মা দ্বিভুজা
ত্রিভুবন জিৎ মুখার্জী , ১২।১০।২০১৩ ,
আজ দুর্গাষ্টমীতে আমার বাডির দুর্গার কথা ই বলি । ও আমার সাক্ষাৎ মা দুর্গা । ওকেই আমি দুর্গা বলে মনেকরি যদিও ওর নাম মঞ্জু ; আমার বাডির কাজের মেয়ে । আমাদের বাডি ছাডাও আরও চারটে ঘরে কাজ করে ।
আমরা স্বামী স্ত্রী দুজনে সল্ট-লেকের ফ্ল্যাটে থাকি । সকাল ৬ টার সময় মঞ্জু কেষ্ট-পুর থেকে আসে , হয় বাসে নয় অটো তে। এসেই কাজে লেগে যায় বেচারি। ওর বিষয় লিখব লিখব করে আর লেখা হয় নি । আজ তাই ভাবলাম দুর্গাষ্টমিতে আমার বাডীতে স্বয়ং মা দুর্গা আছেন , তিনি ই তো মঞ্জু রূপ ধারণ করে আমাকে পরীক্ষা করছেন । ওনার বিষয় না লিখলে আমার গল্প লেখা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে । মঞ্জু যানে আমি গল্প লিখি । কারন ও-ইতো চায়ের কাপটা লেখার সময় বাডিয়ে দেয় আমার হাথে।
ওর তিনটে মেয়ে আছে নাম: লক্ষ্মী , সরস্বতী , সন্তোষী । লক্ষ্মী ক্লাস নাইনে পডে , সরস্বতী ক্লাস সেভেনে আর সন্তোষী ক্লাস ফোরে । মঞ্জুর স্বামী কাপোডের ব্যবসা করত । শরীর খারাপ হওয়ার পর আর ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারে না বেচারা । মঞ্জুর , স্বামীর একটা কিডনি খারাপ । ডাক্তার বাবু বলেছেন কিডনি ট্রান্স-প্লান্ট না করলে আরেকটা কিডনি ও খারাপ হয়ে যেতে পারে । ডাক্তার অমিত বোস , নেফ্রলজিষ্ট , আর।জি।কর মেডিকেল কলেজ ওর স্বামীকে দেখছেন । ডাক্তার , ওষুধ বাবদে ওর অনেক খরচ হয় । ও বেচারা যা টাকা পায় , প্রায় ওষুধ পথ্য তে খরচ হয়ে যায় , কিন্তু ওর মুখে কখন হাঁসি ছাডা দুঃখ দেখিনি । বিধায়ক মহাশয় কে পাডার ছেলেরা বলাতে উনি অনেক ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। হাঁসপাতাল এর ফ্রি বেড , ওষুধ সব এখন সরকারি তহবিল থেকে পাচ্ছে । তবুও আরও খরচ আছে । কিডনি কে দেবে? দিন কে দিন মঞ্জুর মুখের হাঁসি কেমন ফ্যাকাসে হয়ে যাচ্ছে । মুখে না বললেও আমি বুঝি ওর কিছু একটা অসুবিধে হচ্ছে ।
আমি বলি, “হ্যাঁরে কন্ট্রোলের চাল পাস ?”
মঞ্জু বলে, “কার্ড কে দেবে মেসো ! “
কেন তোর কার্ড নেই ? আমাকে বলিস-নিতো !
সব কথা কি তোমায় বলবো , মেসো ?
কেন বলবিনা ? ঠিক আছে না বল মা । তুই আমার কার্ড টা নিয়ে চিনি , কেরোসিন আনবি। চাল কিন্তু আমরা পাইনা । তোর চাল কত লাগে ?
মাসে ৪০ থেকে ৫০ কিলো ।
অ্যাঁ ! বলিস কিরে !! অতো চাল কে খায় ?
কেন আমার বর , তিন মেয়ে , আমি , আমার স্বাশুডী শ্বশুর !!
মানে সাত জন ? ও আচ্ছা !
