আকাঙ্ক্ষা ,পারোমিতা দুই বোন । দুজনের বয়েসের ব্যবধান মাত্র এক বছর। দুই বোনই এক ইংলিশ মিডিয়াম কোএড্ স্কুলে পড়ে । স্কুল
বাস আসে সকাল ৭.৩০ টার সময় । শীতে কুঁকড়ে দুজনে বিছানা থেকে ওঠে সকাল ৬.৩০ টার সময়। সটান বাথরুমে ঢুকে নিত্যকর্ম সেরে বেরুনোর
সময় ৭.০০ টা বেজে পাঁচ কি দশ মিনিট । তার পর খাওয়া সেরে বাসের জন্য অপেক্ষা । আরম্ভ হয় সারা দিনের জমে থাকা কিছু গল্প আর
বয় ফ্রেন্ডদের নিয়ে কিছু ছুঁক ছুঁকুনির কথা পারোমিতার । যাকে বলে চুলবুলি লেড়কি হিন্দিতে । উপায় নেই যুগের টানে এরকমটা হবেই । মানুষের কিছু জেনে-টিক আর একুয়ার্ড ক্যারেক্টার থাকে । কোন কোন সময় একুয়ার্ড ক্যারেক্টারটা বেশি মাত্রায় প্রকাশিত হয় । সেগুল ভাল হতে পারে আবার খারাপ ও হতে পারে । যদি খারাপের দিকে যায় তবে সর্বনাশ। সামাজিক দিক থেকে ভয়ঙ্কর ও হতে পারে। যা বাবা মা ভাই বোনের মাথা ব্যথার
কারন হয়। ধরাজাগ সেইরকম ই ক্যারেক্টারের মেয়ে পারোমিতা ।
বাস আসে সকাল ৭.৩০ টার সময় । শীতে কুঁকড়ে দুজনে বিছানা থেকে ওঠে সকাল ৬.৩০ টার সময়। সটান বাথরুমে ঢুকে নিত্যকর্ম সেরে বেরুনোর
সময় ৭.০০ টা বেজে পাঁচ কি দশ মিনিট । তার পর খাওয়া সেরে বাসের জন্য অপেক্ষা । আরম্ভ হয় সারা দিনের জমে থাকা কিছু গল্প আর
বয় ফ্রেন্ডদের নিয়ে কিছু ছুঁক ছুঁকুনির কথা পারোমিতার । যাকে বলে চুলবুলি লেড়কি হিন্দিতে । উপায় নেই যুগের টানে এরকমটা হবেই । মানুষের কিছু জেনে-টিক আর একুয়ার্ড ক্যারেক্টার থাকে । কোন কোন সময় একুয়ার্ড ক্যারেক্টারটা বেশি মাত্রায় প্রকাশিত হয় । সেগুল ভাল হতে পারে আবার খারাপ ও হতে পারে । যদি খারাপের দিকে যায় তবে সর্বনাশ। সামাজিক দিক থেকে ভয়ঙ্কর ও হতে পারে। যা বাবা মা ভাই বোনের মাথা ব্যথার
কারন হয়। ধরাজাগ সেইরকম ই ক্যারেক্টারের মেয়ে পারোমিতা ।
আকাঙ্ক্ষা একটু আলাদা ও পড়াশুনোর গল্প বেশি করে বন্ধুদের সঙ্গে। কিছু প্রব্লেমের কথা যা হয়তো সল্ভ হচ্ছেনা বা অন্য কিছু । ও পড়াশুনোতে ভাল । ক্লাসে বরা বর ফার্স্ট হয় পারোমিতা ঠিক তার উল্টো। টিভি প্রোগ্রাম , সারুখ্ সলমন হৃত্তিক ইরফান আর বাংলার দেব ছাড়া ভাবতেই পারেনা ।ও বলে মাস ক্লাস বাঙ্ক করে সিনেমা যাওয়া র এক্সাইটমেন্ট ই আলাদা । । টিচারকে এফ বি তে জন্মদিনে গিফট পাঠানো । লিটিল হনি বলে বয় ফ্রেন্ড কে চুমু খাওয়া । এসবে থৃল আছে বল । কথা-গুল বলে দম নেয় ।ওর দিদি এসব শুনেও শোনেনা ।এরমধ্যে আকাঙ্ক্ষা সি বি এস সি র ১০ম শ্রেনিতে ৯৮.৮% নাম্বার রেখে পাস করেছে । কলেজে সাইন্স নিয়ে পড়ছে ।সেদিন আকাঙ্ক্ষা খবরের কাগজে খবরটা পড়ে আতঙ্কিত হয় কারন ও
