলেছে । মাত্র ৫২ বছর বয়সে ডায়াবেটিস রোগে মৃত্যু হয় উপেন্দ্রকিশোরের ১৯১৫’র ২০শে ডিসেম্বর ।
No comments:
Post a Comment