হ্যাঁ সাত জন । তা ছাডা বাডি ভাডা, ইলেকট্রিক ,মেয়েদের স্কুলের খরচ , জামা কাপোড , বই পত্র , ওষুধ ডাক্তার করে কিছুই তো থাকে না হাতে !
তোর চালের খরচটা আমি দিয়ে দেব এ মাস থেকে । ১০০০ টাকা হলে হবে । মেয়েদের বই খাতার জন্য টাকা নিয়ে যাবি । মাসিকে বল আমি বলেছি ।
মঞ্জুর চোখে জল দেখলাম। কিছু না বলে চলে গেল।
‘মা’ তো ওরা কষ্ট সহ্য করে মুখে বলে না। আমার মনটা খারাপ হয়ে গেল। গিন্নী পাসের ঘরেই ছিলেন বললেন ১০০০ টাকা দিয়ে দিয়েছি । মাস-গেলে ১৫০০ মাইনের ওপোর এই টাকা তুমি কত দিন দেবে ?
দিতেই হবে । ওর অসময়ে আমি না দেখলে ওর কে আছে ? আমার মায়া পডে গিয়েছে মেয়েটার ওপর । ও যদি আমার নিজের মেয়ে হত কি করতে ? আমার ই বা কে আছে বল ? আমরা তো দুটো বুডো বুডী । কি বা খরচ আমাদের ? ছেলে আমেরিকা থেকে কবে আসবে জানিনা । কি হবে আমার টাকা ? গরীব দুঃখী র কাজে টাকা ব্যায় হলে ভগবান তোমার ছেলেকে ভাল রাখবেন ।
গিন্নী বলেন কাল আরও কিছু গরীব দুঃখী ঘরে ডেকে আনবো ? ওদের ও টাকা বিলি কর তোমার ছেলে মহা আনন্দে থাকবে ! তারপর একটা লেংটি কিনে এনো হিমালয়ে যাব কমন্ডুল হাথে । আহা ও-তো বাইরের লোকনা । আমাদের ই একজন । কোথা থেকে অতো টাকা পাবে বল ? কিরকম সৎ মেয়ে দেখ কখন মুখ ফুটে চায়না । আত্ম সম্মান জ্ঞান আছে মেয়েটার । মুখ বুজে সব সহ্য করছে । জীবন যুধ্যে সংগ্রাম করে লডাই করে বেঁচে আছে । দেখলেনা এফ ডি ব্লকের পূজোতে থিমটা । সারা দেশে হাজার হাজার মহিষাসুর ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের দেবি দুর্গা বধ করছেন দশভুজা নয় দ্বিভুজা হয়ে ।
তা মঞ্জু কোন মহিষাসুরকে বধ করছে শুনি ।
গরিবী রূপক মহিষাসুর কে বধ করছে নিজের ধৈর্য রূপক অস্ত্র দিয়ে । তুমি ত মাটীর প্রতিমা দেখছ আমি রক্ত মাংসর প্রতিমা ওর মধ্যে দেখছি । ও মা দুর্গা ।
গিন্নী বলেন আমি আজ ই একটা কল করি আমেরিকা তে । না: এই পাগলামি আর সহ্য করা যাচ্ছে না । তোমাকে মন বিশেষজ্ঞ মানে পাগলের ডাক্তার দেখাতে হবে বুঝেছ !তোমার কাউন্সিলিং এর প্রয়োজন দেখছি ।
আমি চুপ করে গুম হয়ে বসে যাই । মনে মনে ভাবি এরা মহিলারা উপোস করে পূজ দেয় কাকে ? মাটির পুতুল যা মুখে কথা বলে না তাকে যা ইচ্ছে ভোগ দেয় ‘মা’ ‘মা’ করে ডাকে ; আর ঘরে তে যার প্রকৃত প্রয়োজন তাকে কিছু দেওয়ার বেলায় যে দেওয়ার কথা চিন্তা করলো সে পাগোল ! বাঃ । আমার কোন স্বাধিনতা নেই । আমার কোন ইচ্ছা নেই । আমি ত সিগারেট খাইনা , মদ খাইনা , জুয়া খেলিনা , কোন বাজে অভ্যাশ নেই আমার । আমার নিজের মেয়ে নেই তাই মঞ্জুকে আমি একটু বেশি ভালোবাসি । সেটা কি অন্যায় ? যদি তাই হয় সেটা তোমার কাজের লোকের ই জন্য । আমার জন্য নয় । ঠিক আছে আমি কিছু বলবনা আজ থেকে ।
রাত্তিরে খেতে বসেছি হঠাৎ মোবাইলে কল এলো । তখন ১১ টা বাজে । গিন্নী মোবাইলটা স্বিচ অন করে যা শুনলেন আমাকে কিছুই বললেন না । খুব গম্ভীর হয়ে গেলেন । মুখে কোন কথাই নেই ।
