Wednesday, May 7, 2014

ক্ষুদ্র গল্প ‘ইন্দ্রধনু’ ত্রিভুবন জিৎ মুখার্জি / ৫.৫.২০১৪ / রাত ১০.১২ ।




ক্ষুদ্র গল্প ‘ইন্দ্রধনু’ 

ত্রিভুবন জিৎ মুখার্জি / ৫.৫.২০১৪ / রাত ১০.১২ । 

পারুল সবে +২ সাইন্স এ্যাডমিসন নিয়েছে । প্রথম দিন কলেজে সিনিয়র মেয়েরা raging আরম্ভ করাতে খুব অস্বস্তি লাগছিল। মেয়েরা আবার raging করে !! খুব শ্রুতি কটু তবুও মানতে বাধ্য , উপায় নেই । খুব ভাল পড়াশুনোয় না হলেও পারুল ফেলে দেওয়ার মত মেয়ে নয় । ৯২ শতাংশ নম্বর পেয়েছে সি বি এস সি তে ।
সকালে প্রাক্টিকাল ক্লাসে যাওয়ার সময় ওদের পাডার ছেলে অনির্বাণের সঙ্গে দেখা ।
... এই অনির্বাণ দা শোন , বলে হাঁপাচ্ছিল পারুল । 
... কি বল ?
...আমার সঙ্গে কলেজ অবধি যাবে ?
... না যাওয়ার কি আছে ? আমিতো কলেজেই যাচ্ছি ।
... হ্যাঁ জানি । তুমি কি সাইন্স নিয়েই পডছো অনির্বাণ দা ?
... হ্যাঁ পিওর সাইন্স । আমার ‘কম্প্যুটার’ ফোর্থ অপশনাল ।
... ও তবে ত ভালোই বল !
.... কেন ?
.... আমিও ‘কম্প্যুটার’ ফোর্থ অপশনাল নিয়েছি ।
... হুঁ । ভালো করেছ । খাটুনি আছে । প্রোজেক্ট করতে হবে । পারবে ত ? একটু গুরু গম্ভীর ভাবে বলে ।
... পারতে হবে । না পারার কি আছে !
একটা কথা বলবো অনির্বাণ দা !
বল ।
আমার না ভয় করে সিনিয়রদের ।
কিছু ভেবোনা আমি বলে দেব ওদের। ফাজিল ছেলে সব ।
না না শুধু ছেলেরা নয় মেয়েরাও আছে ওই মহৎ কাজে ।কি করে সময় পায় ওরা ?
আমার ভয় করে । তুমি যদি ওদের একটু বলে দিতে “তোমার বোন বলে”!
অনির্বাণের ভুরু কুঁচকানো সহজেই অনুমেয় ! পারুলের চোখ এডালোনা ।
ঠিক আছে । বলে দেব ।
এরমধ্যে কলেজ ক্যাম্পাস এসে জায় । পারুল দ্রুত বেগে এগোয় ক্লাসের দিকে ।
অনির্বাণ ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকে পারুলের হাঁটার পথের দিকে । এটাই কি হয় সবার ! নিজেকে ছোট মনে হয় । ও হাঁটতে সুরু করে ক্লাসের দিকে !!!
ইন্দ্রধনুর সাত রঙ্গের কোন রংটা মনে লেগেছে বুঝতে পারে না অনির্বাণ । তবে কিছু একটা ঘটেছে । তাও কয়েক ঘণ্টার মধ্যে । তবে রংটা টিকবে কিনা জানেনা !!!!
Like · 

No comments:

Post a Comment