Saturday, July 27, 2013

রথযাত্রা


রথযাত্রা  
 রথযাত্রা শুধু বঙ্গ বা ওড়িশাবাসীর নয়, এ উত্সব এখন সব্বার, গোটা বিশ্বের। পুরীতে জগন্নাথের রথ, মায়াপুরে ইসকনের রথ, শ্রীরামপুরে মাহেশের রথ, হুগলিতে রাজবলহাটের রথ, বেলঘরিয়ায় রথতলার রথ, আড়িয়াদহের রথ, আদ্যাপীঠের রথএ সব বিখ্যাত রথ তো আছেই, তা বাদেও রথ এখন সর্বত্র। দিল্লিতে,জামশেদপুরে,চেন্নাইতে,বেঙ্গালুরুতে,আহেমেদাবাদে,সুরতে, এবং বিদেশে যথা আমেরিকাতে কার্লিফরনিয়া,লন্ডনে,ঢাকা বাংলা দেশ,সিঙ্গাপুরে রথ যাত্রা মহা সমারোহে পালিত হয়।পশ্চিম বঙ্গে   পাড়ায় পাড়ায়, মন্দিরে, রাস্তায়, এমনকী অলিতে-গলিতে রথ টানা হয়। বাচ্চারা কত দিন ধরে পরিকল্পনা করে নিজের ছোট্ট কাঠের রথটিকে সাজিয়ে তোলে এই সময়ে। রথ সাজানোর যেন এক প্রতিযোগিতা লেগে যায় তাদের!বিপুল উৎসাহ-উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন স্থানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উল্টো রথযাত্রা উৎসব পালিত হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ : পৌর এলাকার কালীবাড়ি মন্দিরসহ জেলার অন্যান্য মন্দির প্রাঙ্গণে রথযাত্রা উৎসবের আয়োজন করা হয়।
শেরপুর : গোপাল জিউর মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে উল্টোরথ টানা হয়। কালির বাজার ভবতারা কালি মন্দির প্রাঙ্গণে মেলা বসে।
ভোলা : মদনহোন ও লক্ষ্মীগোবিন্দ জিউর মন্দিরের রথ শহর প্রদক্ষিণের পর মন্দিরেই ফিরে যায়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ : হরেকৃষ্ণ সংঘ, উত্তরবঙ্গ বৈষ্ণব সংঘ ও শিবতলা পূজা উদযাপন কমিটি পৃথক উল্টো রথাযাত্রার আয়োজন করে।
ধামরাই (ঢাকা) : ধামরাইয়ে ১০ জুলাই প্রথম রথ টানের মধ্যদিয়ে মাসব্যাপী রথমেলা শুরু হয়। বৃহস্পতিবার উল্টো রথ টানের মধ্যদিয়ে মেলার ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার যবনিকা ঘটে।
রথের দিন বৃষ্টি যেন হতেই হবে। আর হবে নাই বা কেন! বর্ষাকালে বৃষ্টি হওয়াই তো স্বাভাবিক! তবুও সবাই জগন্নাথের কাছে প্রার্থনা করে, এ দিন বৃষ্টি যেন না হয়। রথের সাত দিন আগে থেকেই শুরু হয় উত্সব, জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা দিয়ে। মূল অনুষ্ঠান হয় দুদিনসোজারথ এবং উল্টোরথ। তবে রথের অন্য একটি বড় আকর্ষণ কিন্তু রথের মেলা। রথটানাকে কেন্দ্র করে কাছাকাছির কোনও মাঠে বা পথের উপরেই যে মেলা বসে তার আনন্দ রথটানা থেকে কিছু কম নয়। কোথাও সোজারথ আর উল্টোরথ এই দুদিন মেলা বসে, কোথাও আবার টানা সাতদিন চলে মেলা। মেলায় কত্ত কিছুমাটির পুতুল, খেলনা, হরেকমাল, ঘুগনি, আলুকাবলি, ফুচকা, গরম জিলিপি, চিনি বা গুড়ের গাঁটিয়া, নিমকি, চানাচুর, আইসক্রিম, প্রতিদিনের গৃহস্থালীর জিনিসপত্র, বেলুন, বাঁশি, সস্তার মনোহারী বস্তু, ফুল ও ফলের চারাগাছএ সব অতি পরিচিত ছবি। আর আছে নাগরদোলা, তার আকর্ষণও কিন্তু কম নয়। রথের মেলায় পাঁপড় ভাজা বা অন্য কোনও তেলেভাজা না খেলে দিনটাই যে বৃথা! তেলের গুণমান নিয়ে অবশ্য মাথা ঘামানো চলবে না।

