৭ম পর্ব আবিষ্কারের নেশা
পূর্ব প্রকাশিতর পর ঃ-
অয়নকে নিয়ে শালিনী ওর নিজের ঘরে বসে । খুব ই অন্তরঙ্গ বন্ধু ওরা দুজনে মনে হচ্ছিল। একে অপরকে নাহলে চলবেনা মনে হচ্ছিল। হাঁসি ঠাট্টার মধ্যে সময় কেটে যাচ্ছিল । মা এতোদিনে নিশ্চিন্ত । বোধহয় লোকনাথ বাবার পূজোটা আজই দেবেন। কাল মঙ্গল বার হয়তো কাল-ই দক্ষিণেশ্বরে পূজো দিতে যাবেন।
শালিনীঃ- তুমি বিয়ের পর আমাকে নিজের স্বাধীন মত কাজ করতে দেবে ?
অয়নঃ- কেন তুমি কি পরাধীন দেশের নাগরিক নাকি যে আমায় এই কথা বলছ !
বাঃ যাচাই করবোনা । পরে আমাকে যদি বাধা দাও । মুচকি হাঁসে শালিনী ।
কি হবে না হবে সে সিচুএসন অনুযায়ী ঠিক হবে । তবে তোমার ব্যাক্তি স্বাধিনতায় আমি কে হস্তক্ষেপ করার !
ঠিক আছে আমি কিন্তু রিসার্চ চালিয়ে যাবো । চাকরি পেলে তাও করবো ।
আজকাল এসব কেউ বলেনা শালু ।
শালু ! গ্রেট !! আবার বল । ভাগ্যিস শালি বলে বসনি !!
কেন খারাপ লাগছে শুনতে ?
না না । আমার মা ওই নামে ডাকে আমায় । তুমি ত আমার মায়ের দলে তাই ডাকতে পার । ও কে । ইটস ওকে ।
আমাকে একটা গুড নাইট কিস দেবে ?
আবার বাজে কথা !
দাও না ।
শালু উঠে পালাতে যাবে , অয়ন হাত ধরে নিজের দিকে টেনে আনে ।
কি হচ্ছে মা দেখলে কি ভাববেন । উম উম ..... না ছাড়ো ।
খুব অসভ্য তুমি । কলেজে ত এরকম ছিলেনা ।
অয়ন ঘোরে ছিল শালুর সানিধ্য তাকে মাতাল করেছে । একটা গান মনে পড়ে গেল ঃ-
পূর্ব প্রকাশিতর পর ঃ-
অয়নকে নিয়ে শালিনী ওর নিজের ঘরে বসে । খুব ই অন্তরঙ্গ বন্ধু ওরা দুজনে মনে হচ্ছিল। একে অপরকে নাহলে চলবেনা মনে হচ্ছিল। হাঁসি ঠাট্টার মধ্যে সময় কেটে যাচ্ছিল । মা এতোদিনে নিশ্চিন্ত । বোধহয় লোকনাথ বাবার পূজোটা আজই দেবেন। কাল মঙ্গল বার হয়তো কাল-ই দক্ষিণেশ্বরে পূজো দিতে যাবেন।
শালিনীঃ- তুমি বিয়ের পর আমাকে নিজের স্বাধীন মত কাজ করতে দেবে ?
অয়নঃ- কেন তুমি কি পরাধীন দেশের নাগরিক নাকি যে আমায় এই কথা বলছ !
বাঃ যাচাই করবোনা । পরে আমাকে যদি বাধা দাও । মুচকি হাঁসে শালিনী ।
কি হবে না হবে সে সিচুএসন অনুযায়ী ঠিক হবে । তবে তোমার ব্যাক্তি স্বাধিনতায় আমি কে হস্তক্ষেপ করার !
ঠিক আছে আমি কিন্তু রিসার্চ চালিয়ে যাবো । চাকরি পেলে তাও করবো ।
আজকাল এসব কেউ বলেনা শালু ।
শালু ! গ্রেট !! আবার বল । ভাগ্যিস শালি বলে বসনি !!
কেন খারাপ লাগছে শুনতে ?
না না । আমার মা ওই নামে ডাকে আমায় । তুমি ত আমার মায়ের দলে তাই ডাকতে পার । ও কে । ইটস ওকে ।
আমাকে একটা গুড নাইট কিস দেবে ?
আবার বাজে কথা !
