, লেখক ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জী✍️🙏
30.03.2021.
প্রথম কন্যা :-
বিশ্ব নারী দিবস কথাটা শুনে মঞ্জু মুখ টিপে হাঁসে l আমি বললাম কি হোলরে হাঁসছিস কেন?
- বলে হাঁসবোনা বল কি গো?
- কেন দেখছিসনা টিভির পর্দায় কেমন কবিতা আবৃত্তি হচ্ছে l লোকে হাত তালি দিচ্ছে l
- দুম করে আজকের খবরের কাগজটা মুখের সামনে ধরে বলে পড় l যাঁরা ঐ গলা বাজি করছেন আর নারী শিক্ষা, নারী স্বাধীনতা, নারীদের স্বাস্থ এই সব নিয়ে কথা বলছেন সব ভাঁওতা বাজি l যত মিথ্যে কথা l আমি মানিনা l আমায় দেখো আমি কি স্বাধীন?
-কেন তোর আবার কি হল? দিব্বি কাজ করছিস মাস গেলে 15,16 হাজার টাকা পাচ্ছিস, খাচ্চিস,দাচ্চিস নিজে স্বাধীন মতন ঘুরে বেডচ্ছিস তোকে লোকে ভালো বাসে তাই অনেকেই অনেক কিছু দেয়... তা তোর কি অভাব শুনি?
-মাসগেলে যে টাকা পাই সব বরের হাতে তুলে দি l বর মদ গিলে বাড়ি আসে আমাকে মারে l আমার কেন ছেলে হয়না? তিন মেয়ে আমি জন্ম দিয়েছি, সেটাকি আমার ভুল বলো? আমাকে তাদের দায় সামলাতে হচ্ছে l লেখা পড়া, জামা কাপড়, তাদের খাওয়ানো পরানো সব আমি l আমি যে ছেঁড়া শাড়ি পরছিলাম তাই পরছি l চোখে কি দেখতে পাওনা? উল্টো প্রশ্ন করে আমাকে l তাই আমাদের মতন গরিব মানুষের জন্য ঐ নারী দিবসের কোন মানে নেই l
দিন আনি দিন খাই
হরিনামে মন ভরাই,
সকাল হলে কাজে যাই
তবে দুটো খেতে পাই,
রেশনে পোকা চাল পাই
তাকেই বেছে ভাত খাই,
কাকে বলবো বল ভাই
চোর পুলিশে ভাই ভাই,
রোগ হলে ওষুধ নাই
ডাক্তার বলে পয়সা চাই,
পাঁচ বছরে ভোট আসে
নেতা দিনে পাঁচ বার আসে,
ভোট ফুরোলে দেখা নাই
এটাই এই দেশের নিয়ম তাই l
নিজের ভাগ্য নিজে গড়,
নিজেকে আরো শক্ত কর l
খেটে খাও ভাত মিলবে
নাহলে ডাক্তারকে টাকা গুনবে l
নারীর মুখে হাঁসি ফুটবে
তবেই জানো দেশ এগুবে l
-ওরে বাস তুই এই ছড়া বানিয়েছিস? এতো বুদ্ধি তোর মাথায় l তা মন্দ বলিসনি l কিন্তু কে তোর কথা শুনবে বল?
-কেন তুমি আছো মাসি আছো কি করতে? তোমরা আমাদের নিয়ে কিছু লিখতে পারোনা l
-তা চেষ্টা করে দেখবো l দেখি তোকে নিয়ে একটা গল্প লিখি l কিন্তু কে পড়বে আমার লেখা?
-লিখেই দেখোনা!
