-তাই যেন হয় বাবা। রক্ষে কর । ওতে
আলার্জি হলেই বাঁচি। হ্যাঁরে তা ওই শীতে কি করতিস?
- তোমার ওই এক ঘেয়ে
প্যানর প্যানর ভাল লাগেনা মা। রুম হিটার লাগাতাম বুঝলে!খালি সন্দেহ আর সন্দেহ। ওই
জন্য বাবা রাগ করেন।
- সন্দেহর কি আছেরে !
আচ্ছা আমি, মা হয়ে এটুকু জিজ্ঞাসা করার অধিকার নেই?
- নিশ্চই আছে ,তবে ওখানকার
ভাল গুল শোন। ওরা কর্মঠো, অনেক স্বাবলম্বি, ডিসিপ্লিন্ড্, ওদের মধ্যে শততা আছে যেটা
আমাদের দেশে নেই। আমাদের দেশের লোকেরা পর নিন্দা পর চর্চা ছাডা কিচ্ছু করেনা। ঠকামি,ভন্ডামি,জোচ্চোরি,রাহাজানি,চুরি,পরের
ধন আত্মসাৎ করা,ভাই ভাইএর পিঠে ছুরি মেরে তার সম্পত্তি আত্মসাৎ করা ...। ছিঃ
ঘেন্না লাগে এদের কথা ভাবলে।
- “ছেলের বিয়ের সময়
গেস্ট্ আসবে বলে মিথ্যে কথা বলে ছোট ভাইএর ঘরের চাবি নিয়ে তার গ্যাস্ সিলিন্ডার
চুরি করা,তার ঘরের সব জিনিস পত্র চুরি করা,তার খাট্ বিছানায় শুয়ে তার ই ঘরের পাখার হাওয়া খেয়ে জীবন ধারন করা । তাকে ঘরে
ঢুকতে না দেওয়া । এই ধরনের ছোটোলোক ও দেশে নেই। ভগবান করুন এই লকগুলো র জেনো সুমতি
হয়। এরা এতোই ঘৃন্য যে এদের কথা লিখতেও ঘেন্না লাগে” । এরমধ্যে সকলের বিয়ে হয়ে
গিয়েছে আমার ছেলের জন্য পাত্রি দেখতে হবে!
কথাগুলো বিড বিড করে বলছিলাম। ছেলে জিজ্ঞাসা করাতে চুপ করে গেলাম।
পরের দিন আনন্দবাজার
পত্রিকা তে পাত্র পাত্রি কলমের জন্য বিঙ্গাপন দিলাম। “ভরদ্বাজ সুদর্শন ২৬+ সফট্
ও্যার ইঞ্জিনিয়ার ইনফোসিস্,বেঙ্গালোর।এক মাত্র সন্তান। সদ্য আমেরিকা ফেরৎ। ৭ লাখ্
বাৎসরিক আয়। কোন দাবি নেই। পাত্রী অবশ্যই ইঞ্জিনিয়ার সুদর্শনা ২৪ অনুর্ধ্য ।সত্তর
বিবাহে আগ্রহি জোগাজোগ করুন”।
রবিবারের পাত্র পাত্রি কলমে বেরুনর
সঙ্গে সঙ্গে ফোনের পর ফোন আস্তে লাগলো। প্রায় ১০০ টা ফোন রেসিভ্ করে হাঁপিয়ে উঠলাম।
এই এক সমশ্যা । সংসারে এলে সকলকে ওই এক ই কাজ করতে হবে । ছেলের জন্য পাত্রী না হয়
মেয়ের জন্য পাত্র ।
No comments:
Post a Comment