দাও না ।
শালু উঠে পালাতে যাবে , অয়ন হাত ধরে নিজের দিকে টেনে আনে ।
কি হচ্ছে মা দেখলে কি ভাববেন । উম উম ..... না ছাড়ো ।
খুব অসভ্য তুমি । কলেজে ত এরকম ছিলেনা ।
অয়ন ঘোরে ছিল শালুর সানিধ্য তাকে মাতাল করেছে । একটা গান মনে পড়ে গেল ঃ-
চাঁদ তুমি কেন এতো সুন্দর হলে:-
চাঁদ তুমি কেন এতো সুন্দর হলে
তোমায় দেখে আমি মনের জানলা খুলে
পূর্ণিমাতে তুমি জেন অপরূপ লাগো
আমার প্রেয়সী বলে তুমি ভাল লাগো.............. (১)
একমুঠো আকাশে ভরা জ্যোৎস্না দিলে
অবাক হয়ে দেখি তোমায় সব ভুলে
রাত্রির অন্ধকার যেন যাতনা ভরা
ভুলে আছি আমি দেখে জোছনা ভরা ................(২)
তারা ভরা আকাশে মেঘ ছিল বেশ
আমার কথাটা-তো হয়নিক শেষ
চাঁদের আলো এলো আমার দ্বারে
মনের জানালা খুলে এলো মোর ঘরে ........(৩)
চাঁদ তুমি কেন এতো সুন্দর হলে
তোমায় দেখে আমি মনের জানলা খুলে
পূর্ণিমাতে তুমি জেন অপরূপ লাগো
আমার প্রেয়সী বলে তুমি ভাল লাগো..............
ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জী ।/২৫.০৮.২০১৩
শালিনী গান শুনছিল । খুব সুন্দর গানটা ।
রাত অনেক হল শালু , ডাইনিং টেবিলে তোরা চলে আয় মা ।
অয়ন অপ্রস্তুত হয়ে বলে , ‘আজ আসি’ । বাকিটা কাল পাওনা রইলো , কেমন !
এই বলে উঠে পড়ে ।
শালু অয়নকে দোর অব্ধি এগিয়ে দিল সঙ্গে মা । মা বলেন তুমি রাতের ডিনারটা এখানে সেরে জেতে বাবা !
না মাসিমা আবার একদিন আসবো । আজ অনেক খেয়েছি শালুর দিকে তাকিয়ে বলল ।
আচ্ছা এসো বাবা । সাবধানে যেও কেমন ।
আচ্ছা । আসি তবে ।
এসো ।
শালিনীর আজ দিনটা অন্য রকম কাটল । এরকম ওর কোনদিন হয়নি । আজ পর্যন্ত মন খুলে কারুর সঙ্গে কথা ব্যকন্ত, এক বাবা ছাড়া । বাবার জন্য মনটা খুব উতলা হয় মাঝে মাঝে । চোখে জল আসে । নিজেকে বোঝায় । সবাই ত সব সময় থাকবেনা পৃথিবীতে । যার যতদিন পরমায়ু সে তত দিন থাকবে । এটাই নিয়তির নিয়ম ।
আয়নার সামনে শালু দাঁড়িয়ে ।
আয়নার ভেতোরের শালু র প্রশ্নঃ কি আজ যে বেশ খুশি খুশি লাগছে । তোমার রিসার্চ তোমার পড়াশুনো সব জলাঞ্জলি দিলে ওই ছেলেটির জন্য ! বাঃ শালিনী বাঃ !!
আমিও মানুষ আমার ও ইচ্ছা আছে । এতো দিন শুধু পড়াশুনো করেছি আর পড়িয়েছি । আজ নিজে পড়ছি ।
কি ?
ভালোবাসার পড়া । ওটাও দরকার ।
তাইনাকি ? তবে তোমার মা সারদামনির আশ্রম ?
না ওটা আমার দ্বারা হবেনা । আমি অত কঠোর হতে পারবোনা । আমাকে জীবনের স্বাদ নিতে হবে । তা ছাড়া আমি চাইনা মাকে দুঃখ দিতে । মা দিন দিন আমার জন্য যা চিন্তা করছিলেন তাতে মায়ের অসুখ হত । আমি তখন নিজেকে ক্ষমা করতে পারতামনা । আমার দিদি জামাইবাবু সকলে আমার ওপর অখুশি ছিলেন । আমার নিজের জন্য আমি অন্যদের আর মনে কষ্ট দিতে রাজি নই। দেখা যাগ কি হয়।
ও আচ্ছা । তা বেশ । তবে তুমি অয়নকে ভালবেসে ফেলেছ ।
বিয়ে জখন করতেই হবে তখন জাকে চিনি জানি তাকেই না হয় করলাম তাতে ক্ষতি কি !