প্রত্যেক দিন বাসে কলেজ যায় ফেরে প্রায় রাত ৭ টার পর । খবরটা এইরকম ঃ-:-“সকাল দশটায় ওদের কলেজের কাছা কাছি এক এলাকায় চলন্ত বাসের ভিতরেই এক তরুণীর হাত ধরে টানাটানি শুরু করে দিল জনা চারেক মদ্যপ যুবক ।উপায় না দেখে চলন্ত বাস থেকেই লাফ দিয়ে নেমে ছুটতে ছুটতে কলেজে পৌঁছলেন ওই তরুণী। জনা কয়েক সহপাঠীকে কোনও মতে ঘটনাটা জানিয়ে ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে জ্ঞান হারালেন তিনি।রক্তাক্ত অবস্থায় হাঁসপাতালে ভর্তি করা হয় কলেজের ছেলেদের প্রচেষ্টায় ।
প্রত্যেক দিন বাসে কলেজ যায় ফেরে প্রায় রাত ৭ টার পর । খবরটা এইরকম ঃ-:-“সকাল দশটায় ওদের কলেজের কাছা কাছি এক এলাকায় চলন্ত বাসের ভিতরেই এক তরুণীর হাত ধরে টানাটানি শুরু করে দিল জনা চারেক মদ্যপ যুবক ।উপায় না দেখে চলন্ত বাস থেকেই লাফ দিয়ে নেমে ছুটতে ছুটতে কলেজে পৌঁছলেন ওই তরুণী। জনা কয়েক সহপাঠীকে কোনও মতে ঘটনাটা জানিয়ে ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে জ্ঞান হারালেন তিনি।রক্তাক্ত অবস্থায় হাঁসপাতালে ভর্তি করা হয় কলেজের ছেলেদের প্রচেষ্টায় ।
এই শহরের বুকে দিনের বেলায় আরও এক বার এই ঘটনা , শহরের রাস্তায় মহিলাদের নিরাপত্তার অভাবটাকেই ফের বেআবরু করে দিল। দিল্লির
বাসে তরুণীকে গণ-ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছিল , সে প্রতিবাদে গলা মিলিয়েছে আমাদের শহরেও । কিন্তু তার পাশাপাশি এই শহরের বাস এবং রাস্তাই বা আলাদা কিসের , এ প্রশ্নটাও ক্রমশ জোরালো হচ্ছে”। ঘটনাটা অনেক দিন আগের কথা ।
বাসে তরুণীকে গণ-ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছিল , সে প্রতিবাদে গলা মিলিয়েছে আমাদের শহরেও । কিন্তু তার পাশাপাশি এই শহরের বাস এবং রাস্তাই বা আলাদা কিসের , এ প্রশ্নটাও ক্রমশ জোরালো হচ্ছে”। ঘটনাটা অনেক দিন আগের কথা ।
কাকে বলবে ? বোন তো পাত্তা দেয়না। বলে তোর বয় ফ্রেন্ড থাকলে ওই তোকে প্রটেক্ট করবে । দিদি তুই ভারি আন-স্মার্ট আর ভীতু । মা’কে
বললে বলবেন আর পাঁচটা মেয়েদের মতন তুমি হতে চেষ্টা কর । এসব কথা মনের ভেতর রেখে গুমরচ্ছিল আকাঙ্ক্ষা । ও কি সত্যি আর পাঁচটা মেয়ের মতন নয় ? তবে ওর পড়াশুনো কি বৃথা ! মনের মধ্যে তোল্পাড করে সব প্রশ্ন । আয়নার সামনে নিজেকে দেখে । ভরা যৌবনে মেয়েদের যা
সৌন্দর্যের বিকাশ হওয়া উচিৎ ওর ক্ষেত্রে তা ব্যাতিক্রম । অসব কিছু্র ই পরি-প্রকাশ পায়নি।খুব সাধা মাটা মেয়ে । সাজতে জানেনা বললেই চলে । এতো সাধারণ মেয়ে আজকাল খুব একটা চোখে পড়েনা।
বললে বলবেন আর পাঁচটা মেয়েদের মতন তুমি হতে চেষ্টা কর । এসব কথা মনের ভেতর রেখে গুমরচ্ছিল আকাঙ্ক্ষা । ও কি সত্যি আর পাঁচটা মেয়ের মতন নয় ? তবে ওর পড়াশুনো কি বৃথা ! মনের মধ্যে তোল্পাড করে সব প্রশ্ন । আয়নার সামনে নিজেকে দেখে । ভরা যৌবনে মেয়েদের যা