সকালে মঞ্জু এলোনা কাজে । আমি লক্ষ করলাম গিন্নিকে , সকালে আমাদের সামনের বাডির কাজের মাসিকে কি বলা হল সে এসে বাডির কাজ করতে লাগলো । আমি কিছুই বললাম না । পরে শুনলাম মঞ্জুর শ্বশুর মারা গিয়েছেন । এখন ১৫ দিন মঞ্জু আসবেনা ।
এর মধ্যে একদিন কেষ্টপুরে গিয়ে চাল, ডাল , তরি-তরকারী , ঘী , ফল ২৫০ টাকা ইত্যাদি দিয়ে এলাম দুজনে । আমি কিছুই বলিনি ওই ঘটনার পর থেকে । ১৫ দিনে গিন্নীর হাল দেখলাম খুব ই বেহাল ।
কাজের লোক না এলে আমার কিছুই যায় আসে না ।
এরপর মঞ্জু ভেলোর গেল ওর বরকে নিয়ে । প্রায় দুমাস নেই । কবে আসবে তাও জানিনা । এখন ওর মত কাজের লোক মাথা খুঁড়লেও পাওয়া মুস্কিল । এই সমস্যার সমাধানের কোন রাস্তা আছে ?
ত্রিভুবন জিৎ মুখার্জী , ১২।১০।২০১৩ ,
আজ দুর্গাষ্টমীতে আমার বাডির দুর্গার কথা ই বলি । ও আমার সাক্ষাৎ মা দুর্গা । ওকেই আমি দুর্গা বলে মনেকরি যদিও ওর নাম মঞ্জু ; আমার বাডির কাজের মেয়ে । আমাদের বাডি ছাডাও আরও চারটে ঘরে কাজ করে ।
আমরা স্বামী স্ত্রী দুজনে সল্ট-লেকের ফ্ল্যাটে থাকি । সকাল ৬ টার সময় মঞ্জু কেষ্ট-পুর থেকে আসে , হয় বাসে নয় অটো তে। এসেই কাজে লেগে যায় বেচারি। ওর বিষয় লিখব লিখব করে আর লেখা হয় নি । আজ তাই ভাবলাম দুর্গাষ্টমিতে আমার বাডীতে স্বয়ং মা দুর্গা আছেন , তিনি ই তো মঞ্জু রূপ ধারণ করে আমাকে পরীক্ষা করছেন । ওনার বিষয় না লিখলে আমার গল্প লেখা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে । মঞ্জু যানে আমি গল্প লিখি । কারন ও-ইতো চায়ের কাপটা লেখার সময় বাডিয়ে দেয় আমার হাথে।
ওর তিনটে মেয়ে আছে নাম: লক্ষ্মী , সরস্বতী , সন্তোষী । লক্ষ্মী ক্লাস নাইনে পডে , সরস্বতী ক্লাস সেভেনে আর সন্তোষী ক্লাস ফোরে । মঞ্জুর স্বামী কাপোডের ব্যবসা করত । শরীর খারাপ হওয়ার পর আর ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারে না বেচারা । মঞ্জুর , স্বামীর একটা কিডনি খারাপ । ডাক্তার বাবু বলেছেন কিডনি ট্রান্স-প্লান্ট না করলে আরেকটা কিডনি ও খারাপ হয়ে যেতে পারে । ডাক্তার অমিত বোস , নেফ্রলজিষ্ট , আর।জি।কর মেডিকেল কলেজ ওর স্বামীকে দেখছেন । ডাক্তার , ওষুধ বাবদে ওর অনেক খরচ হয় । ও বেচারা যা টাকা পায় , প্রায় ওষুধ পথ্য তে খরচ হয়ে যায় , কিন্তু ওর মুখে কখন হাঁসি ছাডা দুঃখ দেখিনি । বিধায়ক মহাশয় কে পাডার ছেলেরা বলাতে উনি অনেক ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। হাঁসপাতাল এর ফ্রি বেড , ওষুধ সব এখন সরকারি তহবিল থেকে পাচ্ছে । তবুও আরও খরচ আছে । কিডনি কে দেবে? দিন কে দিন মঞ্জুর মুখের হাঁসি কেমন ফ্যাকাসে হয়ে যাচ্ছে । মুখে না বললেও আমি বুঝি ওর কিছু একটা অসুবিধে হচ্ছে ।
আমি বলি, “হ্যাঁরে কন্ট্রোলের চাল পাস ?”