দ্বিতীয় কন্যা :-
গ্রামের মেয়ে সঞ্জু l মুখশ্রী সুন্দর l গড়নও ভালো কিন্তু কি হবে তার এই সুশ্রী চেহারার? উঠতি বয়েসে এক পাশের গ্রামের যুবকের সঙ্গে প্রেম হয় নাম সুধীর l নাম সুধীর কিন্তু কাজে শয়তানের চেয়েও মারাত্মক l সেকথা সরল মেয়ে সঞ্জু বুঝে উঠতে পারেনি l তার খেসারদ সারা জীবন দিতে হচ্ছে তাকে l
ঘটনাটা এই রকম : সুধীর শহরে ট্যাকসি চালায় l ঐ সুধিরের সঙ্গে সঞ্জু বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করে l সে বিয়ের কোন সাক্ষী প্রমান নেই l মন্দিরে মালা বদল আর একটা সেলফি ব্যাস l সঞ্জু তার মোবাইলে সেই সেলফিটাকে স্ক্রিন সেভার করে রাখে l সেটাই সঞ্জুর বিয়ের সাক্ষী l সুধীর,সঞ্জুকে নিয়ে সারা শহর ট্যাক্সিতে ঘুরে বেড়িয়েছে l সিনেমা, শপিং মল ঘুরে সঞ্জুকে প্রচুর উপহার দিয়েছে l ইমিটেশন গয়না, দামি প্রসাধন, শাড়ি ইত্যাদি তা ছাড়া ভালো হোটেলে খাওয়া l
কিছুদিন এই চললো l তারপর সঞ্জু জানতে পারে সুধীর বিবাহিত এবং তার একটি ছেলে আছে l ঐ ছেলের ফটো ওর ওয়ালেটে দেখে সন্দেহ হয় l ওকে জিজ্ঞাসা করাতে সুধীর তার নিজস্ব রূপ দেখায় l প্রচন্ড মারধোর করে সঞ্জুকে ঘরে গৃহ বন্দি করে রাখে l এরপর তার ওপর চলে অকথ্য অত্যাচার l কিছু বন্ধু বান্ধবদের ডেকে সঞ্জুর সঙ্গে তাদের দৈহিক সম্পর্কে বাধ্য করে l সঞ্জু চিৎকার করার সাহস পায়না কারণ সে এমনিতেই মার খেয়ে আধমরা l প্রায় এক মাস চলে এই অত্যাচার l সঞ্জুর মোবাইল সুধীর লুকিয়ে রাখে কিন্তু ঘটনা ক্রমে সেটা ও একদিন সুধীর মাতাল অবস্থায় থাকা কালীন পেয়ে যায় l মোবাইল পেয়ে ওর গ্রামের এক মাসিকে ফোনে সব বলে এবং কোনমোতে সেদিন ঘর থেকে পালতে সক্ষম হয় l ঘর থেকে পালিয়ে সোজা পুলিশ স্টেশনে যায় সেখানেই অচৈতণ্য হয়ে পড়ে l জ্ঞান ফেরার পর সমস্ত ঘটনা মহিলা পুলিশকে বলে l ওর বয়ান রেকর্ড হয় l ভগবানের আশীর্বাদ থানার ও. সি মহিলা ছিলেন l তাই ঘটনার তদন্ত তৎক্ষণাৎ হয় l সুধীরকে পুলিশ এক জুয়ার আড্ডা থেকে গ্রেফতার করে l সে এখন জেল হাজতে l কিন্তু সঞ্জু কাকে নিয়ে বাঁচবে? এটাই আমার প্রশ্ন l কি হবে এই দেশে নারী দিবস পালন করে যেখানে পদে পদে নারী শোষিত এবং লাঞ্চিত! তার আত্ম মর্যাদা লুন্ঠিত l সরলতার সুযোগ নিয়ে দুষ্কর্ম দিনের পর দিন চলেছে এর কোন সমাধান নেই l সরকার প্রশাসন এর সমাধান করতে অক্ষম l
তৃতীয় কন্যা :- তৃতীয় কন্যা নাম অঞ্জু l অঞ্জু পান গোসাবা, সুন্দরবন অঞ্চলে l ওরা তফাশীল ভুক্ত জাতি l কলকাতায় ওর কাকার কাছে থেকে পড়াশুনো করে l ছোটবেলা থেকেই অঞ্জু পড়াশুনোয় খুব ভালো ছিল l সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাস করে ভালো ভাবে তারপর উচ্চ মাধ্যমিক বিজ্ঞান নিয়ে আশুতোষ কলেজ থেকে প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ন হয় l কেমিস্ট্রি অনারর্স নিয়ে ভর্তি হয় বি. এস. সি