সৌন্দর্যের বিকাশ হওয়া উচিৎ ওর ক্ষেত্রে তা ব্যাতিক্রম । অসব কিছু্র ই পরি-প্রকাশ পায়নি।খুব সাধা মাটা মেয়ে । সাজতে জানেনা বললেই চলে । এতো সাধারণ মেয়ে আজকাল খুব একটা চোখে পড়েনা।
পরোমিতা ঠিক উল্টো। প্রসাধনের সামগ্রী কেনার চেয়ে গিফট বেশি পায়। বয়ফ্রেন্ডের অভাব নেই । পারমিতা কে দেখতে সুন্দর এবং চোখ
ধাঁদানো চেহার । কস্মেটিক্স এর বাহারে ভুরু ভুরু গন্ধ । ছেলেদের মন ভোলানো চেহারা । এখন থেকেই ডেঁপো । পডাশুনোয় অষ্টরম্ভা ।কোনমতে পাস করে । টুকলি করতে ওস্তাদ্ বোধহয় । কিন্তু বুদ্ধি প্রখর । ছেলেদের মাথায় টুপি পরাতে ওস্তাদ ।
ধাঁদানো চেহার । কস্মেটিক্স এর বাহারে ভুরু ভুরু গন্ধ । ছেলেদের মন ভোলানো চেহারা । এখন থেকেই ডেঁপো । পডাশুনোয় অষ্টরম্ভা ।কোনমতে পাস করে । টুকলি করতে ওস্তাদ্ বোধহয় । কিন্তু বুদ্ধি প্রখর । ছেলেদের মাথায় টুপি পরাতে ওস্তাদ ।
আগেই বলেছি আকাংক্ষা ক্লাসে ফার্স্ট হয় । রিপোর্ট কার্ডে সই করার সময় বাপি আকাংক্ষা কে খুব উৎসাহ দিয়ে বলেন ১২ ক্লাসে সাইন্সে র্যাঙ্ক
রাখতেই হবে । এখন থেকে আই. আই . টির এন্ট্রান্সের জন্য তৈরি হও। তোমাকে খড়গপুর আই আই টি তে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াবো । ভাল রেসাল্ট
করলে জি. আর . ই দিয়ে আমেরিকা পাঠাবো। বি .টেক্ এর পর হয় গেট্ দাও নয় ক্যাট্ দাও । যদি এগুলো না দাও তবে ভাল রেসাল্ট করলে জি.
আর . ই টা দেবে । এখন থেকে তৈরি হও আমেরিকা কিম্বা ব্রিটেন যাওয়ার জন্য ।
রাখতেই হবে । এখন থেকে আই. আই . টির এন্ট্রান্সের জন্য তৈরি হও। তোমাকে খড়গপুর আই আই টি তে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াবো । ভাল রেসাল্ট
করলে জি. আর . ই দিয়ে আমেরিকা পাঠাবো। বি .টেক্ এর পর হয় গেট্ দাও নয় ক্যাট্ দাও । যদি এগুলো না দাও তবে ভাল রেসাল্ট করলে জি.
আর . ই টা দেবে । এখন থেকে তৈরি হও আমেরিকা কিম্বা ব্রিটেন যাওয়ার জন্য ।
পারোমিতা ভয়ে ভয়ে বাবার কাছে যায় । বাপী জানেন ওর রেসাল্টের ব্যাপার ।বাপী বলেন , মেয়েদের পড়াশুন যে কত প্রয়োজন তা এখন থেকে না বুঝলে পরে আর সময় থাকবেনা মা । পড়াশুনোতে মন দাও । মেয়েদের রূপ যৌবন গুন তিনটে দিয়ে বিচার করার সময় রূপ যৌবন দুটোই কিন্তু বয়স আধিক্যে ফুরিয়ে যায় মা;থাকে শুধু গুনটা । ওটাই শেষ জীবনের ভরসা । তোমার বন্ধুদের জিজ্ঞাসা কর ; ওরা কি ক্লাসে লাস্ট্ বেঞ্চে বসা মেয়েকে ভাল বলবে !বাপীর টাকা মধু দাদার ভাঁড় নয় যে অফুরন্ত থাকবে । চিরদিন তো আমি আর তোমার মা থাকবেন না । যাও মাকে দিয়ে সই করাও । ওঁচা মেয়েদের আমি পছন্দ করিনা । তোমার ত সব বায়না শুনি তবুও তোমার এতো অধঃপতন কেন? লজ্জা করেনা ? দিদিকে দেখে সেখ ।
বাপীর কথা শুনে ওর চোখে জল আসে । চোখে জল নিয়ে বলে পরের বার ভাল করব ।গড প্রমিস্ বাপি । এবারের মত সই করে দাও !