মঞ্জু বলে, “কার্ড কে দেবে মেসো ! “
কেন তোর কার্ড নেই ? আমাকে বলিস-নিতো !
সব কথা কি তোমায় বলবো , মেসো ?
কেন বলবিনা ? ঠিক আছে না বল মা । তুই আমার কার্ড টা নিয়ে চিনি , কেরোসিন আনবি। চাল কিন্তু আমরা পাইনা । তোর চাল কত লাগে ?
মাসে ৪০ থেকে ৫০ কিলো ।
অ্যাঁ ! বলিস কিরে !! অতো চাল কে খায় ?
কেন আমার বর , তিন মেয়ে , আমি , আমার স্বাশুডী শ্বশুর !!
মানে সাত জন ? ও আচ্ছা !
হ্যাঁ সাত জন । তা ছাডা বাডি ভাডা, ইলেকট্রিক ,মেয়েদের স্কুলের খরচ , জামা কাপোড , বই পত্র , ওষুধ ডাক্তার করে কিছুই তো থাকে না হাতে !
তোর চালের খরচটা আমি দিয়ে দেব এ মাস থেকে । ১০০০ টাকা হলে হবে । মেয়েদের বই খাতার জন্য টাকা নিয়ে যাবি । মাসিকে বল আমি বলেছি ।
মঞ্জুর চোখে জল দেখলাম। কিছু না বলে চলে গেল।
‘মা’ তো ওরা কষ্ট সহ্য করে মুখে বলে না। আমার মনটা খারাপ হয়ে গেল। গিন্নী পাসের ঘরেই ছিলেন বললেন ১০০০ টাকা দিয়ে দিয়েছি । মাস-গেলে ১৫০০ মাইনের ওপোর এই টাকা তুমি কত দিন দেবে ?