মনে পড়ে, শহর ঘেঁষা মফস্সলে আমাদের ছোটবেলায় রথের আগের দিন বেলঘরিয়ার রথতলা থেকে বাবা একটা কাঠের ছোট রথ এনে দিতেন। সেটা নিয়ে আমার আনন্দের শেষ থাকত না। আর যদি সেটা দোতলা রথ হয় তা হলে তো কথাই নেই! সকালবেলা মা কাগজ কেটে ফুল তৈরি করে সেটাকে সাজিয়ে দিতেন। রথ সাজানো হয়ে গেলে উপরের খোপে বসাতাম জগন্নাথ, বলরাম আর সুভদ্রাকে এবং ঠিক তার নীচে ছোট্ট থালায় থাকত বাতাসা, গুজিয়া কিংবা নকুলদানাঠাকুরের প্রসাদ।
রথের মেলা দেখার জন্য দাদু, ঠাকমা, বাবা, মা, পিসি সবাই টাকা দিতেনকেউ একটাকা, কেউ দু টাকা! সব মিলিয়ে দশ টাকা হলে মহা আনন্দ। সেই নিয়ে রথের মেলা দেখতে যেতাম। বন্ধুদের সঙ্গে গেলে ছিল আলুকাবলি, আইসক্রিম খাওয়ার স্বাধীনতা। বড়রা সঙ্গে থাকলে অবশ্য তা হত না। এক বার বেলঘরিয়ার রথ দেখতে  আমাদের বাড়ি এসেছিল আমার এক মাসতুতো দাদা শিবপুর থেকে সঙ্গে দাদু আর ফুদান আমার সমর্কে মাসি । তার সঙ্গে সদলবলে বন্ধুদের নিয়ে মেলা দেখতে গিয়েছিলাম। দাদু  আমাদের সবাইকে গরম গরম জিলিপি খাইয়েছিল। পয়সা জমানোর জন্য বাড়ি ফেরার সময় কিনে দিয়েছিল একটা বড় মাটির আম। সে আমটা পরের বছর রথ পর্যন্ত ছিল।  রথের দিনে পাঁপড় ভাজা, জিলিপি বা ল্যাংচা বোঁদে খাওয়
যখন আরও ছোট ছিলাম, মনে পড়ে ঠাকমা আমায় কোলে করে মেলায় নিয়ে যেতেন। কিনে দিতেন মাটির পুতুল বার কয়েক আবার বাবার সঙ্গেও বেলঘরিয়ায় রথের মেলায় গেছি। ওখান থেকে কেনা মাটির কৃষ্ণঠাকুর আজও আছে আমাদের বাড়িতে।

কখনও রথের দিনে বাসে চড়ে বাড়ি ফেরার পথে যানজটে আটকে গেছি, বিরক্ত হয়েছি। আবার যখন বাসে বসেই দেখেছি সিঁথির মোড়ে সাজানো রথের দড়ি টানা হচ্ছে, টবিন রোডের মেলায় শিশুরা বড়দের হাত ধরে বায়না করছে কিছু কিনে দেওয়ার জন্য, বেলঘরিয়ার মেলা থেকে মানুষ ফুল-ফলের চারা গাছ কিনে নিয়ে যাচ্ছেতখন মনটা কেমন ভাল হয়ে গিয়েছে, শরীরের ক্লান্তি ভুলে আমিও মেতে উঠেছি উত্সবের আনন্দে। মনে পড়ে 
রথ ভাবে আমি দেব, পথ ভাবে আমি, মূর্তি ভাবে আমি, হাসেন অন্তর্জামী!