থাক আর গড্ কে টেনোনা ! তিনি তোমাকে অহোরাত্র দেখছেন। তাঁর ,তোমার মত উচ্ছন্নে যাওয়া মেয়েকে দয়া করার সময় নেই। গড খুব ব্যাস্ত মা ।
তোমার প্রাইভেট ট্যুটার এর প্রয়োজন হলে রাখ । কিন্তু রেসাল্ট ভাল হওয়া চাই।
তোমার প্রাইভেট ট্যুটার এর প্রয়োজন হলে রাখ । কিন্তু রেসাল্ট ভাল হওয়া চাই।
মা ঘর থেকে বেরিয়ে এসে আঁচল ঠিক করতে করতে বলেন , “রাম রাম , প্রাইভেট টিউটর ? রক্ষে কর ! আরেক ফ্যাসাদ বাঁধাবে । ও যা পড়ছে পড়ুক । না পড়লে হেঁসেল ঠেলবে !” আমার সময় কোথায় ওকে দেখার ?”এটাত ঠিক কথা নয় । তুমি না দেখলে কে দেখবে ?” বাপী বলেন।
কেন ওর দিদির কাছে বসে পড়তে পারেনা ?
দেখ সুমি (মায়ের নাম সুমিতা , বাপী ‘সুমি’ বলেই ডাকেন) তোমার মেয়েদের প্রতি দায়িত্ব বোধ না থাকলে ওরা কি করবে ভবিষ্যতে? মা’র নজর
মেয়েদের দিকে বেশি থাকা উচিৎ । নাহলে পরে পস্তাবে । আমার ত ওদের দেখা সম্ভব নয় । কেন? আমার একার দায়িত্ব কেন? তোমার মেয়ে নয় ওরা ? তোমার কোন দায়িত্ব নেই !‘দায়িত্ব’ শব্দটা খুব জোরদিয়ে বিদ্রূপের সঙ্গে উচ্চারণ করলেন সুমিতা দেবী ।
মেয়েদের দিকে বেশি থাকা উচিৎ । নাহলে পরে পস্তাবে । আমার ত ওদের দেখা সম্ভব নয় । কেন? আমার একার দায়িত্ব কেন? তোমার মেয়ে নয় ওরা ? তোমার কোন দায়িত্ব নেই !‘দায়িত্ব’ শব্দটা খুব জোরদিয়ে বিদ্রূপের সঙ্গে উচ্চারণ করলেন সুমিতা দেবী ।
আহ্ ! আমি কি তাই বলছি ! বোঝ না কেন? আর সেরকম বুঝলে চাকরি ছেড়েদাও । তুমি ত সখের জন্য চাকরি কর ! ওটার কি কিছু প্রয়োজন আছে? যদি মেয়েরা মানুষ না হইয় তবে ওই চাকরি থাকার চেয়ে না থাকা ভাল !
কি ? আমি সেক্রিফাইস্ করবো আর উনি প্রাইভেট সেক্রেটারি কে নিয়ে টুরে যাবেন ; আজ মুম্বাই কাল দিল্লী পরশু সিঙ্গাপুর । অফিস ছাড়া বাড়ির হাল কি হচ্ছে বুঝেছ কখন ! বাহ ! সুন্দর !! চমৎকার সল্যুশন । পারবোনা চাকরি ছাড়তে !! ও মেয়ের এমনিতেই বারোটা বেজে গিয়েছে । আমি কি করব ?
দ্যাখো যা জাননা সে বিষয় নিয়ে কথা বোলনা। আমার চাকরিটা খাটুনির আর দায়িত্ব সম্পন্ন কাজ । তুমি ভাল করে জান সেটা । ওটা ঊল বোনার
চাকরি নয় যে মেয়েরা পাস করলো কি না করলো মাস গেলে জমা খাতায় মাইনে ঢুকে যাবে গুঁতো মেরে । চাকরি ? আর চাকরি দেখিওনা !! মেয়েদের সামনে স্বামির সঙ্গে কি করে কথা বলতে হয় সেটাই তো শিখলে না? যত্তো সব । বাবা গাড়ীর চাবি নিয়ে বেরিয়ে গেলেন গজ্ গজ্ করতে করতে ।
চাকরি নয় যে মেয়েরা পাস করলো কি না করলো মাস গেলে জমা খাতায় মাইনে ঢুকে যাবে গুঁতো মেরে । চাকরি ? আর চাকরি দেখিওনা !! মেয়েদের সামনে স্বামির সঙ্গে কি করে কথা বলতে হয় সেটাই তো শিখলে না? যত্তো সব । বাবা গাড়ীর চাবি নিয়ে বেরিয়ে গেলেন গজ্ গজ্ করতে করতে ।
