অনুগল্প 'ইতিপুর'
ত্রিভুবন জিৎ মুখার্জী , ১১.০৪.২০১৪
তাই জাপান থেকে এসে বুধ্য ধর্মালম্বিরা এখানে শান্তি স্তূপ বানান । বিশিষ্ট প্রস্তর শিল্পী সুদর্শন পট্টনায়ক এই শান্তি স্তূপ বানান । এর পর থেকে এই শান্তি স্তূপ প্রধান আকর্ষণ হয় পর্যটকদের এবং পুরী ভুবনেশ্বর এলেই লোকে ধউলী শান্তি স্তূপ অবশ্যই দেখে যান ।
তবে আমি বলছি ইতিপুরের কথা । এই গ্রামটি দয়া নদীর ধারে অবস্থিত । নাম থেকেই সহজে অনুমেয় এটা শেষ গ্রাম তাই নাম ইতিপুর । এই গ্রামে অনেক দিন আগে এক দম্পতী বাস করতেন নদীর ধারে ঘর বানিয়ে । স্বামী কাজে জেতেন কিন্তু স্ত্রী সারাক্ষণ ঘরে মন মরা হয়ে বসে থাকতেন। ঘরে স্বামী ফিরলে বলতেন , “নদীর ওপার টা কত সুন্দর তুমি ওপারে কেন ঘর বানালে না । ওপারের রং কি সুন্দর সোনার মতন বালি , নীল রঙ্গের পাহাড় , আর সবুজ রঙ্গের গাছ পালা । মেঘ ঢাকা পাহাড় আর তাতে বিদ্যুতের ঝলকানি সব মিলিয়ে ছবির মতন লাগে । এপারটা দেখ কিছুই আকর্ষণ নেই যেন খাঁ খাঁ লাগে । আমার ভালো লাগে না । তুমি ওপারে ঘর কর । আমি ওপারে থাকবো । ”
স্বামী আশ্চর্য হয়ে বলতেন ঠিক আছে একদিন ওপারে নিয়ে যাবো তোমাকে । তারপর বলবে কোথায় ঘর করলে ভালো হবে । এক রবিবার স্বামী স্ত্রী তে ওপারে গেলেন । স্ত্রী ওখানে পৌঁছে বললেন এ কোথায় নিয়ে এলে তুমি । এতো আমার সেই নদীর ওপার নয়। এখানে পাহাড় গর্তে ভরা । মরা গাছের ডালে ন্যাড়া পাহাড় অতি কদাকার লাগছে । এ সে জায়গা নয় । আমাকে এখান থেকে নিয়ে চল ।
স্বামী বোঝান স্ত্রীকে , তুমি ভুল করছ । এটাই সেই জায়গা যা তুমি ওপার হতে দেখতে । এখন দেখ আমাদের ওই পার কেমন দেখাচ্ছে ? কি সুন্দর দেখছ । সবুজ গাছ পালা , ধানের ক্ষেত , সরু বাঁকা নদী বয়ে গিয়েছে । সব মিলিয়ে চিত্রকরের হাতে তূলির টানে আঁকা চিত্রপট । দেখ আমি কত সুন্দর জায়গায় তোমাকে রেখেছি অথচ তুমি আমার তৈরি ঘরকে হতাদর করছ । এখন বল কোথায় থাকবে? এখানে না ওখানে ? এইখানেই ভগবানের সৃষ্টি দুটো চিত্রপট দেখলে । ভগবান আমাদের দুটি জিনিষ দিয়েছেন ১. তৃষ্ণা ২. তৃপ্তি । তুমি , তৃষ্ণার বশবর্তী হয়ে ঈশ্বরের সৃষ্টিকে তুলনা করে মনে তৃপ্তি পাচ্ছিলেনা তাই অতৃপ্ত তোমার আকাঙ্ক্ষা । যা আছে তাতে তুমি তৃপ্ত হলে তোমার আকাঙ্ক্ষা হবেনা কিন্তু অতৃপ্ত হলে আকাঙ্ক্ষা বাড়বে । সেখানে তুমি যত যাই পাওনা কেন সর্বদা একে তাকে দুষবে , মনে কষ্ট পাবে । কিন্তু তোমার তৃষ্ণার সমাপ্তিতে তুমি পরম আরাধ্য পরম পিতা ভগবানের সন্নিকটাবর্ত্তি হবে তাতে আত্ম তৃপ্তি পাবে। তাই আকাঙ্ক্ষাকে সীমিত রাখ ।
স্বামীর কথায় স্ত্রী হতবাক । স্ত্রী তাঁর ভুল বোঝেন ।
স্বামী আশ্চর্য হয়ে বলতেন ঠিক আছে একদিন ওপারে নিয়ে যাবো তোমাকে । তারপর বলবে কোথায় ঘর করলে ভালো হবে । এক রবিবার স্বামী স্ত্রী তে ওপারে গেলেন । স্ত্রী ওখানে পৌঁছে বললেন এ কোথায় নিয়ে এলে তুমি । এতো আমার সেই নদীর ওপার নয়। এখানে পাহাড় গর্তে ভরা । মরা গাছের ডালে ন্যাড়া পাহাড় অতি কদাকার লাগছে । এ সে জায়গা নয় । আমাকে এখান থেকে নিয়ে চল ।
স্বামী বোঝান স্ত্রীকে , তুমি ভুল করছ । এটাই সেই জায়গা যা তুমি ওপার হতে দেখতে । এখন দেখ আমাদের ওই পার কেমন দেখাচ্ছে ? কি সুন্দর দেখছ । সবুজ গাছ পালা , ধানের ক্ষেত , সরু বাঁকা নদী বয়ে গিয়েছে । সব মিলিয়ে চিত্রকরের হাতে তূলির টানে আঁকা চিত্রপট । দেখ আমি কত সুন্দর জায়গায় তোমাকে রেখেছি অথচ তুমি আমার তৈরি ঘরকে হতাদর করছ । এখন বল কোথায় থাকবে? এখানে না ওখানে ? এইখানেই ভগবানের সৃষ্টি দুটো চিত্রপট দেখলে । ভগবান আমাদের দুটি জিনিষ দিয়েছেন ১. তৃষ্ণা ২. তৃপ্তি । তুমি , তৃষ্ণার বশবর্তী হয়ে ঈশ্বরের সৃষ্টিকে তুলনা করে মনে তৃপ্তি পাচ্ছিলেনা তাই অতৃপ্ত তোমার আকাঙ্ক্ষা । যা আছে তাতে তুমি তৃপ্ত হলে তোমার আকাঙ্ক্ষা হবেনা কিন্তু অতৃপ্ত হলে আকাঙ্ক্ষা বাড়বে । সেখানে তুমি যত যাই পাওনা কেন সর্বদা একে তাকে দুষবে , মনে কষ্ট পাবে । কিন্তু তোমার তৃষ্ণার সমাপ্তিতে তুমি পরম আরাধ্য পরম পিতা ভগবানের সন্নিকটাবর্ত্তি হবে তাতে আত্ম তৃপ্তি পাবে। তাই আকাঙ্ক্ষাকে সীমিত রাখ ।
স্বামীর কথায় স্ত্রী হতবাক । স্ত্রী তাঁর ভুল বোঝেন ।
No comments:
Post a Comment