Wednesday, November 13, 2013

শিশু-দিবস ত্রিভুবনজিৎ

শিশু-দিবস


ত্রিভুবনজিৎ  


আজ শিশু-দিবস । চাচা নেহেরুর জন্মদিন পালন করছে সব কচি কাঁচা শিশুরা । সকলের মনে  উৎফুল্ল উদ্দীপনা । সব্বাই হাঁসি আর হট্টগোলে এই দিবসটিকে পালন করে । হয় বক্তৃতা , ফ্যান্সি ড্রেস , কিছু গান আর পকেট ভর্তি চকলেট মিঠাই । স্কুলে মাষ্টার মোশাই , দিদিমণিরা ব্যাস্ত ছেলে মেয়েদের শৃঙ্খলিত ভাবে এই দিবসটিকে পালন করতে । এমনি এক দিনে চোখে পডে কিছু শিশুর কথা জারা খেটে খায় নিজেদের জীবিকা অর্জনের জন্য । তার সমাজের অবহেলিত শিশু । তাদের মা বাবা জন্ম দিয়ে খালাস । কেউ চায়ের কেটলি হাথে প্লাটফর্মে চা বিক্রি করছে , কেউ ইটভাটায় ইট বইছে চোখের জল পুঁছে , কেউ হোটেলে চায়ের কাপ ডিস থালা বাসুন ধুচ্ছে , কেউ আবার মোটর মেকানিকের গাল মন্দ শুনে সারা গা কালি মেখে তার হাথে স্প্যানার , স্ক্রু ড্রাইভার দিচ্ছে ,কেউ জুত পালিশ করছে ট্রেনের কামরায় , কেউ বাডীর চাকরের কাজ করছে মুখ বুজে গাল মন্দ শুনে ...ইত্যাদি,ইত্যাদি । এই ভারতে আছে এরকম অনেক কথা যেখানে শিশু নির্যাতনের ভুরি ভুরি কাহিনী । এ নিয়ে অনেক ফিল্ম নির্দেশক সিনেমা করেছেন । ‘স্লাম ডগের’ কথাই ভাবুন  , অস্কার পেয়েগেল ভারতবর্যের বস্তিবাসীর কাহিনীকে সেলুলয়েডে ধরে।    আমরা কিছু বুদ্ধিজীবী  এই নিয়ে হৈ চৈ করি আবার ভুলে জাই । 
আজ মনে করছি সেই স্কুলের দিনের কথা । স্কুল জাওয়ার পথে দেখতাম এক বালক সে মটর মেকানিকের কাছে গাল মন্দ খেয়ে কাজ করছে । তার বাবা মা তাকে স্কুলে পাঠাতে পারেনা কিন্তু জন্ম দিতে পেরেছিল। এই দায়িত্বহীন বাবা ভেবে দেখেনি যে সন্তানটিকে সে পৃথিবীতে আনল তাকে দুমুঠো খেতে দিতে পারবে কিনা স্কুলে পাঠানো দূরে থাক। এরা ভাবে জন্ম দেওয়া তাদের কাজ ভরন পোষণ করা সরকারের কাজ। তবুও কিছু রাজ্য সরকার এইসব ছেলেদের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য অনেক পদক্ষেপ নিচ্ছেন । কিছু বেসরকারি সংস্থা , এন।জি।ও তা ছাডা অনাথ আশ্রম এবং খ্রিশ্চান মিশনারি খুব ভালো কাজ করেন এ নিদর্শন ও আছে। গিরিজন্দের জন্য ট্রাইবাল স্কুল আছে , মুসলিমদের জন্য মাদ্রাসা , মেয়েদের জন্য কন্যা-শ্রম কিন্তু সাধারণ বর্গের ছেলেদের জন্য ব্যতিক্রম । 
স্কুলে জাওয়ার ইচ্ছে রাখে অথচ সে সংসারের দায়িত্ব শিশু অবস্থা থেকে নিতে বাধ্য হয়েছে । আজ এই সব ছেলে মেয়েদের জন্য কেন্দ্র সরকার-থেকে স্বতন্ত্র যোজনা করা উচিৎ । চাইল্ড লেবার সম্পূর্ণ উচ্ছেদ করে তাদের শিক্ষা ব্যাবস্থার উন্নতি করার বিশেষ প্রয়োজন।

No comments:

Post a Comment