মা বাপির কথা কাটা কাটির মধ্যে পারোমিতা মা’কে দিয়ে টুক করে সই করিয়ে নেয় । মা অজান্তে সই করে দেন । কিছুটা নিশ্চিন্ত এবারের মতন।
এবার পড়াশুন টা করতে হবে মন দিয়ে। মোবাইলে কল আসে সুমিতের । সুইচ অফ করে দেয় । না আর সুমিতের সঙ্গে যাবেনা সে । শেষে কিনা
হেঁসেল ঠেলতে হবে ! ম্যা গো !! মাথাটা টন টন করছে । দিদিকে দেখ ? খুব খুশী , আমাকে বাপী বকেছেন বলে । ভালো পড়ে বলে খুব অহংকার দিদির।
এবার পড়াশুন টা করতে হবে মন দিয়ে। মোবাইলে কল আসে সুমিতের । সুইচ অফ করে দেয় । না আর সুমিতের সঙ্গে যাবেনা সে । শেষে কিনা
হেঁসেল ঠেলতে হবে ! ম্যা গো !! মাথাটা টন টন করছে । দিদিকে দেখ ? খুব খুশী , আমাকে বাপী বকেছেন বলে । ভালো পড়ে বলে খুব অহংকার দিদির।
ঈশ্বর প্রেমিক প্রেমিকাকে একি ছাঁচে বানান না । কিছু তার তম্য থাকে ।আদর্শ শব্দটি অভিধান থেকে মুছে গিয়েছে আজকাল। সিটি সেন্টারে ওরকম অনেক যুগল ই ঘুরে বেড়ান । আমি একটা ঘটনার কথা বলি । সেদিন রাজার হাট্ দিয়ে ফিরছিলাম আমার কারে । তখন বাজে রাত ১১ টা । হঠাৎ আমাদের কারটাকে দুটো বাইক্ সম্ভবতঃ হিরো মোটর্সের লেটেস্ট মডেল নামটা বলতে পাচ্ছিনা , যাইহোগ বাইকে দুই প্রেমি জুগল যাচ্ছেন । পিলিওনে যে মেয়েটি ছিলো সে বোসে নয় ফুট রেস্টে দাঁড়িয়ে । বিদ্যুৎ গতিতে বাইক্ দুটি আমাদের ক্রস করে বেরিয়ে যায় । যদি এতোটুকু অসাবধান
হয় মৃত্যু সুনিস্চিৎ । এটা কি স্টান্ট্ না কি আমি বুঝলাম না । এদের মা বাবা এদের কি শিক্ষা দিয়েছে? অবিশ্যি মা বাবা কে দোস দিয়ে কাজ নেই
ওনারা কি জানেন? আমি ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসা করলাম ও বোলল , সাহাব আপ নেয়া হ্যায় । এ তো হামেশা দেখনেকো মিল্তা হ্যায় । মনে মনে ভাব
লাম আমরা কতো গ্রাম্য, এরা কতো সভ্য । এই যদি সভ্যতা হয় তবে হে ঈশ্বর আমাকে গেঁয়ো করেই রাখো! সে দিন থেকে আমি আর কাউকে
কিছু জিজ্ঞাসা করিনা । কান মুলছি নাক মুলছি আর না ।নিজের মেয়েদের কথা ভাবছি ! পারোমিতার কি হবে ? ওর কি ভবিষ্যৎ ? আমার সময় নেই
এনার্জি ও নেই । সুমি তার স্কুল আর বান্ধবীদের নিয়ে ব্যাস্ত । পার্টীর জন্য আজ ধারনা তো কাল বন্ধ ।ছারখার হয়ে গেল এই দেশটা এসবের জন্য ।
সর্ব শিক্ষা অভিজানের লেকচার দেয় সুমি আর নিজের মেয়ে গোল্লায় যাচ্ছে ।
হয় মৃত্যু সুনিস্চিৎ । এটা কি স্টান্ট্ না কি আমি বুঝলাম না । এদের মা বাবা এদের কি শিক্ষা দিয়েছে? অবিশ্যি মা বাবা কে দোস দিয়ে কাজ নেই