Friday, July 26, 2013

ওরাও বাঁচতে চায়ঃ- ত্রিভুবন জিৎ মুখার্জী ২৫.০৭.২০১৩ / ০৮.০৫

   ওরাও বাঁচতে চায়

  ©ত্রিভুবন জিৎ মুখার্জী

 

*** সব ঘটনা কাল্পনিক

আমাবস্যার রাত চারিদিকে অন্ধকার সামনে একটা কালো রঙের স্করপিও খ্যাঁচ্ করে ব্রেক কষল   গাড়িথেকে চারজন নামলো পরনে জিন্স আর ব্ল্যাক টি শার্ট চোখে কালো চশমা হাতে গ্লোভস্ আর পিস্তল মনে হচ্ছে মুখটা ঢাকা সাদা মাস্কে। মাথায় সাদা ফেল্ট্ ক্যাপ চারজন চার দিকে গেলো টি এম কাউন্টারের ভেতর আমি একা বসে। রাতের ডিউটি একটু চোখ টা ধরে এসেছিল ঘুমের আমেজে সামনের দৃশ্য দেখে ঘুমের বারোটা বেজে গেল কিছু একটা অঘটন ঘটবে বোলে মনে হচ্ছিল তন্দ্রাচ্ছন্ন  চোখটা খুলতেই,.. “এই শালা ঘুমচ্ছিস কি ওঠ শালা রাত জাগা প্যাঁচা ঘুমচ্ছিস কিরে?” 

কথাটা শুনে মেজাজ টা চটে গেল নিজেকে সামলে নিলাম আমার হাতে একটা লাঠি ছাড়া আর কিছু নেই পরনে শুধু সিকিউরিটি গার্ডের ড্রেস হাতে দুমড়ন একটা গত কালের আনন্দ  বাজার পত্রিকা কাল খবরটা চোখে পড়েছিল,“কলকাতার টি এম লুটেরারা গাড়ি নিয়ে  ডাকাতি করছে, সিসি টিভি ফুটেজে ধরা পড়ছেনা  ওরা দলে বলে আসছে সঙ্গে মারণাস্ত্র

ভয় লাগলো  আবার রাগ হল! তোরা গরীবের পেটে লাথি মেরে চিট ফান্ড এর টাকা লুটলি এখন ব্যাঙ্কের টি এম লুটছিস !! আলু পিঁয়াজের দাম বাড়ালি দুমুঠো যে নুন ভাত খাবো  তাও তোরা শান্তিতে খেতে দিবি না। কি চাস তোরা ? আমরা গরিবরা না খেয়ে মরি আর তোরা  দেশ লুটে মস্তি করবি কথাটা মনে মনে ভাবছিলাম .......

..হটাতএই শালা আমার সামনে দাঁড়া নইলে মাথার খুলি উড়িয়ে দেব! টুঁ শব্দ করবিনা”  সামনের ছেলেটা বলল  

আমি কেন সামনে দাঁড়াবো ?

ন্যাকা! জানিস না ! দাঁড়া বে জান প্যারী হ্যায় তো !!একটু ইতস্তত বোধ করে পকেট হাতড়ে কি একটা বারকরতে চেষ্টা করছিল (নিশ্চই লাইনে নতুন মানে প্রফেশনাল নয়)   

... ঠিক সেই সময় আমি ওর মাথায় আমার ডাণ্ডা দিয়ে এক ঘা বসিয়ে দিলাম। দিয়ে দৌড়ে ওখান থেকে পালালাম ওই ছেলেটা আচমকা এটা হবে আশা করে ছিলোনা চিৎকার করে তলায় পড়ে গেল। আমি প্রাণ বাঁচাতে ছুটলাম মোবাইলে মেসেজ দিতে মেসেজ বক্স থেকে শেভ করা   মেসেজ টা আমার ব্যাঙ্কের বি এম কে পাঠিয়ে দিলাম সেন্ট হল দেখলাম...ঠিক সেই সময় গুলির শব্দ হল। হটাত আমার বাঁ হাতে  কি একটা অগ্নিস্ফুলিঙ্গ মতন ঢুকে গেল আমি যন্ত্রণায় পড়ে গেলাম। জ্ঞান ছিলোনা কারণ জ্ঞান ফিরতে দেখি আমি হসপিটালে। কাছে আমার স্ত্রী পুত্র বসে।

ডাক্তার বাবু জিগ্যেস করলেনকেমন লাগছে? যন্ত্রণা হচ্ছে ? আপনার অপারেশন হয়েছে , ভয়  নেই গুলি বার করে দিয়েছি। আপনার ছেলেই আপনাকে রক্ত দিয়েছে। ব্লাড গ্রুপ এক;   পসিটিভ ওষুধ ইনজেকশন সব ব্যাঙ্কের ম্যানেজার দিয়েছেন। ভয়ের কিছু নেই। আপনি সুস্থ বোধ করলে পুলিস আসবে আপনার স্টেটমেন্ট নিতে আপনি যা যা ঘটেছে মনে করে বলতে পারবেন  তো?”

