আপনারা ভাবছেন রুদ্রাক্ষ হারিয়ে গেল ? নাকি কোথাউ নিরুদ্দেশ
হয়েগেল ? সেরকম কিছুই হয় নি । রাস্তায়
মাস্টারমশাই রুদ্রাক্ষ কে কাটারি হাতে দেখে থমকে যান তারপর আন্দাজ করেন কিছু একটা ঘটনা ঘটেছে । তখন
ভো্র হয়ে আসছিল । সূ্র্য্য পূর্ব গগনে উদিয়মান তার রক্তিম আভা রুদ্র(রুদ্রাক্ষ) র
মুখমন্ডল কে রক্তিম করে তুলেছে । একটা দিব্য জ্যোতি তার মুখমন্ডল থেকে যেন ঠিক্ রে
বেরুচ্ছে । মাস্টারমোসাইকে রুদ্র
দেখে কাটারি টা হাত থেকে ফেলেদিয়ে ডুক্ রে কেঁদে ওঠে , কাঁদো কাঁদো গলায়
বলে,”ওরা আমার বাবাকে মেরে ফেলেছে । ওদের আমি ছাড়বোনা।“ মাস্টারমোশাই রুদ্র কে কোলে তুলে নেন তারপর
বলেন রুদ্র তুমিনা ভাল ছেলে ! ভাল ছেলেরা কি কাটারি ধরে ? আমিত আছি তোমার ভয় কি ? তোমার মা তোমায় না দেখে অধীর হবেন । চল আমরা
তোমাদের বাডী যাই ।
রুদ্র , মন্ত্র মুগ্ধের মত লক্ষী ছেলেটি র মত মাস্টারমশায়ের
সঙ্গে বাডী ফিরে এল । ততক্ষনে পাডার লোকেরা ভীড় জমিয়েছে কুঞ্জ র ঘরে ।
মাস্টারমোসাই কে দেখে সবাই মনে বল পেল । সকলের এক প্রশ্ন কি করনিয় কারন সকলেই
মর্মাহত । মাস্টার বলেন আগে শব শৎকার তার পর যা করনিয় । কিন্তু জনতা বলে আমরা
বিধায়ক কে ঘেরাউ করব নিশিকান্ত র বাডি ঘেরাও করব । কুঞ্জ র অকাল মৄত্যুর র জন্য নিশিকান্ত
চৌধুরী আর বিধায়ক ভগবান চৌধুরী দায়ি । সরকার এই মৄত্যুর জন্য ক্ষতিপুরন না দেওয়া
ওবধি আমরা শব নিশিকান্ত র বাডীর সামনে রেখে ধারনা দেব। পরের দিন কাগজে বড বড করে
বেরুলো হরিনারায়নপুর এ চাষী ম্রিত্যু । এন জি ও, পত্রকার , বিরোধী নেতাদের শ্রোত
ছুটল । কেন কুঞ্জ আত্মহত্যা করতে বাধ্য হল? কি হবে লক্ষী র সিঁদুরের ? কেউ কি তার
সোয়ামি কে ফেরাতে পারবে গা ? এ প্রশ্ন আপনাদের কাছে রাখলাম । এরকম হাজার হাজার
রুদ্রাক্ষ র জন্ম হচ্ছে এ দেশে এরকম হাজার হাজার কুঞ্জ দারীদ্রের কশা ঘাতে মৄত্যু
কে স্বাগত করতে বাধ্য হচ্ছে । থেকে জাচ্ছে কিছু
নিশিকান্ত,নিতাই,নিধিরাম,পুলিশ দারোগা র মতন স্বারথপর রক্ত পিপাষু
মানুষ রুপি নরপশু । এ জুগে
তাদের ই সংখ্যা বেশি ।
ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জ্জী
No comments:
Post a Comment