দিতেই হবে । ওর অসময়ে আমি না দেখলে ওর কে আছে ? আমার মায়া পডে গিয়েছে মেয়েটার ওপর । ও যদি আমার নিজের মেয়ে হত কি করতে ? আমার ই বা কে আছে বল ? আমরা তো দুটো বুডো বুডী । কি বা খরচ আমাদের ? ছেলে আমেরিকা থেকে কবে আসবে জানিনা । কি হবে আমার টাকা ? গরীব দুঃখী র কাজে টাকা ব্যায় হলে ভগবান তোমার ছেলেকে ভাল রাখবেন ।
গিন্নী বলেন কাল আরও কিছু গরীব দুঃখী ঘরে ডেকে আনবো ? ওদের ও টাকা বিলি কর তোমার ছেলে মহা আনন্দে থাকবে ! তারপর একটা লেংটি কিনে এনো হিমালয়ে যাব কমন্ডুল হাথে । আহা ও-তো বাইরের লোকনা । আমাদের ই একজন । কোথা থেকে অতো টাকা পাবে বল ? কিরকম সৎ মেয়ে দেখ কখন মুখ ফুটে চায়না । আত্ম সম্মান জ্ঞান আছে মেয়েটার । মুখ বুজে সব সহ্য করছে । জীবন যুধ্যে সংগ্রাম করে লডাই করে বেঁচে আছে । দেখলেনা এফ ডি ব্লকের পূজোতে থিমটা । সারা দেশে হাজার হাজার মহিষাসুর ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের দেবি দুর্গা বধ করছেন দশভুজা নয় দ্বিভুজা হয়ে ।
তা মঞ্জু কোন মহিষাসুরকে বধ করছে শুনি ।
গরিবী রূপক মহিষাসুর কে বধ করছে নিজের ধৈর্য রূপক অস্ত্র দিয়ে । তুমি ত মাটীর প্রতিমা দেখছ আমি রক্ত মাংসর প্রতিমা ওর মধ্যে দেখছি । ও মা দুর্গা ।
গিন্নী বলেন আমি আজ ই একটা কল করি আমেরিকা তে । না: এই পাগলামি আর সহ্য করা যাচ্ছে না । তোমাকে মন বিশেষজ্ঞ মানে পাগলের ডাক্তার দেখাতে হবে বুঝেছ !তোমার কাউন্সিলিং এর প্রয়োজন দেখছি ।
আমি চুপ করে গুম হয়ে বসে যাই । মনে মনে ভাবি এরা মহিলারা উপোস করে পূজ দেয় কাকে ? মাটির পুতুল যা মুখে কথা বলে না তাকে যা ইচ্ছে ভোগ দেয় ‘মা’ ‘মা’ করে ডাকে ; আর ঘরে তে যার প্রকৃত প্রয়োজন তাকে কিছু দেওয়ার বেলায় যে দেওয়ার কথা চিন্তা করলো সে পাগোল ! বাঃ । আমার কোন স্বাধিনতা নেই । আমার কোন ইচ্ছা নেই । আমি ত সিগারেট খাইনা , মদ খাইনা , জুয়া খেলিনা , কোন বাজে অভ্যাশ নেই আমার । আমার নিজের মেয়ে নেই তাই মঞ্জুকে আমি একটু বেশি ভালোবাসি । সেটা কি অন্যায় ? যদি তাই হয় সেটা তোমার কাজের লোকের ই জন্য । আমার জন্য নয় । ঠিক আছে আমি কিছু বলবনা আজ থেকে ।
রাত্তিরে খেতে বসেছি হঠাৎ মোবাইলে কল এলো । তখন ১১ টা বাজে । গিন্নী মোবাইলটা স্বিচ অন করে যা শুনলেন আমাকে কিছুই বললেন না । খুব গম্ভীর হয়ে গেলেন । মুখে কোন কথাই নেই ।
সকালে মঞ্জু এলোনা কাজে । আমি লক্ষ করলাম গিন্নিকে , সকালে আমাদের সামনের বাডির কাজের মাসিকে কি বলা হল সে এসে বাডির কাজ করতে লাগলো । আমি কিছুই বললাম না । পরে শুনলাম মঞ্জুর শ্বশুর মারা গিয়েছেন । এখন ১৫ দিন মঞ্জু আসবেনা ।
এর মধ্যে একদিন কেষ্টপুরে গিয়ে চাল, ডাল , তরি-তরকারী , ঘী , ফল ২৫০ টাকা ইত্যাদি দিয়ে এলাম দুজনে । আমি কিছুই বলিনি ওই ঘটনার পর থেকে । ১৫ দিনে গিন্নীর হাল দেখলাম খুব ই বেহাল ।
কাজের লোক না এলে আমার কিছুই যায় আসে না ।
এরপর মঞ্জু ভেলোর গেল ওর বরকে নিয়ে । প্রায় দুমাস নেই । কবে আসবে তাও জানিনা । এখন ওর মত কাজের লোক মাথা খুঁড়লেও পাওয়া মুস্কিল । এই সমস্যার সমাধানের কোন রাস্তা আছে ?
No comments:
Post a Comment