পার্ট ওয়ান পরে ঐ আশুতোষ কলেজ থেকেই প্রথম শ্রেণীতে অনার্স গ্রাজুয়েট হয়ে বি. এড এ ভর্তি হয় স্কটিস চার্চ কলেজে l বি. এড. অনেক কষ্ট করে পাস করে কারণ টাকা পয়সারা টানা টানি পড়ে l
কাকার ফ্যাক্টরি লক আউট হয় l অঞ্জু টিউসনি করে ঘরের খরচ এবং নিজের পড়ার খরচ চালায় l কষ্টে মষ্টে দিন যায় l কাকাকে তাঁর দুঃসময় অঞ্জু ছেলের মতন পাশে থেকে উৎসাহ দেয় l কাকা কাকিমা দুজনেই অঞ্জুকে খুব ভালো বাসেন l নিজের মেয়ের মতন দেখেন l এরমধ্যে অঞ্জু টেট পরীক্ষা দেয় l লিখিত পরীক্ষায় ভালোই করে কিন্তু ওর নাম সিলেকশন লিস্টে না পেয়ে হতাশ হয় l কিন্তু ও ভেঙে পডার মেয়ে নয় l ওর এক বন্ধু বলে সিভিল সার্ভীস পরীক্ষায় বসতে l দুজনে চলে যায় দিল্লিতে l টিউশনি করে যা টাকা রেখেছিলো সব বই কিনে পরীক্ষা র জন্য কঠিন পরিশ্রম করে l একবেলা গুরুদ্বারা তে লঙ্গরে ( लंगर (पंजाबी : ਲੰਗਰ) सिखों के गुरुद्वारों में प्रदान किए जाने वाले नि:शुल्क, शाकाहारी भोजन को कहते हैं। लंगर, सभी लोगों के लिये खुला होता है चाहे वे सिख हो या नहीं। लंगर शब्द सिख धर्म में दो दृष्टिकोणों से इस्तेमाल होता है। ) ডাল রুটি সবজি খেত বেলা 1.30 র সময় l তাও ওদের বাড়ি বালার দয়ায় l বাড়িবালা নয়ডাতে একটা রুম দিয়েছিলো মাসে 5,000 টাকা ভাড়াতে l অনেক কষ্টে দুমাসের ভাড়া আগাম দিয়ে দুই বান্ধবী ছিল l দুমাস পর কি হবে অনিশ্চিত l এই বিদেশ কি খাবে কি পরবে সব অনিশ্চিৎ l একেই বলে জীবন সংগ্রাম l এরমধ্যে দুজনে এক ইংলিশ মিডিয়ামের দুটো টিউশনি জোগাড় করে l মাসে 10,000 টাকা দিতেন এক পাঞ্জাবী ব্যবসায়ী ভদ্রলোক l তাও ঐ বাড়িবালার দয়ায় l ঘরভাড়া দিয়ে ওদের হাতে মোটে 5000 থাকতো l ভাগ্যিস লঙ্গরে দিনের বেলায় মাগনা খাবার খেত l সালোয়ার পাঞ্জাবী পরা দুটো মেয়েকে এক বয়স্কা পাঞ্জাবী ভদ্রমহিলা দেখতেন l দুটো বিদেশী মেয়ে তারা লঙ্গরে রোজ খাচ্ছে l ভদ্রমহিলার একটু খটকা লাগে l তিনি কৌতূহলে জিজ্ঞাসা করেন, কাঁহাসে আই হো বেটি, নাম ক্যা l ইহাঁ রোজ আতে হো খানে তুমহারে মা বাপ্ কাহাঁ হ্যায় বোলো?
অঞ্জু বলে,মাজি হম সিভিল সার্ভিস একজাম কে লিয়ে প্রিপারেশন কর রাহে হ্যায় l জেব মে প্যায়সা নেহি হ্যায় ফিরে ভি হাম হারেঙ্গে নেহি l কিউঁকি হামারে লক্ষ পর পহোঁচনা হ্যায় l
মহিলা অবাক হয়ে দুজনের দিকে তাকান বলেন তুমহারে দোনোকি তাজরুবা ওর হিম্মত দেখকে মুঝে আশ্চর্য লাগতা হ্যায় কি বাঙালি বেটি কে পাস ইতনা হিম্মত হ্যায় l বা বেটি বা চলো হাম তুম্হে কুছ মদত করতে হ্যায় l
অঞ্জু আর সোমা দুজনে দুজনের মুখের দিকে তাকালো l পরে বলে মৌসি আজ নেহি আজ হাম টিউশন পর জায়েঙ্গে.....
সমঝ গেয়ে বিটি শক কর রাহে হো হামে l হাম ইতনি গিরি হুই ঔরত নেহি হ্যায় l ঠিক হ্যায় আজ যাও কাল বুলা লেঙ্গে l मुझे खुशी है कि आप में हिम्मत है तजुर्बा हैं एक नयी शुरुआत कोरो l
অঞ্জু সোমা দুজনে চলে যায় l ওদের মনে সন্দেহ হয় কোন মতলব নেইতো!