হ্যাঁ তাও ঠিক ।
তবে আর কেন এবার এসো । আমার ঘুম পেয়েছে ।
চলবে ঃ-
তোমায় দেখে আমি মনের জানলা খুলে
পূর্ণিমাতে তুমি জেন অপরূপ লাগো
আমার প্রেয়সী বলে তুমি ভাল লাগো.............. (১)
একমুঠো আকাশে ভরা জ্যোৎস্না দিলে
অবাক হয়ে দেখি তোমায় সব ভুলে
রাত্রির অন্ধকার যেন যাতনা ভরা
ভুলে আছি আমি দেখে জোছনা ভরা ................(২)
তারা ভরা আকাশে মেঘ ছিল বেশ
আমার কথাটা-তো হয়নিক শেষ
চাঁদের আলো এলো আমার দ্বারে
মনের জানালা খুলে এলো মোর ঘরে ........(৩)
চাঁদ তুমি কেন এতো সুন্দর হলে
তোমায় দেখে আমি মনের জানলা খুলে
পূর্ণিমাতে তুমি জেন অপরূপ লাগো
আমার প্রেয়সী বলে তুমি ভাল লাগো..............
ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জী ।/২৫.০৮.২০১৩
শালিনী গান শুনছিল । খুব সুন্দর গানটা ।
রাত অনেক হল শালু , ডাইনিং টেবিলে তোরা চলে আয় মা ।
অয়ন অপ্রস্তুত হয়ে বলে , ‘আজ আসি’ । বাকিটা কাল পাওনা রইলো , কেমন !
এই বলে উঠে পড়ে ।
শালু অয়নকে দোর অব্ধি এগিয়ে দিল সঙ্গে মা । মা বলেন তুমি রাতের ডিনারটা এখানে সেরে জেতে বাবা !
না মাসিমা আবার একদিন আসবো । আজ অনেক খেয়েছি শালুর দিকে তাকিয়ে বলল ।
আচ্ছা এসো বাবা । সাবধানে যেও কেমন ।
আচ্ছা । আসি তবে ।
এসো ।
শালিনীর আজ দিনটা অন্য রকম কাটল । এরকম ওর কোনদিন হয়নি । আজ পর্যন্ত মন খুলে কারুর সঙ্গে কথা ব্যকন্ত, এক বাবা ছাড়া । বাবার জন্য মনটা খুব উতলা হয় মাঝে মাঝে । চোখে জল আসে । নিজেকে বোঝায় । সবাই ত সব সময় থাকবেনা পৃথিবীতে । যার যতদিন পরমায়ু সে তত দিন থাকবে । এটাই নিয়তির নিয়ম ।
আয়নার সামনে শালু দাঁড়িয়ে ।
আয়নার ভেতোরের শালু র প্রশ্নঃ কি আজ যে বেশ খুশি খুশি লাগছে । তোমার রিসার্চ তোমার পড়াশুনো সব জলাঞ্জলি দিলে ওই ছেলেটির জন্য ! বাঃ শালিনী বাঃ !!
আমিও মানুষ আমার ও ইচ্ছা আছে । এতো দিন শুধু পড়াশুনো করেছি আর পড়িয়েছি । আজ নিজে পড়ছি ।
কি ?
ভালোবাসার পড়া । ওটাও দরকার ।
তাইনাকি ? তবে তোমার মা সারদামনির আশ্রম ?
না ওটা আমার দ্বারা হবেনা । আমি অত কঠোর হতে পারবোনা । আমাকে জীবনের স্বাদ নিতে হবে । তা ছাড়া আমি চাইনা মাকে দুঃখ দিতে । মা দিন দিন আমার জন্য যা চিন্তা করছিলেন তাতে মায়ের অসুখ হত । আমি তখন নিজেকে ক্ষমা করতে পারতামনা । আমার দিদি জামাইবাবু সকলে আমার ওপর অখুশি ছিলেন । আমার নিজের জন্য আমি অন্যদের আর মনে কষ্ট দিতে রাজি নই। দেখা যাগ কি হয়।
ও আচ্ছা । তা বেশ । তবে তুমি অয়নকে ভালবেসে ফেলেছ ।
বিয়ে জখন করতেই হবে তখন জাকে চিনি জানি তাকেই না হয় করলাম তাতে ক্ষতি কি !
হ্যাঁ তাও ঠিক ।
তবে আর কেন এবার এসো । আমার ঘুম পেয়েছে ।
চলবে ঃ-
No comments:
Post a Comment