ওনারা কি জানেন? আমি ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসা করলাম ও বোলল , সাহাব আপ নেয়া হ্যায় । এ তো হামেশা দেখনেকো মিল্তা হ্যায় । মনে মনে ভাব
লাম আমরা কতো গ্রাম্য, এরা কতো সভ্য । এই যদি সভ্যতা হয় তবে হে ঈশ্বর আমাকে গেঁয়ো করেই রাখো! সে দিন থেকে আমি আর কাউকে
কিছু জিজ্ঞাসা করিনা । কান মুলছি নাক মুলছি আর না ।নিজের মেয়েদের কথা ভাবছি ! পারোমিতার কি হবে ? ওর কি ভবিষ্যৎ ? আমার সময় নেই
এনার্জি ও নেই । সুমি তার স্কুল আর বান্ধবীদের নিয়ে ব্যাস্ত । পার্টীর জন্য আজ ধারনা তো কাল বন্ধ ।ছারখার হয়ে গেল এই দেশটা এসবের জন্য ।
সর্ব শিক্ষা অভিজানের লেকচার দেয় সুমি আর নিজের মেয়ে গোল্লায় যাচ্ছে ।
কি মারে বাবা । কিছু বলার উপায় নেই আমার । মেয়েটা উচ্ছন্নে যাচ্ছে । দেখেও কিছু বলার উপায় নেই ।আমি নিরুপায়। কোম্পানির সার্ভিস ।
একটু এদিক ওদিক হলে সর্বনাশ । কাকে বোঝাব ? কথাটা উল্লেখ করলাম এইজন্য যে হামেশা নাকি এরকম হয় । আমরা ত দেখতে অভ্যস্ত নই তাই বোধ হয় আমার দৃষ্টিকটু লাগলো । মানুষ সহজ ভাবে নিচ্ছে। আমি বোধহয় গেঁয়ো হয়ে গেলাম বয়েসের সঙ্গে সঙ্গে। আমার বন্ধুরা বলে তুই এইসব নিয়ে ভাবিস না। ও সব মডার্ন ছেলে মেয়ে। মনে মনে ভাবি আমার ত দুটো মেয়ে আছে ! তাদের মধ্যে ছোটটাই মাথা ব্যাথার কারন হচ্ছে । ওকে নিয়ে আমার চিন্তা ।
আমিত দেখছি আকাংক্ষার মতন মেয়েরাই বিপদে পড়ে কারন ওরা নিজেদের নিরাপত্তার দিকে নজর দেয়না। পড়াশুনোতে এত ব্যস্ত থাকে
যে ওদের অন্য দিকে মন যায় না তার সুযোগ নেয় অসামাজিক ব্যাক্তি। তাই বলি জুডো ক্যারাটে টা মেয়েদের যানা নিতান্ত জরুরি । ওদের বন্ধু
হাতে গোনা হয় আর ছেলে বন্ধু থাকলেও তারা পাত্তা পায় না এদের কাছে। কিন্তু পারোমিতা ! তার বন্ধু শয়ে শয়ে । বাপী লেটেস্ট এপেলের আই ফোন্ সিঙ্গাপুর থেকে কিনে এনেছেন একটা মা আরেকটা পারোমিতার জন্যে ।বাপি কি জানেন মেয়ের কীর্তি ! মেয়েদের হাতে মোবাইল দেওয়া কি উচিৎ ?
বলেন রেসাল্ট ভাল হওয়া চাই কিন্তু । আইফোন দিতে আপত্তি নেই। আকাঙ্খ্যার ওসবে কোন আগ্রহ দেখি না।
যে ওদের অন্য দিকে মন যায় না তার সুযোগ নেয় অসামাজিক ব্যাক্তি। তাই বলি জুডো ক্যারাটে টা মেয়েদের যানা নিতান্ত জরুরি । ওদের বন্ধু
হাতে গোনা হয় আর ছেলে বন্ধু থাকলেও তারা পাত্তা পায় না এদের কাছে। কিন্তু পারোমিতা ! তার বন্ধু শয়ে শয়ে । বাপী লেটেস্ট এপেলের আই ফোন্ সিঙ্গাপুর থেকে কিনে এনেছেন একটা মা আরেকটা পারোমিতার জন্যে ।বাপি কি জানেন মেয়ের কীর্তি ! মেয়েদের হাতে মোবাইল দেওয়া কি উচিৎ ?
