৮ম পর্ব “আবিষ্কারের নেশা”
(পূর্ব প্রকাশিতর পর)
(পূর্ব প্রকাশিতর পর)
সকালে ঘুম থেকে উঠেই
অয়নের ফোন ।
সুপ্রভাত শালু ।
সুপ্রভাত । এমন ভাব দেখাচ্ছ যেন আমাকে অনেক দিন দেখনি !
সকাল সকাল আমাকে বকছ ।
তা কেন ! তবে এইতো মাত্র কয়েক ঘণ্টা কেটেছে ! সকাল সকাল ফোন করলে মা কি ভাববেন বলত ?
কি আবার ভাববেন ? আমাদের বিয়ে হবে তার আগে একটু ঘুর-বোনা ! আজ কোথায় যাবে বল ?
না আজ আমি কোথাও যাবো না ।
কেন ?
আমার কাজ আছে । দেখ অয়ন তুমি আমাকে ভালো করে যান আমি অহেতুক অকারণে কোথাও বেরুতে ভালো বাসিনা । আমার অন্য কাজ আছে ।
ওকে বাবা । টেক ইট ইজি ।
নো আই কান্ট টেক ইট ইজি । এইখানেই তোমার আমার মধ্যে পার্থক্য !
মানে?
মানে সিম্পল ...।
শালিনী যানে কথাগুলো অয়নের ভাল লাগবে না তাও ও বলতে বাধ্য হয়, “আজ আমার বাবার মৃত্যু দিবস। আজ আমি একা থাকতে চাই অয়ন । আমাকে একা থাকতে দাও !”
অয়ন বোঝে শালিনীর মনের অবস্থা । তাই আর কথা বাড়ায়না । “ও আচ্ছা আমি দুঃখিত । আমি জানতাম না । তুমি তোমার মত থাক । বলে ফোন কেটে দেয়”
শালিনীর চোখের জল যেন শ্রাবণের ধারার মত অবিশ্রান্ত বয়ে যায় । কিছুতেই ভুলতে পারেনা বাবার সেই অকাল মৃত্যুর দিনের কথা ।
একাকীত্বর মধ্যে বাবার কথাগুলো মনে পড়ে ,“ মৃত্যু , ধ্রুব সত্য কিন্তু তাকে কেউ সহজ ভাবে নিতে পারেনা মা । আজ আমি রোগ শয্যায় পড়ে আছি কাল হয়তো থাকবোনা । তখন তোরা আমার ছবি টাঙিয়ে ফুলের মালা দিয়ে তিনটে ধুপ জ্বালিয়ে আমাকে স্মরণ করবি কিন্তু আমি নিজেও জানিনা তোদের ডাক আমার কাছে পৌঁছবে কি না ! খুব আশ্চর্য লাগে আমার !”
বাবা তুমি কেন এরকম বাজে কথা বলে আমাদের মনে দুঃখ দিচ্ছ ? আমাদের মনে কষ্ট হয় না তোমার এই কথা শুনলে ? তুমি কি চাও আমরা কষ্ট পাই?
নারে মা । আমি চাইনা তোরা কষ্ট পাস । নিয়তির কাছে সকলেই বাঁধা । কি করি বল ? পেটের ব্যথাটা বেড়েছে । আমি বুঝতে পারছি আর বেশি দিন নয় ।
সেই দিন বেল ভিউ নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয় বাবাকে । অর্কদা , আমরা সকলে শত চেষ্টা করেও বাবাকে বাঁচাতে পারিনা । ডাক্তার চক্রবর্তী অপারেশনের পর বাবাকে দুদিন লাইফ সাপোর্টে রাখার পর বলেন পেসেন্ট কোমায় আছে । অবস্থা ক্রিটিকাল বাঁচানো সম্ভব নয় । আমাদের তখন টাকা জলের মত খর্চা হচ্ছে । মা রাত দিন ঠাকুরকে ডাকছেন আর চোখের জলে ভাসিয়ে দিচ্ছেন । তবুও ঠাকুর শুনলেন না মায়ের ডাক । শেষে বাবা রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জুলাই ২ তারিখে । সারাজীবন আমার মনে থাকবে সেই দিনটার কথা । আমার চরম দুঃখের দিন সেই দিনটা । আমি ওই দিন একা থাকি ।
পরের দিন ঃ-
জুলাই তিন তারিখে NISER এ জয়েন করার জন্য চিঠি আসে । শালিনী হার্ড কপি সফট কপি দুটোই পেয়ে অয়নকে জানায় । জুলাই ৭ তারিখে জয়েনিং ডেট ।
অয়ন বলে তুমি যা ভালো বোঝ তাই কর । তোমার কেরিয়ারের ব্যাপারে আমি হস্তক্ষেপ করার কে?
তা নয় তবুও তোমাকে জানালাম । Associate Professor , Physics , NISER Bhubaneswar . আমার স্বপ্ন অয়ন। ওই Institute এ কাজ করার সুযোগ পাব চিন্তা করতে পারিনি । আমি আজ খুব খুশি । আমি জানিনা তুমি কতটা খুশি !