বাড়িতে গিয়ে ওদের বাড়িবলি মাসিকে বলে সব ঘটনার কথা l উনি বলেন তুম দোনো তুম্হারী কাম করো কিসিকে বাতমে মত আনা l
পরের দিন বাড়িবালা মেসোর সঙ্গে ওনার অটোতে দুজনে যায় l লঙ্গরে খেয়ে ফিরে আসে কাউকে দেখতে পায়না l
এরপর থেকে ওরা সাবধানে যাতায়াত করে l যতোই হোক মেয়ে এই বিদেশে কোথায় কে কি মনে করে ওদের দুবাই টুবাই পাঠিয়ে দেবে নাতো l ভয়ে গা শিউরে ওঠে l তবুও মহিলার শেষ কথাটার গুরুত্ব আছে l
ক্রমে ওদের পরীক্ষার দিন চলে এলো l দুজনেই সিভিল সার্ভীস পরিক্ষায় বসলো l প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় দুজনে ভালো রেসাল্ট করলো l কিন্তু সিভিল সার্ভীস মেন খুব কঠিন l রাত দিন এক করে কি করে অধ্যাবসায় করে জীবনের লক্ষে পৌঁছোতে হয় তা এই দুই মহিলার কাছথেকে শিখতে হয় l
সিভিল সার্ভীস মেন দিল দুজনে l আশ্চর্য রকম ভাবে অঞ্জু এবং সোমা সিভিল সার্ভীস ফাইনাল পস করে l অঞ্জুর সিডিউল কাস্ট কোটাতে 85 ৱ্যাঙ্ক ছিল সোমা জেনেরাল কেটিগোরিতে 2235 ওরা ওদের সাফল্যের কথা বাড়িবালিকে বলে l উনি আর বাড়ি ভাড়া না নিয়ে ওদের বাড়িতেই খাওয়ার ব্যবস্থা করেন l বাড়িবালি মহিলা বলেন রোজ রোজ লঙ্গর মে জানেকা জরুরত ক্যা হ্যায়? বেটি তুমি দোনো মেরা ঘরমে খাও l হম পকায়েঙ্গে খানা তুমহারে লিয়ে l খুব খাও ঔর পড়ো l ভাইভার জন্য প্রিপারেশন করলো দুজনে l দুজনেই ভাইভা কোয়ালিফাই করে অঞ্জু আই. পি. এস. ও সোমা আই. আর. এস অফিসার এর নিযুক্তি পত্র পায় l ওদের খুশীর কোন শেষ ছিলোনা l সোমা,এসিস্টেন্ট কমিশনার ইনকাম ট্যাক্স, কটক l
অঞ্জু পান গোসাবার মেয়ে আই. পি. এস. অফিসার ভাবা যায় l
দেরাদুন এর বল্লভ ভাই পটেল পুলিশ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট থেকে ট্রেনিং সেরে অঞ্জু এ. সি. পি. কেন্দ্রাপাড়া, উড়িস্যা তে পোষ্টেড হয় l পুলিশের ইউনিফর্মে অঞ্জু কে চোখে না দেখলে ভাবা যায়না l
সেই সময় কেন্দ্রাপড়া তে হাইদর নামে এক ডন এর উৎপাত l অঞ্জু চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয় ওকে ধরার জন্য l এস. পি. ওকে অনেক বারণ করেন রিস্ক নিতে l একটা মারুতি জিপসী গাড়িতে ইউনিফর্ম পরে কোমরে রিভালভার নিয়ে এ. সি. পি. অঞ্জু ম্যাডাম বসে ড্রাইভারকে বলে পারাদ্বীপ এক্সপ্রেস হাই ওয়ে তে চালাতে l তখন বিকেল পাঁচটা l ড্রাইভার ফাঁকা রাস্তায় একটা হর্ন দেয় l অঞ্জু ম্যাডাম এর সন্দেহ হয় l ড্রাইভারকে কপালে রিভালভার এর নল লাগিয়ে গাড়ি থামাতে বলে এবং সঙ্গে সঙ্গে ঘোরাতে বলে পেছনে l গাড়ি ঘোরার পর ড্রাইভারকে স্পিডে গাড়ি চালাতে বলে l ঠিক সেই সময় দূর থেকে অঞ্জু ম্যাডাম একটা হর্ণের শব্দ পায় l গাড়ি ফুল স্পিডে এগোয় কেন্দ্রাপাড়া l এস. পি.অফিসে নেমে এস. পি. র সামনে অঞ্জু ম্যাডাম ড্রাইভারের গালে শক্ত চড় বসায় l ড্রাইভারকে সাসপেন্ড করা হয় কারণ এই ড্রাইভার রাস্তায় হর্ন দিয়ে হাইদারের গ্যাঙ্গ কে জানায় এস. পি কিংবা অন্য সিনিয়ার পুলিশের অফিসার রাস্তায় আছেন বলে l ওরা ঐ সময় গাড়ি লক্ষ করে বোমা ছুঁড়ে মরনাত্মক আক্রমণ করার আগে ড্রাইভার পালায় গাড়ি ছেড়ে l এই ঘটনা ঘটেছিলো এর আগে সেই খবর অঞ্জু ম্যাডাম জানতেন সেটা আজ প্রমান করলেন l পুলিশের চাকরিতে পদে পদে বিপদ থাকে l তাকে উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে সমাধান করা পুলিশের প্রধান কাজ l আত্মরক্ষা এবং মানুষকে রক্ষা করা প্রতি মুহূর্তে পুলিশের প্রধান কাজ l
*** তিন কন্যা তিন রকমের কিন্তু অঞ্জু ম্যাডাম নামধারী এ. সি. পির ঘটনা একদম সত্যি ঘটনা l
********0********
No comments:
Post a Comment