বলেন রেসাল্ট ভাল হওয়া চাই কিন্তু । আইফোন দিতে আপত্তি নেই। আকাঙ্খ্যার ওসবে কোন আগ্রহ দেখি না।
‘কচু’ রেসাল্ট না ছাই । মা বলেন । ওই মেয়ে গোল্লায় গেছে ।
হয়াটস এপ এ এ ছবি পাঠান , মেসেজ বক্স এ জোক , লাভ এস .এম .এস সব ভর্তি । কে দেখবে? দেখার সময় কার আছে ? বাপি সকাল থেকে
বেরিয়ে যান ফেরেন রাতে। মা স্কুল টিচার অন্যকে জ্ঞান বিতরণে ব্যস্তনিজের মেয়েকে দেখার সময় নেই ? সোসিয়াল সার্ভিস করে ক্লান্ত । নারী জাগরন , নারী শিক্ষা এইসব নিয়ে ব্যাস্ত ।
স্কুলথেকে এসে এতোই ক্লান্ত যে মেয়ে কি পড়লো কি খেলো দেখার সময় নেই । টিভি, সিনেমার ম্যাগাজিন,তারপর খাওয়া ,ঘুম । ঘরে রান্না বান্না করতে হয়্না কারন রাঁধুনী আছেন ।২৪ ঘণ্টার কাজের লোক আছেন। মঞ্জু মাসি ।
বেরিয়ে যান ফেরেন রাতে। মা স্কুল টিচার অন্যকে জ্ঞান বিতরণে ব্যস্তনিজের মেয়েকে দেখার সময় নেই ? সোসিয়াল সার্ভিস করে ক্লান্ত । নারী জাগরন , নারী শিক্ষা এইসব নিয়ে ব্যাস্ত ।
স্কুলথেকে এসে এতোই ক্লান্ত যে মেয়ে কি পড়লো কি খেলো দেখার সময় নেই । টিভি, সিনেমার ম্যাগাজিন,তারপর খাওয়া ,ঘুম । ঘরে রান্না বান্না করতে হয়্না কারন রাঁধুনী আছেন ।২৪ ঘণ্টার কাজের লোক আছেন। মঞ্জু মাসি ।
ঘরে গার্জেন বলতে ঠাকুমা তাঁর তো বয়েস ৭৯+ অতএব তিনি কি করবেন? ঠাকুরপুজো তেই তাঁর সময় কাটে । ছেলে,বৌ,নাত্নীদের জন্য সব পুজো । ওনার ঘরে কেউ যায়না । কখনো কখনো বাবা জান আর মঞ্জু মাসী খাবার দিতে যায় । পারোমিতা কে একদম দেখতে পারেন না ঠাকুমা । বলেন শুভ( শুভজিত বাবার নাম) গোল্লায় যাচ্ছে তোর মেয়ে । মেয়ের ডানা গজিয়েছে । এখন থেকে দ্যাখ নাহলে ওই মেয়ে ভোগাবে তোকে । আমি বলে রাখলাম শুভ ।
আমি কতোক্ষণ থাকি মা ? আপনি বলুন ? আমার সময় কোথায় ?তবুও তোর শাসন প্রয়োজন । ওকে মোবাইল কেন দিলি ? ওই অলক্ষুণে মোবাইল ই ওর উচ্ছৃঙ্খলতার কারন । আমাকে ত হুটা হুট্ করে দেয় ।আপনি শাসন করুন মা । আমি কতক্ষণ ই বা থাকি ? একটু শান্তি না হলে আমার কি ভাল লাগে ? ওইসব শুনতে ভাল লাগে না। সমত্ত মেয়েদের মা শাসন করবেন না ! বাবা কি পারে? না মানায় ! আপনি বলুন! শুভ এক নিশ্বাসে কথাগুল বলে হাঁফ্ ছাডলো ।সব ই অদৃষ্ট বাবা । হ্যাঁরে মঙ্গল বার দিন একটু সময় করে দক্ষিণেশ্বর নিয়ে চল না বাবা। কতদিন মায়ের মুখটা দেখিনি। আহা মা সদয় হলে তোর কোন দুঃখ থাকবেনা।মঙ্গলবার ! আচ্ছা দেখছি ! টেবলেট পিসিটা তে কি দেখে বললো, মা একদম ভোরে আপনাকে নিয়ে যাব ।
আমিত সেই ভোর ৪ টেতে উঠি তুই উঠতে পারবিত ?
হ্যাঁ মা পারবো ।
আজ কিছু অঘটন হল রাস্তায় । কাউকে বলা যাবেনা। বাপীকে কিছুই বলা যায়না এ বিষয় । মা’ ! তিনি তো ব্যস্ত নিজেকে নিয়ে। ঠাকুমা ! তিনি ই বা কি করবেন? তবে কাকে বলবে সে ? বোন ! ও শুনলে হাঁসবে । মজা পাবে ।বাড়িতে ফিরে একটা ডাইরিতে আজকের ঘটনা সম্পর্কে লিখে রাখল।
বাপীর কথাগুল মনে রেখে খুব মন দিয়ে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি করতে লাগলো । ম্যাথ্, ফিজিক্স্, কেমিস্ট্রি সব বিষয় গুল ভাল করে রিভিশন দিয়ে রাখলো। গত দশ বছরের সমস্ত প্রশ্ন র উত্তর শেষ করে ফেলেছে। খাতা ভর্তি অঙ্ক আর ফিসিক্স্ এর প্রব্লেম সলভ্ করে রেখেছে ।ইংলিস্ টা আরেকটু রিভিসন করতে হবে । এইরকম ভাবছিল …।মা বললেন হ্যাঁরে পারু কোই ? ৭ টা বেজে গেল মেয়টা কোথায় যায়?তোর সঙ্গে আসেনি?এতোগুল প্রশ্নের উত্তর কি দেবে ভেবে পেলনা । আমি জানিনা …
জানিসনা মানে ?