-মাথা নাড়িয়ে বললাম , হ্যাঁ স্যার পারবো।

পুলিস অফিসার এলেন সেই সময় কি ব্যাপার কেমন আছেন?

ভালো

-কে কে ছিল কেমন দেখতে একটু আন্দাজ করতে পারবেন।

- হ্যাঁ স্যার আমি একা কাউন্টারের ভেতর ছিলাম এমনিতেই জায়গাটা ফাঁকা তাতে রাতে কেউ  আসে পাসে থাকে না তখন পুলিসের মোবাইল পেট্রলিং কাউকে কাছে দেখি নি স্যার।

-আমি সে কথা আপনাকে জিগ্যেস করি নি ; কে ছিল কে না ছিল ! যা জিগ্যেস করছি তার উত্তর  দিন। একটু গম্ভীর ভাবে বললেন।

 - আমি একা কাউন্টারের ভেতর ছিলাম একটা কালো রঙের স্করপিও ....

-স্করপিও বলে কি করে জানলেন ? তখন অন্ধকার ছিল বলছেন !

-হ্যাঁ স্যার্ , কিন্তু টী এম এর আলো ছিল সেই আলোতে গাড়িটা দেখে বুঝতে পারি তা ছাড়া -আমি গাড়ি চিনি সার আমি আগে গাড়ি চালাতাম।

- আচ্ছা ! নাম্বার দেখেছিলেন?

-না স্যার ওটা দেখতে পারিনি কারণ গাড়িটা সাইড করা ছিল একটু দুরে।

-হুঁ আর কিছু ?

-ওই গাড়িথেকে চারটে লোক কালো পোশাকে বেরুলো। 

-কালো বলে কি করে জানলেন?

-আমি রাত কানা নই স্যার। একটু আলো পড়েছিল ওতেই দেখেছি ওরা কি পরেছিল।

-হুঁ তা বটে  

 কথা বলতে একটু কষ্ট হচ্ছে স্যার

ডক্টর বললেন,“পেসেন্ট কে একটু রেস্ট দিন

ঠিক আছে পরে আসবো। ঠিক ঠিক বলবেন

মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দিলাম।

বৌ কাছেই ছিল বলল আমরা না খেয়ে থাকবো তাও আচ্ছা তোমাকে চাকরি আর করতে হবে না।

-সংসার কি করে চলবে ?

-সে আমি বুঝবো এখন

এখানে বলে রাখি ,আমার বৌযমুনাএকটি বাচ্চা মেয়েকে সারা দিন রাখে। ঘরের রান্না বান্না যাবতীয় কাজ ওই করে মেয়েটির বাবা মা দুজনেই সকাল থেকে অফিসে যায়। যমুনা মেয়েটিকে ছোট থেকে বড় করেছে। ওরা মাস গেলে ৫০০০ টাকা মাইনে দেয় আমি ৬০০০ টাকা পাই রাত দিন এক করে খাটতে হয়। এই কটা সামান্য টাকায় আমাদের অনেক কষ্টে  চলে যায়। তবে এই দুর্দিনে আর সংসার টানতে পারছিনা দেশে মা বোন আছে তাদের টাকা পাঠাতে হয়। তারা না হলে না খেয়ে  মরবে। মা, বি পি এল এর চাল পায়। বোন ক্ষেত খামারে কাজ করে। বিয়ে করেছিল স্বামী ছেড়ে দিয়েছে

হটাত যমুনা বলে উঠলো কি ভাবছ ? আমি আছি।

-কি করে যে কি করি বুঝে উঠতে পারছিনা আমি কবে হাসপাতাল থেকে যাবো পুলিসের চক্কর আমার খুব বাজে লাগে। জল তেষ্টা পাচ্ছে

যমুনা একটা মিনারেল ওয়াটারের বোতল কিনেছে দেখলাম। সত্যি আমার অনেক খেয়াল রাখে। ছেলেটাও মন মরা হয়ে গিয়েছে

যমুনা বলল তুমি চিন্তা করনা আমার মালকিন বলেছেন উনি ৫০০০ টাকা আগাম দেবেন বলে পুজোতে যে বোনাস পাই সেটা আগে থেকে দেবেন উনি।

-তোকে আমি অনেক দুঃখ দিলাম যমুনা বলতে বলতে চোখে জল এলো  

- মা এই সময় আমি থাকবেনা কে থাকবে শুনি ? তোমার বোন ? স্বামীর ঘর করতে পারলনিকো , তোমাকে কি দেখবে শুনি!