চলবেঃ
ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জী / ২২.৭.২০১৪ / মঙ্গলবার ।
অয়নের ফোন ।
সুপ্রভাত শালু ।
সুপ্রভাত । এমন ভাব দেখাচ্ছ যেন আমাকে অনেক দিন দেখনি !
সকাল সকাল আমাকে বকছ ।
তা কেন ! তবে এইতো মাত্র কয়েক ঘণ্টা কেটেছে ! সকাল সকাল ফোন করলে মা কি ভাববেন বলত ?
কি আবার ভাববেন ? আমাদের বিয়ে হবে তার আগে একটু ঘুর-বোনা ! আজ কোথায় যাবে বল ?
না আজ আমি কোথাও যাবো না ।
কেন ?
আমার কাজ আছে । দেখ অয়ন তুমি আমাকে ভালো করে যান আমি অহেতুক অকারণে কোথাও বেরুতে ভালো বাসিনা । আমার অন্য কাজ আছে ।
ওকে বাবা । টেক ইট ইজি ।
নো আই কান্ট টেক ইট ইজি । এইখানেই তোমার আমার মধ্যে পার্থক্য !
মানে?
মানে সিম্পল ...।
শালিনী যানে কথাগুলো অয়নের ভাল লাগবে না তাও ও বলতে বাধ্য হয়, “আজ আমার বাবার মৃত্যু দিবস। আজ আমি একা থাকতে চাই অয়ন । আমাকে একা থাকতে দাও !”
অয়ন বোঝে শালিনীর মনের অবস্থা । তাই আর কথা বাড়ায়না । “ও আচ্ছা আমি দুঃখিত । আমি জানতাম না । তুমি তোমার মত থাক । বলে ফোন কেটে দেয়”
শালিনীর চোখের জল যেন শ্রাবণের ধারার মত অবিশ্রান্ত বয়ে যায় । কিছুতেই ভুলতে পারেনা বাবার সেই অকাল মৃত্যুর দিনের কথা ।
একাকীত্বর মধ্যে বাবার কথাগুলো মনে পড়ে ,“ মৃত্যু , ধ্রুব সত্য কিন্তু তাকে কেউ সহজ ভাবে নিতে পারেনা মা । আজ আমি রোগ শয্যায় পড়ে আছি কাল হয়তো থাকবোনা । তখন তোরা আমার ছবি টাঙিয়ে ফুলের মালা দিয়ে তিনটে ধুপ জ্বালিয়ে আমাকে স্মরণ করবি কিন্তু আমি নিজেও জানিনা তোদের ডাক আমার কাছে পৌঁছবে কি না ! খুব আশ্চর্য লাগে আমার !”
বাবা তুমি কেন এরকম বাজে কথা বলে আমাদের মনে দুঃখ দিচ্ছ ? আমাদের মনে কষ্ট হয় না তোমার এই কথা শুনলে ? তুমি কি চাও আমরা কষ্ট পাই?
নারে মা । আমি চাইনা তোরা কষ্ট পাস । নিয়তির কাছে সকলেই বাঁধা । কি করি বল ? পেটের ব্যথাটা বেড়েছে । আমি বুঝতে পারছি আর বেশি দিন নয় ।
সেই দিন বেল ভিউ নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয় বাবাকে । অর্কদা , আমরা সকলে শত চেষ্টা করেও বাবাকে বাঁচাতে পারিনা । ডাক্তার চক্রবর্তী অপারেশনের পর বাবাকে দুদিন লাইফ সাপোর্টে রাখার পর বলেন পেসেন্ট কোমায় আছে । অবস্থা ক্রিটিকাল বাঁচানো সম্ভব নয় । আমাদের তখন টাকা জলের মত খর্চা হচ্ছে । মা রাত দিন ঠাকুরকে ডাকছেন আর চোখের জলে ভাসিয়ে দিচ্ছেন । তবুও ঠাকুর শুনলেন না মায়ের ডাক । শেষে বাবা রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জুলাই ২ তারিখে । সারাজীবন আমার মনে থাকবে সেই দিনটার কথা । আমার চরম দুঃখের দিন সেই দিনটা । আমি ওই দিন একা থাকি ।
পরের দিন ঃ-
জুলাই তিন তারিখে NISER এ জয়েন করার জন্য চিঠি আসে । শালিনী হার্ড কপি সফট কপি দুটোই পেয়ে অয়নকে জানায় । জুলাই ৭ তারিখে জয়েনিং ডেট ।
অয়ন বলে তুমি যা ভালো বোঝ তাই কর । তোমার কেরিয়ারের ব্যাপারে আমি হস্তক্ষেপ করার কে?
তা নয় তবুও তোমাকে জানালাম । Associate Professor , Physics , NISER Bhubaneswar . আমার স্বপ্ন অয়ন। ওই Institute এ কাজ করার সুযোগ পাব চিন্তা করতে পারিনি । আমি আজ খুব খুশি । আমি জানিনা তুমি কতটা খুশি !
চলবেঃ
ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জী / ২২.৭.২০১৪ / মঙ্গলবার ।
No comments:
Post a Comment