বারে আমি স্কুল সেরে বাড়ি ফিরে এলাম । এমনিতেই আমাদের এক্সট্রা ক্লাস হচ্ছে । আমি কি করে জানবো ওর কথা ?তুমি তোমাকে ছাড়া আর কি কর মা ! বাপের আহ্লাদি মেয়ে ! বোনটা কোথায় গেল খোঁজ নিবিনা একটু ! জানি তুমি দিগ্গজ্ মেয়ে , তা বলে বোনটার কোন খোঁজ খবর নেবে না?
সরি মা ভুল হয়ে গিয়েছে । আমাকে ভুল বুঝ না।সুমিতা মোবাইলে নম্বর ডায়াল করতে লাগলেন … এই অর্পিতা শোন ভাই তোর বর কে একটু বলনারে … আমার ছোট মেয়ে পারোমিতা যে তোর ছেলের বার্থ ডে পার্টি তে নেচেছিল মনে আছে … হ্যাঁ !… ও এখন পর্য্যন্ত
আসেনিরে । কি করি বল তো?… ইনি দিল্লী গেছেন ফিরবেন কালকে ।এলেই ত আমার ওপর হম্বি তম্বি করবেন। আমার হয়েছে যত জ্বালা…।
দাঁড়া চিন্তা করিসনা …। আমি একটু পরে তোকে খবর দিচ্ছি।রাত ৯ টার সময় পুলিসের জিপ্ এল । এটাকি সুভজিৎ ব্যানার্জীর বাড়ি ?
ভয়ে তটস্থ সব্বাই । হ্যাঁ …। কি হয়েছে ?
দেখুন চিনতে পারেন কিনা ?
আমার বুক টা দুরু দুরু করতে লাগলো । মা গিয়ে যা দ্যাখেন । হতভম্ব হয়ে যান । পুলিসের জীপের পেছনে দুটি ছেলে মেয়ে । তার মধ্যে একটি চেনা
। সে আমাদের পরমযা
বাপীর কথাগুল মনে রেখে খুব মন দিয়ে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি করতে লাগলো । ম্যাথ্, ফিজিক্স্, কেমিস্ট্রি সব বিষয় গুল ভাল করে রিভিশন দিয়ে রাখলো। গত দশ বছরের সমস্ত প্রশ্ন র উত্তর শেষ করে ফেলেছে। খাতা ভর্তি অঙ্ক আর ফিসিক্স্ এর প্রব্লেম সলভ্ করে রেখেছে ।ইংলিস্ টা আরেকটু রিভিসন করতে হবে । এইরকম ভাবছিল …।মা বললেন হ্যাঁরে পারু কোই ? ৭ টা বেজে গেল মেয়টা কোথায় যায়?তোর সঙ্গে আসেনি?এতোগুল প্রশ্নের উত্তর কি দেবে ভেবে পেলনা । আমি জানিনা …
জানিসনা মানে ?
বারে আমি স্কুল সেরে বাড়ি ফিরে এলাম । এমনিতেই আমাদের এক্সট্রা ক্লাস হচ্ছে । আমি কি করে জানবো ওর কথা ?তুমি তোমাকে ছাড়া আর কি কর মা ! বাপের আহ্লাদি মেয়ে ! বোনটা কোথায় গেল খোঁজ নিবিনা একটু ! জানি তুমি দিগ্গজ্ মেয়ে , তা বলে বোনটার কোন খোঁজ খবর নেবে না?
সরি মা ভুল হয়ে গিয়েছে । আমাকে ভুল বুঝ না।সুমিতা মোবাইলে নম্বর ডায়াল করতে লাগলেন … এই অর্পিতা শোন ভাই তোর বর কে একটু বলনারে … আমার ছোট মেয়ে পারোমিতা যে তোর ছেলের বার্থ ডে পার্টি তে নেচেছিল মনে আছে … হ্যাঁ !… ও এখন পর্য্যন্ত
আসেনিরে । কি করি বল তো?… ইনি দিল্লী গেছেন ফিরবেন কালকে ।এলেই ত আমার ওপর হম্বি তম্বি করবেন। আমার হয়েছে যত জ্বালা…।
দাঁড়া চিন্তা করিসনা …। আমি একটু পরে তোকে খবর দিচ্ছি।রাত ৯ টার সময় পুলিসের জিপ্ এল । এটাকি সুভজিৎ ব্যানার্জীর বাড়ি ?
ভয়ে তটস্থ সব্বাই । হ্যাঁ …। কি হয়েছে ?
দেখুন চিনতে পারেন কিনা ?
আমার বুক টা দুরু দুরু করতে লাগলো । মা গিয়ে যা দ্যাখেন । হতভম্ব হয়ে যান । পুলিসের জীপের পেছনে দুটি ছেলে মেয়ে । তার মধ্যে একটি চেনা
। সে আমাদের পরমযা