আমি এখানে আছি , খেটে খাচ্ছি কাজ করতে পারে না ? সোহাগ বলি কোথা থেকে আসবে শুনি ? গা জ্বলে যায় আদিখ্যেতা দেখলে ! মরণ !!

-আমি ঘরে ফিরে আমার আগের মালিকের ট্যাক্সি চালাবো দেখিস ঠিক চলে যাবে

রক্ষে কর

ডাক্তার এসে বললেন ওনাকে রেস্ট দিন।

পরের দিন সকাল বেলাতে স্টেট ব্যাঙ্কের ম্যানেজার পুলিস অফিসার এলেন

আজ কেমন আছেন ?

-ভালো

-কথা বলতে কষ্ট হবেনা ?

-না

-আচ্ছা আপনি কালো রঙের স্করপিও বলছিলেন না !

-হ্যাঁ স্যার লোকটাকে কেমন দেখতে বলতে পারবেন

- লোক নয় স্যার একটা কম বয়েসের ছেলে

-কি করে জানলেন ?

- আমাকে থ্রেট করছিল   মেরে ফেলবে বলছিল যদি আমি ওকে টি এম ভাঙ্গা তে  সাহায্য না করি

- আচ্ছা কেমন দেখতে ওকে?

-রোগা লম্বা আর কিছু দেখা যাচ্ছিল না। নন বেঙ্গলি মনে হল সার গলার স্বর চিনতে পারবো সি সি টি ভি ফুটেজে সব কভার করে থাকবে সার

-কি হয়েছে না হয়েছে সেটা আপনার জানার প্রয়োজন নেই যা জিগ্যেস করছি তাই বলুন।

মুখ কেন দেখেন নি?

-মুখে মাস্ক ছিল স্যার  

-হুঁ। নন বেঙ্গলি কেন বললেন ?

-কথা শুনে তাই মনে হল স্যার।

- আপনি গাড়ি চালাতেন না ?

-হ্যাঁ স্যার।

-আপনি কি করলেন আসাতে ?

- এসেই আমাকে বাজে গালা গালি দিয়ে উঠতে বলে আমাকে সামনে দাঁড়াতে বলল আমি মানা করাতে পকেট খোঁজে আমি বুঝলাম মেশিন খুঁজছে সঙ্গে সঙ্গে মাথায় লাঠি মেরে ওখান  থেকে দৌড়ে পালালাম নিজেকে বাঁচাতে

- যদি মরে যেত

-ব্যাঙ্কের টি এম ভাঙ্গবে , আমি ছেড়ে দেব স্যার ! আমি কি করতে আছি তাহলে ?

-কিন্তু যদি মরে যায় ! সেটাও   হতে পারে !! 

একটু ভেবে বললাম, আমার আত্মরক্ষার জন্য এবং ব্যাঙ্কের লক্ষ লক্ষ টাকা যা  টি এম আছে  তার সুরক্ষার জন্য আমি ওটা করতে বাধ্য হয়েছি স্যার    যদি এই কারণে আমাকে শাস্তি পেতে হয় তবে আমার কিছু বলার নেই

পুলিস অফিসার সমস্ত বয়ান নথিভুক্ত করেন

আমি সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরে এলাম। ব্যাঙ্ক , আমার সাহসিকতাতে  খুশি হয়ে আমাকে মেন ব্রাঞ্চ এর   সিকিউরিটি গার্ড করে মাইনে বেড়ে  ৯০০০ টাকা হয় বৌ বলল গুলি খাওয়ার পর  মাইনে বাড়ল সবকটা ছেলে ধরা পড়েছে     

আমি বলি, “সততা নিয়ে কাজ করলে ভগবান সহায় হন ”  আমাদের সংসার এখন সচ্ছল

 

*১১৮৮ শব্দের মধ্যে লেখা